ওদিকের খবর ভাল-খারাপ মিলিয়ে।
২৬ তারিখে ও জন্মেছিল, ২৮ তারিখ বিকেলে ডাক্তার জানালেন বাচ্চা পুরোপুরি সুস্থ নয়, বুকের দুধ পর্যাপ্ত চুষে খাচ্ছে না। যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে ভর্তি করেন। দেরি না করে তখনই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। একেতো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা তারউপর পরের দিন শুক্রবার। টানা ১৮ ঘন্টা বাচ্চাকে একরকম না খাইয়ে হাসপাতালে রেখে আর না পেরে ইন্টার্ন ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছিলাম, কি করব আমার বাচ্চাকে নিয়ে তা জানার জন্য। উনি বললেন বাচ্চাকে বারবার বুকের দুধ খাওয়ান। জানালাম বাচ্চার মা তো ঈশ্বরদী এখানে কিভাবে বারবার খাওয়াব? গতকাল বিকেলের পর থেকে আমার বাচ্চা এখনও কিছুই খায় নি। উনি বললেন আপনি চাইলে বাচ্চা কে নিয়েও যেতে পারেন। বেশ নিয়ে এলাম। আর পরের দিন আমি গাজীপুরে রওনা হলাম। টাঙ্গাইলে আসার পর জানলাম বাচ্চার চিকিৎসা পুর্ন হয়নি হবে বাচ্চার পরবর্তি সমস্যা দেখা দিতে পারে যেকোন সময়। আবার পাঠালাম ভাই ভাবীদের সাথে ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার সব শুনে জানালেন বাচ্চাকে আর হাসপাতালে ভর্তি না করলেও চলবে তবে সকাল বিকেল ইনজেকশন দিতে হবে এমন জায়গায় রাখতে হবে। তখন থেকে বাচ্চা তার নানীর বাড়ী না থেকে তার দাদীর বাড়ী আছে। এখানে অন্তত দুইজন এই তিন-চার দিনের বাচ্চাকেও ইনজেকশন দিতে পারবেন। আজ এবং আগামীকালও সে ইনজেকশনের উপর থাকবে। তা ছাড়া বাচ্চা বিন্দাস আছে।