What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

বাঁশির শব্দ (1 Viewer)

arn43

Co-Admin
Staff member
Co-Admin
Joined
Mar 2, 2018
Threads
1,630
Messages
123,472
Credits
300,122
SanDisk Sansa
DVD
Whiskey
SanDisk Sansa
SanDisk Sansa
Computer
বাঁশির শব্দ

ছোটমের সাথে ডাঃ জিসানের দীর্ঘদিনের জানা-শোনা। বলা যায় ছোটমের যেকোনো ধরনের ডাক্তারী সমস্যার সমাধান ডাঃ জিসানই করে থাকে। সেই আত্নবিশ্বাস থেকেই ছোটম তার ফুফাকে নিয়ে ডাঃ জিসানের চেম্বারে হাজির। ছোটমের ফুফার ইদানিং মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। বেশ কিছু উল্টা-পাল্টা আচরণে পরিবারের সবাই অতিষ্ঠ ! ছোটমের কাছ থেকে তার ফুফার অবস্থা জেনে ডাঃ জিসান ছোটমকে তারই বন্ধু ডাঃ জাহিদের কাছে রেফার্ড করে দিলো। কিন্তু ছোটম ডাঃ জিসানকেও তার সাথে ডাঃ জাহিদের চেম্বারে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করলো। দীর্ঘদিনের পরিচিত প্রায় বন্ধুর মতো একজনের অনুরোধ না ফেলতে পেরে ডাঃ জিসান ছোটম ও তার ফুফাকে নিয়ে ডাঃ জাহিদের চেম্বারে গেলো।
ডাঃ জাহিদ ছোটমের ফুফাকে দেখেই বুঝে নিলো সে একজন মানসিক রোগী। ছোটমের ফুফাকে ডাঃ জাহিদের সামনা সামনি বসিয়ে প্রশ্ন করলো,
ডাঃ জাহিদঃ আপনি নাকি ঘুমানোর আগে খুব জোরে বাঁশি বাজান ?
ফুফাঃ না বাজিয়ে কি উপায় আছে ? কোনো উপায় নাই ! এই বাঁশির শব্দ শুনেই তো গন্ডারগুলো ভয় পেয়ে যায় আর আমাকে আক্রমণ করতে আসে না !
ডাঃ জিসানঃ কিন্তু বাংলাদেশের আশেপাশে শতো মাইলের মাঝেও তো কোনো গন্ডার নাই। তবে কেনো আপনাকে বাঁশি বাজাতে হয় ?
ফুফাঃ থাকবে কি করে ? আমি যে প্রতিদিন ঘুমানোর আগে আগে বাঁশি বাজাই, সে ভয়েতেই তো তারা আসে না। না হলে তো তারা এসে আমাকে আক্রমণ করে বসতো। আপনারাও ছাড় পেতেন না। ঐ গন্ডারগুলো আপনাদেরকেও তাড়া করে বেড়াতো...
 
ব্র্যান্ডির কেরামতি


ডাঃ শারমীন অল্প কিছুদিনের মাঝেই ডেন্টিস্ট হিসাবে বেশ নাম কামিয়ে নিয়েছেন। একজন দক্ষ ডেন্টিস্ট হিসাবে তার এই সুনাম যতোটা না হয়েছে তার চাইতে বেশী হয়েছে তার ব্যবহারে রোগিদের সন্তুস্টি নিয়ে। বলা যায় রোগীদের সাথে খুব ভালো ব্যবহারের কারনেই ডাঃ শারমীনের এই সুনাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই বলে, ডাঃ শারমীনের কাছে কোনো রোগি দাঁত তুলতে গেলে সে নাকি শুধু তার সুন্দর ব্যবহার দিয়েই বিনা ব্যাথায় দাঁত তুলে আনেন। মানে হলো, শারমীনের ব্যবাহারে রোগীরা এতোই মুগ্ধ হয়ে যায়, কখন কোন ফাঁকে সে দাঁত তুলে আনে সেটা নাকি রোগী বুঝতে পারে না।
তবে এরকম যে সব সময় হয় না, বরং মাঝে মধ্যে এর ব্যাতিক্রমও হয় সেটা গতোকাল জিসান শারমীনের চেম্বারে তার সাথে দেখা করতে যেয়ে বুঝতে পারে। ঘটে যাওয়া ঘটনাটি এরকম...
চেম্বারে তখন শারমীন এক রোগীর দাঁত তুলতে ঢুকেছে। ডাক্তারকে দেখেই রোগী ভয়ে একেবারে কাতর। রোগীকে অভয় দিয়ে শারমীন তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিমায় বললো,
শারমীনঃ দাঁত তোলাটা কোনো ব্যাপারই না। চট করে আপনার দাঁতটি তুলে আনবো, আপনি টেরও পাবেন না !
রোগীঃ না না, ডাক্তার ম্যাডাম। আমার ভীষণ ভয় করছে। যন্ত্রনায় আমি মরেই যাবো...
শারমীন ভালো ব্যবহার করে যতোই তাকে বুঝানোর চেস্টা করছে রোগী ততোই ভয়ে কুঁকড়ে যাচ্ছে আর বলছে ভয়ে নাকি সে মরেই যাবে। উপায়ান্তর না দেখে ডাঃ শারমীন তার সেলফ থেকে একটা বোতল নামিয়ে সেখান থেকে গ্লাসে কিছুটা তরল ঢেলে রোগীকে খেতে দিয়ে বললো,
শারমীনঃ ঠিক আছে আর ভয় পেতে হবে না। এই ব্রান্ডি টুকু খেয়ে নিন দেখবেন মনে বেশ জোর পাবেন।
ব্রান্ডির গ্লাস হাতে নিয়ে রোগী ঢক ঢক করে ব্র্যান্ডি টুকু খেয়ে নিলো। এবার শারমীন রোগীকে প্রশ্ন করলো,
শারমীনঃ কী ? এবার সাহস বেড়েছে তো ?
শারমীনের কথায় রোগী সোজা হয়ে বসে সার্টের হাতা গুটাতে গুটাতে বললো,
রোগীঃ বেড়েছে মানে ? নিশ্চয়ই বেড়েছে। এখন দেখি কোন শালা আমার দাঁত তুলতে আসে। শুধু হাত লাগাতে আসুক, একেবারে বাপের নাম ভুলিয়ে দেবো। এক ঘুষিতে তার সব দাঁত ফেলে দেবো...
 
তারপর কী হলো? নেক্সট

তারপর আর কি ?
আরেকটা নতুন জোকস আসছে...
রিপ্লাইয়ের জন্য অনেক ধন্যবাদ, মামা।
 
পশু রোগী
দীপুর চাচা সেদিন দীপুকে ডেকে জিজ্ঞেস করলো,
চাচাঃ হ্যারে, দীপু। তোর না একজন ডাক্তার বন্ধু আছে ? সে কোথায় বসে ? তার ঠিকানাটা একটু দিতে পারবি ?
গম্ভীর চাচার কথায় আর আচরণে দীপু কিছুটা আশ্চর্য্য হলেও ডাঃ জিসানের ঠিকানাটা চাচাকে বুঝিয়ে বলে দিলো। ঐদিনই সন্ধ্যার দিকে দীপুর চাচা জিসানের চেম্বারে গিয়ে হাজির। চেম্বারে ঢুকার পথে তাকে আটকালেও দীপুর পরিচয় দিতেই তাকে ছেড়ে দয়া হলো। চাচা ছুটতে ছুটতে চেম্বারে ঢুকেই জিসানের সামনে ধপ করে বসে বলে উঠলো,
চাচাঃ ডাক্তার সাহেব, আমাকে বাঁচান।
জিসান দীপুর এই চাচাকে আগে থেকেই চিনতো তাই স্বাভাবিকভাবেই বললো,
জিসানঃ আপনার কি হয়েছে, চাচা ? আমাকে একটু খুলে বলেন তো ?
চাচাঃ যখন জেগে থাকি তখন মনে হয় আমার পাশে জিরাফ বসে আছে। কখনো বানর আমার খাবারে ভাগ বসাতে চায়। তাছাড়া হাতি, গণ্ডার, শিম্পাঞ্জি, হরিণ এসব তো আছেই। আমি এখন কি করবো ডাক্তার সাহেব ?
সব শুনে জিসান স্মিত হাসি দিয়ে বললো,
জিসানঃ আপনি মোটেও চিন্তিত হবেন না। শিগগীরই বাড়িতে একটা খাঁচা কিনে সে বাড়িতে ঢুকে পড়ুন...
 

Users who are viewing this thread

Back
Top