খড়্গপুর এর পাশেই একটি ছোটো গ্রামে, একটি একতলা ছোটো বাড়িতে থাকে দেবব্রত মজুমদার, ওরফে দেবু। দেবুর এখন বয়স ৪৪ বছর, বিপত্নীক। খড়্গপুর এর রেলের গোডাউন এর মজদুর হিসাবে কাজ করে দেবু। পাঁচ ফুট সাত ইঞ্চি লম্বা, চওড়া বুক, পেশীবহুল দেহ। লেখাপড়া বিশেষ করেনি, তবে ভালো ফুটবল খেলতো এবং বেশ বলবান আর যেকোনো কাজ করতে পারতো। ছোটবেলায় প্রায়ই খড়্গপুরের দু চারটে ফুটবল ক্লাবের হয়ে খেলেছে, এবং সেই সূত্রেই একজন ক্লাব সদস্য ওকে রেলের মজদুর হিসাবে চাকরি পাইয়ে দেয়। চাকরি পাবার সঙ্গে সঙ্গে, একুশ বছর বয়েসেই, দেবুর বাবা - মা, ওর বিয়ে দিয়ে দেয়, এবং দেবু তার বাবা - মা সহ, তার আঠারো বছরের বৌ, দোয়েল কে নিয়ে, খড়্গপুরে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকতে শুরু করে।
দুই বছর আগে পর্য্যন্ত দেবু, এক সাদামোটা মধ্যবিত্ত জীবন যাপন করছিলো তাহার প্রিয় পত্নী দোয়েল এর সঙ্গে। কিন্তু নিয়তি সেই সুখী দাম্পত্য জীবনে ঝড় তুলে দিলো। মাত্র ৩৯ বছর বয়সী দোয়েল হটাৎ হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে, মারা যায়। দেবু প্রচন্ড ভেঙে পড়ে। সেই সময়, তাহার একমাত্র কন্যা, মাধবী, তার এক বছরের ছেলে এবং জামাই বিনোদ কে নিয়ে, তার পাশে এসে দাঁড়ায়। তাদের সান্নিধ্যে দেবু নিজেকে সাম্ভলে নিলো এবং মেয়েকেও তার মাতৃ হারার দুঃখে সান্তনা দিয়ে বুঝিয়ে, খুশি রাখার চেষ্টা করে গেলো। দিন কুড়ি পর মেয়ে জামাই তাদের বাড়ি ফিরে গেলো আর দেবু আবার তার অফিসের কাজে নিজেকে ব্যস্ত রেখে নিজের একাকীত্ব জীবন যাপন করতে লাগলো।
দেবু আর দোয়েলের একমাত্র কন্যা মাধবী। একমাত্র সন্তান বলে অনেক অনেক আদরের ছিল। তাহারা তাহাদের একমাত্র মেয়েকে খুব তাড়াতাড়ি, মানে মাত্র ১৮ বছর বয়সেই বিয়ে দিয়ে ছিল। বিবাহের এক বছর পার হতেই, মাধবী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। চার বছরের সুখী দাম্পত্য জীবনে ওদের আবার একটি সন্তানের জন্ম হতে চলেছিল। কিন্তু হটাৎ ঘটে যায় একটি মর্মান্তিক ঘটনা। মাধবী, আট মাসের অন্ত:সত্ত্বা থাকা কালীন, ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাবার সময় তাহাদের ট্যাক্সির সঙ্গে একটি বিপরীত মুখী লড়ির সাথে ধাক্কা লাগে এবং সেই দুর্ঘটনায় মাধবী গুরুতর আহত হয়। তার পেটের বাচ্চাটিও আঘাত পায় এবং সেই রাত্রেই মাধবীর অপারেশন করা হয়ে। কিন্তু বাচ্চাটিকে বাঁচানো যায় নি। অনেক কষ্টে, মাধবীকে বাঁচাতে পারে ডাক্তাররা, কিন্তু পেটে আঘাতের ফলে, সে কোনোদিনো আর গর্ভবতী হতে পারবে না, জানিয়ে দেয়। সেই দুর্ঘটনায় মাধবীর ছোটো ছেলে দুর্ঘটনার স্থলেই মারা যায় এবং তার স্বামী, বিনোদ চার দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে, শেষ পর্যন্ত হার মেনে, শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করে। মাধবী মাত্র ২৩ বছর বয়সে বিধবা হয়ে যায়।
এক মাস পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বিধবা বেশে মাধবী শ্বশুর বাড়িতেই ওঠে। কিন্তু মাস দুই তিন পর, বিনোদের প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রেচুইটি, জীবন বীমার টাকা, ইত্যাদি, সব পাওয়ার পর, মাধবীর শশুর বাড়ির লোকেরা, সেগুলো সব নিজেরা হাতিয়ে নিয়ে, মাধবীকে অপয়া অপবাদ দিয়ে, ওদের ছেলের আর নাতির মৃত্যুর জন্য দোষী বলে অত্যাচার শুরু করলো। কথায় কথায় ওকে ডাইনি, রাক্ষুসী বলে গালাগালি দিতে লাগলো। শেষমেশ মাধবীর নামে কুৎসা রটিয়ে ওকে ওদের বাড়ির থেকে তাড়িয়ে, বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিলো।
[HIDE]
মেয়ে বাপের বাড়িতে এসে, বাবাকে জড়িয়ে ধরে খুব কাঁদলো। বাবাও মেয়েকে জড়িয়ে চোখের জল ফেললো। মেয়ের কাছে সব শুনে দেবু তার মেয়েকে বোঝালো, সান্তনা দিলো, আর বললো, "তুই কোনো চিন্তা করিস না মধু, আমি তো আছি, আমার যে টুকু টাকা কড়ি আছে, আর এই বাড়িটি, সবই তো তোর, ওরা কি করেছে ভুলে যা, আমিও একাই থাকি, আমরা দুজন দুজনার একাকীত্ব দূর করে, গল্প গুজব করে কাটিয়ে দেবো।"
দেবুর বাবা - মা মারা যাবার পর, তাদের গ্রামেই, পৈতৃক সম্পত্তি হিসাবে, গ্রামের প্রায় শেষ সীমানায় দুই কাঠা একটি জমি পেয়েছিলো। সেই জমির উপরেই, একটি ছোটো পাকা বাড়ি তৈরী করলো আর বছর তিন আগে ভাড়াবাড়ি ছেড়ে, সস্ত্রীক নিজের বাড়িতে এসে উঠেছিল। কিন্তু দুই বছর আগে স্ত্রী মারা যাবার পর থেকে ওর বাড়িতে কোন মহিলা নেই। দশটা পাঁচটা অফিস করে। তাহার ও নিঃসংগ জীবনে হতাশা চেপে বসছিল। মধু আসাতে দেবু বেশ আনন্দ অনুভব করলো। মধু, মাধবীর ডাক নাম।
দেবুর বাড়িতে একটি বসার ঘর, একটি শোবার ঘর, একটি রান্নাঘর এবং একটি পাঁচ ফুট চৌকো বাথরুম আর তার পাশেই, পাঁচ ফুট চৌকো একটি পায়খানা। বাইরের দরজা দিয়ে ঢুকেই, বসার ঘর, তার ডান দিকে রান্নাঘর। একটি ছোটো প্যাসেজ বাইরে যাবার দরজার উল্টো দিকে, যার ডান দিকে শোবার ঘর আর প্যাসেজ এর বাম দিকে পাশাপাশি বাথরুম এবং পায়খানা। রুমগুলি বড় না হলেও, একদম ছোটও নয়। শোবার ঘরে একটি ডবল বেড বিছানা পাতা ছিল। মধু আসাতে, শোবার ঘরটি মধুকে ছেড়ে দিলো। মধু আপত্তি করলেও, দেবু মেয়ের কোনো আপত্তি শুনলো না। মেয়েকে বসার ঘরে পুরোনো সোফা - কাম বেড টি দেখিয়ে বললো, "আমি এখানেই শুয়ে পড়বো।"
মধুর তখনো মানসিক অবস্থা খুব ভালো ছিল না, তাই বাবার সঙ্গে তর্ক না করে চুপচাপ রয়ে গেলো। ধীরে ধীরে মধু রান্না বান্না সহ ঘরের সমস্ত ভার নিজের কাধে তুলে নিল কিন্তু মুখে কোনো হাসি ছিল না। যান্ত্রিক কল এর মতন বাড়ির সব কাজ কর্ম করে যেতে লাগলো। দেবু, সোম থেকে শনি, সকাল নয়টা - সাড়ে নয়টার মধ্যে খেয়ে দেয়ে অফিসে চলে যেতো আর ফিরতো বিকেল ছয়টা নাগাদ। মধু তাই বলতে গেলে সকাল থেকে বিকেল একাই বাড়িতে থাকতো। দেবুও লক্ষ্য করলো মধুর মনমরা ভাব এবং তাই দেখে সে খুব মনে মনে কষ্ট পাচ্ছিলো। তাই রোজ বিকেলে বাড়ি ফিরে খুব চেষ্টা করছিলো মধুর সাথে স্বাভাবিক কথা বাত্রা বলে, ওকে ওর দুঃখ দূর করার। অফিস থেকে ফিরে, রোজ বিকেলে এবং রবিবার সারা দিন মেয়ের সাথে বেশি করে সময় কাটাতে লাগলো, জোর করে বাইরে ঘুরে বেড়ানো, রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার খাওয়া, সিনেমা হলে সিনেমা দেখা ইত্যাদি করতে শুরু করলো। এক দেড় মাস এই ভাবেই কেটে গেলো। মেয়েও কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে উঠলো। কিন্তু দেবুর মনে বিরাট একটা প্রতিক্রিয়া শুরু হলো। দেবু তার মেয়ের প্রতি আকৃষ্ট হতে লাগলো। দেবু নিজের মন কে বোঝালো, 'এটা সম্ভব না, আমার মেয়ের দিকে লোলুপ দৃষ্টি দেওয়া পাপ, না সে মেয়ের কাছে ছোটো হতে পারবে না।' অতি কষ্টে দেবু নিজেই নিজেকে সংযত করলো।
[/HIDE]
দুই বছর আগে পর্য্যন্ত দেবু, এক সাদামোটা মধ্যবিত্ত জীবন যাপন করছিলো তাহার প্রিয় পত্নী দোয়েল এর সঙ্গে। কিন্তু নিয়তি সেই সুখী দাম্পত্য জীবনে ঝড় তুলে দিলো। মাত্র ৩৯ বছর বয়সী দোয়েল হটাৎ হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে, মারা যায়। দেবু প্রচন্ড ভেঙে পড়ে। সেই সময়, তাহার একমাত্র কন্যা, মাধবী, তার এক বছরের ছেলে এবং জামাই বিনোদ কে নিয়ে, তার পাশে এসে দাঁড়ায়। তাদের সান্নিধ্যে দেবু নিজেকে সাম্ভলে নিলো এবং মেয়েকেও তার মাতৃ হারার দুঃখে সান্তনা দিয়ে বুঝিয়ে, খুশি রাখার চেষ্টা করে গেলো। দিন কুড়ি পর মেয়ে জামাই তাদের বাড়ি ফিরে গেলো আর দেবু আবার তার অফিসের কাজে নিজেকে ব্যস্ত রেখে নিজের একাকীত্ব জীবন যাপন করতে লাগলো।
দেবু আর দোয়েলের একমাত্র কন্যা মাধবী। একমাত্র সন্তান বলে অনেক অনেক আদরের ছিল। তাহারা তাহাদের একমাত্র মেয়েকে খুব তাড়াতাড়ি, মানে মাত্র ১৮ বছর বয়সেই বিয়ে দিয়ে ছিল। বিবাহের এক বছর পার হতেই, মাধবী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। চার বছরের সুখী দাম্পত্য জীবনে ওদের আবার একটি সন্তানের জন্ম হতে চলেছিল। কিন্তু হটাৎ ঘটে যায় একটি মর্মান্তিক ঘটনা। মাধবী, আট মাসের অন্ত:সত্ত্বা থাকা কালীন, ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাবার সময় তাহাদের ট্যাক্সির সঙ্গে একটি বিপরীত মুখী লড়ির সাথে ধাক্কা লাগে এবং সেই দুর্ঘটনায় মাধবী গুরুতর আহত হয়। তার পেটের বাচ্চাটিও আঘাত পায় এবং সেই রাত্রেই মাধবীর অপারেশন করা হয়ে। কিন্তু বাচ্চাটিকে বাঁচানো যায় নি। অনেক কষ্টে, মাধবীকে বাঁচাতে পারে ডাক্তাররা, কিন্তু পেটে আঘাতের ফলে, সে কোনোদিনো আর গর্ভবতী হতে পারবে না, জানিয়ে দেয়। সেই দুর্ঘটনায় মাধবীর ছোটো ছেলে দুর্ঘটনার স্থলেই মারা যায় এবং তার স্বামী, বিনোদ চার দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে, শেষ পর্যন্ত হার মেনে, শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করে। মাধবী মাত্র ২৩ বছর বয়সে বিধবা হয়ে যায়।
এক মাস পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বিধবা বেশে মাধবী শ্বশুর বাড়িতেই ওঠে। কিন্তু মাস দুই তিন পর, বিনোদের প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রেচুইটি, জীবন বীমার টাকা, ইত্যাদি, সব পাওয়ার পর, মাধবীর শশুর বাড়ির লোকেরা, সেগুলো সব নিজেরা হাতিয়ে নিয়ে, মাধবীকে অপয়া অপবাদ দিয়ে, ওদের ছেলের আর নাতির মৃত্যুর জন্য দোষী বলে অত্যাচার শুরু করলো। কথায় কথায় ওকে ডাইনি, রাক্ষুসী বলে গালাগালি দিতে লাগলো। শেষমেশ মাধবীর নামে কুৎসা রটিয়ে ওকে ওদের বাড়ির থেকে তাড়িয়ে, বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিলো।
[HIDE]
মেয়ে বাপের বাড়িতে এসে, বাবাকে জড়িয়ে ধরে খুব কাঁদলো। বাবাও মেয়েকে জড়িয়ে চোখের জল ফেললো। মেয়ের কাছে সব শুনে দেবু তার মেয়েকে বোঝালো, সান্তনা দিলো, আর বললো, "তুই কোনো চিন্তা করিস না মধু, আমি তো আছি, আমার যে টুকু টাকা কড়ি আছে, আর এই বাড়িটি, সবই তো তোর, ওরা কি করেছে ভুলে যা, আমিও একাই থাকি, আমরা দুজন দুজনার একাকীত্ব দূর করে, গল্প গুজব করে কাটিয়ে দেবো।"
দেবুর বাবা - মা মারা যাবার পর, তাদের গ্রামেই, পৈতৃক সম্পত্তি হিসাবে, গ্রামের প্রায় শেষ সীমানায় দুই কাঠা একটি জমি পেয়েছিলো। সেই জমির উপরেই, একটি ছোটো পাকা বাড়ি তৈরী করলো আর বছর তিন আগে ভাড়াবাড়ি ছেড়ে, সস্ত্রীক নিজের বাড়িতে এসে উঠেছিল। কিন্তু দুই বছর আগে স্ত্রী মারা যাবার পর থেকে ওর বাড়িতে কোন মহিলা নেই। দশটা পাঁচটা অফিস করে। তাহার ও নিঃসংগ জীবনে হতাশা চেপে বসছিল। মধু আসাতে দেবু বেশ আনন্দ অনুভব করলো। মধু, মাধবীর ডাক নাম।
দেবুর বাড়িতে একটি বসার ঘর, একটি শোবার ঘর, একটি রান্নাঘর এবং একটি পাঁচ ফুট চৌকো বাথরুম আর তার পাশেই, পাঁচ ফুট চৌকো একটি পায়খানা। বাইরের দরজা দিয়ে ঢুকেই, বসার ঘর, তার ডান দিকে রান্নাঘর। একটি ছোটো প্যাসেজ বাইরে যাবার দরজার উল্টো দিকে, যার ডান দিকে শোবার ঘর আর প্যাসেজ এর বাম দিকে পাশাপাশি বাথরুম এবং পায়খানা। রুমগুলি বড় না হলেও, একদম ছোটও নয়। শোবার ঘরে একটি ডবল বেড বিছানা পাতা ছিল। মধু আসাতে, শোবার ঘরটি মধুকে ছেড়ে দিলো। মধু আপত্তি করলেও, দেবু মেয়ের কোনো আপত্তি শুনলো না। মেয়েকে বসার ঘরে পুরোনো সোফা - কাম বেড টি দেখিয়ে বললো, "আমি এখানেই শুয়ে পড়বো।"
মধুর তখনো মানসিক অবস্থা খুব ভালো ছিল না, তাই বাবার সঙ্গে তর্ক না করে চুপচাপ রয়ে গেলো। ধীরে ধীরে মধু রান্না বান্না সহ ঘরের সমস্ত ভার নিজের কাধে তুলে নিল কিন্তু মুখে কোনো হাসি ছিল না। যান্ত্রিক কল এর মতন বাড়ির সব কাজ কর্ম করে যেতে লাগলো। দেবু, সোম থেকে শনি, সকাল নয়টা - সাড়ে নয়টার মধ্যে খেয়ে দেয়ে অফিসে চলে যেতো আর ফিরতো বিকেল ছয়টা নাগাদ। মধু তাই বলতে গেলে সকাল থেকে বিকেল একাই বাড়িতে থাকতো। দেবুও লক্ষ্য করলো মধুর মনমরা ভাব এবং তাই দেখে সে খুব মনে মনে কষ্ট পাচ্ছিলো। তাই রোজ বিকেলে বাড়ি ফিরে খুব চেষ্টা করছিলো মধুর সাথে স্বাভাবিক কথা বাত্রা বলে, ওকে ওর দুঃখ দূর করার। অফিস থেকে ফিরে, রোজ বিকেলে এবং রবিবার সারা দিন মেয়ের সাথে বেশি করে সময় কাটাতে লাগলো, জোর করে বাইরে ঘুরে বেড়ানো, রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার খাওয়া, সিনেমা হলে সিনেমা দেখা ইত্যাদি করতে শুরু করলো। এক দেড় মাস এই ভাবেই কেটে গেলো। মেয়েও কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে উঠলো। কিন্তু দেবুর মনে বিরাট একটা প্রতিক্রিয়া শুরু হলো। দেবু তার মেয়ের প্রতি আকৃষ্ট হতে লাগলো। দেবু নিজের মন কে বোঝালো, 'এটা সম্ভব না, আমার মেয়ের দিকে লোলুপ দৃষ্টি দেওয়া পাপ, না সে মেয়ের কাছে ছোটো হতে পারবে না।' অতি কষ্টে দেবু নিজেই নিজেকে সংযত করলো।
[/HIDE]