আমার কেনো জানি মনে হয়েছে আজকের ম্যাচে বাংলাদেনশের বোলাররা তাদের বোলিং নিয়ে কিছুটা পরিক্ষা নীরিক্ষা চালিয়েছে। এই ধরনের পীচে সাধারণত স্লোয়ারে বেশ কাজ হয়। সেই সাথে কোনোভাবেই যেনো কোনো বল সর্ট পিচ না হয়ে যায় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হয়। কিন্তু আজকে কিছু কিছু বল বোলারদের প্রতি যে নির্দেশ ছিলো তার বাইরে গিয়েও করতে দেখেছি। ইদানিং মুস্তাফিজকে দেখি প্রায়ই অফ স্ট্যাম্পের বেশ কিছুটা বাইরে বলকে পিচ করে ভিতরে টেনে আনার একটা প্রবণতা তার মাঝে বেশ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। হয়তো এতে মাঝে মধ্যে ব্যাটসম্যান ভ্যাঁবাচ্যাকা খেয়ে ভুল শট খেলে আউট হয়ে যান, তবে মূল বিষয় হচ্ছে যদি ব্যাটসম্যান তার মাথা ঠান্ডা রাখেন সেক্ষেত্রে এই ধরনের বলে কিন্তু বাউন্ডারী হাঁকানো সহজ। বলের সেই বাঁকটাকে কাজে লাগিয়ে লেগ সাইডে পুল করে দিলেই সেটা ওভার বাউন্ডারী কিংবা বাউন্ডারী হয়ে যাবে। বিশেষ করে সেই ব্যাটসম্যানটা যদি ন্যাটা ব্যাটসম্যান হন। আমার ধারনা এটা একটা পরীক্ষামূলক বোলিং ডেলিভারি। আজকেও এই ধরনের কয়েকটা বল করতে দেখেছি মুস্তাফিজকে। যার কারনে আজ কিন্তু সে যতোটা সমীহ আদায় করার কথা ততোটা আদায় করে নিতে পারেনি। মুস্তাফিজের এখন যে অবস্থা তাতে এখন তাকে অনেকেই অনুসরণ করে। বিশেষ করে বাঁহাতি পেসাররা। শরিফুল তো ব্যাপারটা ইতিমধ্যে ঘোষনা দিয়েই জানিয়েছে যে সে মুস্তাফিজকে অনুসরণ করার চেস্টা করে। যদি এই পরীক্ষামূলক বল গুলোও অনুসরণের আওতায় পড়ে তবে তো সেটা ভালো কোনো ফলাফল বয়ে আনবে না।