টিকা নেয়ার ব্যাপারে, মামা। আমার অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস আছে। ১৫ থেকে বাইশের মাঝে ডায়াবেটিস উঠা-নামা করে। আগে রেগুলার ইন্স্যূলিন নিলেও গতো ফেব্রুয়ারী থেকে অনিয়মিতভাবে ইন্স্যূলিন নিচ্ছি। সাথে হার্টেরও কিছুটা সমস্যা থাকতে পারে। এমতাবস্থায় টিকা গ্রহণ করতে কিছুটা ইতস্তত। এই অবস্থায় আমার করণীয় কি ? আমি জানি না, এই ব্যাপারে আপনি পরামর্শ দিতে পারবেন কিনা। পাখি মামা বললো, আপনার সাথে যেনো পরামর্শ করি...
টেস্ট (ছোটভাই মামা) আর সাবাড়ের মধ্যে প্রতিযোগিতায় আপনি তো প্রতিযোগী (সাবাড়)... প্রতিযোগিতা শেষে বাকিদের মানে আমাদের জন্য বরাদ্দ থাকে খালি মিষ্টির প্যাকেট ও হাততালি দেয়া...
তাই হাসিমুখে বলি,
আমাদের মুখ খালি, আমরা দেই হাততালি...
টিকার ব্যাপারে মানুষের সন্দেহ কেটেছে/কমেছে বলে মনে হচ্ছে...
সরকার ৭ই অগাস্ট থেকে টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু করেছে । দেশব্যাপী এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৪ হাজার ৬০০টি ইউনিয়নে, এক হাজার ৫৪টি পৌরসভায় ও সিটি কর্পোরেশনের ৪৩৩টি ওয়ার্ডে টিকাদান কর্মসূচি চালানো হচ্ছে...
আফসোস শুধু এই কর্মসূচী যদি আরো কয়েকমাস আগে শুরু করা যেত...
ব্যাটিংয়ে আমাদের দূর্বলতা সিরিজের শুরু থেকেই চোখে পড়েছে। তবে এটাকে আমি খুব একটা বড় করে দেখেনি। একমাত্র মিচেল মার্শ ছাড়া অজিরাও এই ডিপার্টমেন্টে খুব একটা ভালো করতে পারেনি। সেই হিসাবে ধরেই নিতে হবে এটা পিচ আর কন্ডিশনের মিলিত ফসল। বাংলাদশের প্রায় সব বোলারই প্রত্যেকটা ম্যাচে দূর্দান্ত বোলিং করেছে। স্পীন-পেস দুই বিভাগই তাদের সেরাটা দিয়েছে এই সিরিজে। গতোকালকের ম্যাচটাও হয়তো আমরা জিতে যেতে পারতাম যদি না ক্রিশ্চিয়ান সাকিবের ঐ ওভারে ত্রিশটা রান না নিতে পারতো। এটা খেলারই অংশ। সাকিবকে আমি দোষারোপ করছি না। ক্রিকেট খেলায় এরকম ঘটনা আগেও ঘটেছে ভবিষ্যতেও আরো ঘটবে। শুধু বাংলাদেশের সর্বনিন্ম রান ডিফেন্ডের রেকর্ডটা হাতছাড়া হয়ে গেলো বলে কিছুটা খারাপ লাগছে। বাংলাদেশ গতোকাল ব্যাটিংয়ে ত্রিশ রান কম করেছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। আর এই ত্রিশ রান কম করার পিছনে ম্যানেজমেন্ট কিছুটা দায়ী বলে আমার মনে হয়। সিরিজ জিতে যাবার পরও উইনিং কম্বিনেশন ধরে রাখার কোনো মানে হয় না। স্কোয়াডে থাকা অন্যান্য প্লেয়ারদের ব্যাটিং প্র্যাকটিসের প্রয়োজনের তাগিদে হলেও এক দুইটা চেঞ্জ খুব দরকার ছিলো। ওপেনিং জুটি আমাদের ভোগাচ্ছে সেই কবে থেকে। এই সিরিজের একটা ম্যাচও এমন যেনি যেটাতে কুড়ি রানের উপর পার্টনারশীপ হয়েছে। শুধু গতোকাল সম্ভবত ২৩ রানের একটা পার্টনারশীপ হয়েছিলো। সৌম্যের পরিবর্তে অন্য কাউকে দিয়ে ওপেনিং করানোর একটা সুযোগ গতোকাল খুব ভালো মতোই ছিলো। আরেকটা ব্যাপার আমার কিছুটা খটকা লেগেছে। সৌম্যের আউট হয়ে যাবার পর বাঁহাতি নাইমের সাথে মাহদীকে কেনো পাঠানো হলো না ? ঐ সময় মাহদীকে পাঠালে আরেকটু ভালো ব্যাটিং হতো বলে আমার ধারনা। সাকিব নাইম দুজনেই বাঁহাতি বলে অজি বোলারদের ঐ সময় তাদের বোলিং লাইন ঠিক রাখতে বেশ সহজ হয়েছে। নাইমের সাথে মাহদী হলে বোলারদের লাইন খুঁজে পেতে কিছুটা সমস্যা হতো। আর যেহেতু কম সময়ে বাংলাদেশের স্কোর বেশ ভালো অবস্থায় ছিল তখন সেহেতু মাহদী কিছুটা চড়াও হয়ে খেলার চেস্টা করতো। যদি এই সুযোগে এক দুইটা বাউন্ডারী বের করে ফেলতে পারতো তবে সাকিব আরেকটু স্বাচ্ছন্দে ব্যাটিং করতে পারতো। আর এভাবেই সেই কম হওয়া ত্রিশটা রান বের হয়ে আসতো... জানি না আজকে খেলা হবে কিনা। আমাদের দিকে এখনো আবহাওয়ার যে অবস্থা তাতে যথেষ্ঠ সন্দেহ আছে খেলা হওয়া নিয়ে। আর হলেও সেখানে বাংলাদেশ আজকে ডমিনেট করতে পারবে কিনা সে বিষয়েও সন্দেহ আছে।
এই ম্যাচে তো বটেই পুরো সিরিজেই ব্যাটিং এ পুরোপুরি স্বচ্ছন্দ ছিল না টিম বাংলাদেশ...
অনেকে কন্ডিশনের কথা বলবেন, অস্ট্রেলিয়ার জন্য তা প্রযোজ্য, আরে আমাদের তো হোম কন্ডিশন...
মনে রাখা দরকার অস্ট্রেলিয়ার এই টিম এর আগের ৪টা T20 সিরিজ হেরে এসেছে, এটা পঞ্চম সিরিজ হার...
ঠিক বলেছেন এই ম্যাচে আরো ৩০/৩৫ রান করতে পারলে জয়ের প্রবল সম্ভাবনা ছিল...
আক্ষেপটা থেকেই যাচ্ছে। কেন?...
১০৪ রানের স্বল্প পুঁজি নিয়েও অস্ট্রেলিয়ার ৭ উইকেট ফেলে দেওয়া, ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত মানে ১৯তম ওভারের শেষ বল পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়া...
বোলারদের কৃতিত্ব দিতেই হয়, মোস্তাফিজের বোলিং তো ছিল অবিশ্বাস্য, সে ৪ ওভার বোলিং করে দিলো মাত্র ৯ রান, উইকেট নিল ২টা, এক সাকিব ছাড়া বাকিরাও ছিল দারুন...