তা ঠিক মামা। যেকোনো দৃশ্য সরাসরি দেখার থেকে ছবিতে দেখতে বেশি সুন্দর লাগলেও, সরাসরি দেখলে অন্যরকম প্রশান্তি পাওয়া যায়। আবহাওয়া ভালো থাকলে তো কথাই নেই।
খারাপ লাগার সময়ে, কোন জায়গার ছবি দেখা আর ঐ জায়গা থেকে সরাসরি ঘুরে আসার ফল নিশ্চয় একই হবে না।
বেশ ক'বছর (দুই বা তিন বছর হতে পারে) আমরা বাড়িতে কোরবানীই দিতে পারিনি। অথবা বলা যায় বাড়ীতেই যেতে পারিনি ঈদে, যেটা এবছর সম্ভব হয়েছিল। পরিবারে আমরা চার ভাই আর এক বোন। বোন একটা হওয়ার কারনে অনেক আদরের ছিল। আমরা ভাইগুলো দূরে থাকার কারনে বোনটিও আমাদের কাছ থেকে দূরে চলে গেছে কখন খেয়ালই করিনি। এখন বোন বা দুলাভাই মাসে আমাদের বাড়িতে একবার আসে কিনা সন্দেহ। এবার তাদের সবাইকে আমাদের সাথে রাখার পরিকল্পনা নিয়ে গেছিলাম।
কোরবানী ছিল বাড়িতে ৪ টি। আর আমার আব্বার আকিকা ছিল ২ টি মোট ৬ টি। আমরা দুইভাগে ভাগ করে নিয়েছিলাম। ঈদের দিন ৪ টি আর ঈদের পরেরদিন আকিকা।
ঈদের দিন আমরা চার ভাই মিলেই চারটি কোরবানীর খাসি জবেহ থেকে শুরু করে বন্টন পর্জন্ত সম্পন্ন করেছি। বন্টন বলতে সমান তিনটি ভাগ করে একটি ভাগ সমাজে জমা দিয়ে এসেছি যা গরিব/মিসকিন পাবে। আমরা আমাদের বাড়ী থেকে কখনওই মিসকিনদের কোন গসত/মাংস বিতরন করি না, এটা আমাদের সমাজ প্রধানের কাজ। সমাজের প্রত্যেকটি দরিদ্র পরিবারে কোরবানীর গোশত পৌছে দেয়া তারপর বাইরের মিসকিন্দের সমান ভাবে বন্টন করে দেয়া। এরপর আমরা আমাদের আত্নিয়দের বাড়িতে আর প্রতিবেশীদের বাড়িতে সিন্নি বিতরন করে কোরবানীর আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করি। আর এগুলির সবার আগে ঈদের নামাজ আদায় করেছি সকাল ৭ঃ০০ ঘটিকায়।
ঈদের পরদিন ব্যস্ততা আরেকটু বেশি ছিল, পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী খুব সকালে আমরা আকিকার খাসি দুইটি জবেহ করি এদিন আমাদের গোশত কাটার জন্য আমাদের ফুফাত ভাই সাহায্য করেন আর আমরা চার ভাই তো আছিই। মোটামুটি সকাল ৯ টার মধ্যেই গোশত কাটাকাটির কাজ সম্পন্ন করি। এবার এরও সমান তিনটি ভাগ করে একভাগ গোশত আর চামড়া এতিমখানায় জমা দিয়ে আসি। তারপর এই গোশত সহযোগে বিরিয়ানি রান্না শুরু হয়। মুলত আমাদের ভাই বোনের শ্বশুর বাড়ীর দুএকজন কেই এখানে আমন্ত্রন জানানো হয়। বাড়ীর সকলে মিলে মোট ৬০ জনের মত দুপুরে আমরা একটা পুনর্মিলনীর আয়োজন করি। আলহামদুলিল্লাহ্ যাদের ডেকেছিলাম হাতে গোনা দুয়েকজন বাদে সবাই স্বতস্ফুর্তভাবে আমাদের সাথে শরিক হয়েছিল। অনেকদিন পর আমাদের বাড়িতে এতো মানুষের পদচারনা। বেশ আনন্দমুখর ছিল, অনেক ভাল লেগেছে।
পুরো বর্ননায় কোন অংশ আপনার মত পরিপন্থী হতে পারে, সেটুকু এভোয়েড করুন
গত কয়েকদিন আগে আমাদের এলাকার একটা ছেলে মজা করে ফেসবুকে একটা ছবি পোস্ট করেছি দেখিয়েছিল, সুর্য আর পৃথিবীর মাঝামাঝি ঈশ্বরদী এসে পড়েছে। বাড়িতে গিয়ে তার জলজ্যান্ত পরমান ও পেয়েছি। আর যা পেয়েছি আত আসার সময়।