বাঁশির শব্দ
ছোটমের সাথে ডাঃ জিসানের দীর্ঘদিনের জানা-শোনা। বলা যায় ছোটমের যেকোনো ধরনের ডাক্তারী সমস্যার সমাধান ডাঃ জিসানই করে থাকে। সেই আত্নবিশ্বাস থেকেই ছোটম তার ফুফাকে নিয়ে ডাঃ জিসানের চেম্বারে হাজির। ছোটমের ফুফার ইদানিং মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। বেশ কিছু উল্টা-পাল্টা আচরণে পরিবারের সবাই অতিষ্ঠ ! ছোটমের কাছ থেকে তার ফুফার অবস্থা জেনে ডাঃ জিসান ছোটমকে তারই বন্ধু ডাঃ জাহিদের কাছে রেফার্ড করে দিলো। কিন্তু ছোটম ডাঃ জিসানকেও তার সাথে ডাঃ জাহিদের চেম্বারে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করলো। দীর্ঘদিনের পরিচিত প্রায় বন্ধুর মতো একজনের অনুরোধ না ফেলতে পেরে ডাঃ জিসান ছোটম ও তার ফুফাকে নিয়ে ডাঃ জাহিদের চেম্বারে গেলো।
ডাঃ জাহিদ ছোটমের ফুফাকে দেখেই বুঝে নিলো সে একজন মানসিক রোগী। ছোটমের ফুফাকে ডাঃ জাহিদের সামনা সামনি বসিয়ে প্রশ্ন করলো,
ডাঃ জাহিদঃ আপনি নাকি ঘুমানোর আগে খুব জোরে বাঁশি বাজান ?
ফুফাঃ না বাজিয়ে কি উপায় আছে ? কোনো উপায় নাই ! এই বাঁশির শব্দ শুনেই তো গন্ডারগুলো ভয় পেয়ে যায় আর আমাকে আক্রমণ করতে আসে না !
ডাঃ জিসানঃ কিন্তু বাংলাদেশের আশেপাশে শতো মাইলের মাঝেও তো কোনো গন্ডার নাই। তবে কেনো আপনাকে বাঁশি বাজাতে হয় ?
ফুফাঃ থাকবে কি করে ? আমি যে প্রতিদিন ঘুমানোর আগে আগে বাঁশি বাজাই, সে ভয়েতেই তো তারা আসে না। না হলে তো তারা এসে আমাকে আক্রমণ করে বসতো। আপনারাও ছাড় পেতেন না। ঐ গন্ডারগুলো আপনাদেরকেও তাড়া করে বেড়াতো...