What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

আসুন নির্জনে আড্ডা মারি-২০২০ (7 Viewers)

Status
Not open for further replies.

তবে আমিও যে কেমনে ধরা খাইতে পারি তা দেইখা সত্যিই অবাক লাগতেছে।
অবাক লাগারই কথা !
আমাদেরই যেখানে অবাক লাগছে...
তবে এটা ঠিক, তখন আপনি আপনার মাঝে ছিলেন না !!
 

ওদের ট্র্যাপিংটা মারাত্মক, দৌড়ের উপর থাকলে ধরা খুব কঠিন।
ভাগ্যিস আমার বিকাশ নেই !
থাকলে বাড়তি একটা চাপে থাকতাম, তাদের কাছ থেকে নিরাপদ থাকার জন্য...
 
চশমা লাগাতে হবে ?
ঠিক আছে, আমি না হয় আতশ কাঁচ দিয়ে দেখে নেবো...
চোখের অবস্থা দেখি বেজায় খারাপ!!
হাঁটু ধরে বইলেন না "ওগো এটা তুমার মাথা নাকি..."
 
চোখের অবস্থা দেখি বেজায় খারাপ!!
হাঁটু ধরে বইলেন না "ওগো এটা তুমার মাথা নাকি..."

সম্ভাবিলিটি প্রকট
 
কাছাকাছি টাইপের আমারও একটা অভিজ্ঞতা আছে...
মাখন, হাফেজ, রফিক আর আমি সন্ধ্যার পর মামাদের বাড়ির বারান্দায় বসে আড্ডা দিচ্ছি। এই সময়টা মামাদের বাংলা ঘরের বারান্দার দিকে সাধারনত কেউ আসে না। আমরা মনের সূখে বিড়ি টানছি আর টিনএজার আড্ডা দিয়ে যাচ্ছি। হঠাত করেই মেজো মামা এসে হাজির। হাতের বিড়ি ফেলে দিয়ে হাত ঝাপটায় ধোঁয়া সরিয়ে তাড়াতাড়ি আমরা ভদ্র ছেলে হয়ে গেলাম। যদিও মামার সামনে মাখন আর হাফেজ বিড়ি খেতো, তবুও দেখাদেখি তারাও সাফ সুতরো হয়ে গেলো। মামা প্রস্তাব দিলেন, চল তাস খেলি। এর আগে কখনো মামার সাথে বসে তাস খেলেনি। ভেবেছিলাম সটকে পড়বো। কিন্তু হঠাত করেই রফিকের পেট মোচর দিয়ে উঠাতে সে তড়িঘরি করে ছোট ঘরের উদ্দেশ্যে দৌড় দিলো। অগত্যা আমাকে বসতে হলো তাদের সাথে। হাফেজ মামার সাথে খেলবে না বলে আগেই ঘোষনা দেয়াতে তাকে আর নেয়া হলো না সেই আসরে। সে উঠে চলে যেতেই মাসুম, মুশু আর মুশিভাই এসে হাজির হলো আমাদের আসরে। ইতিমধ্যে খেলা শুরু হয়ে যাওয়াতে তারা পাশে বসে খেলা দেখতে লাগলো। কিছুক্ষণ পর দেখলাম, মাখন ফস করে দিয়াশলাই জ্বালিয়ে বিড়ি ধরালো। সে আমার পাশে বসা বলে খেয়াল করে দেখলাম বিড়িটা ৫৫৫। সে তো এই বিড়ি খায় না। সে খায় স্টার ! তখনি হঠাত মনে পড়লো, মামা আসার আগে আমরা যখন বিড়ি খাচ্ছিলাম, তখনই সে আমার কাছ থেকে বিড়ির প্যাকেট নিয়ে ওটা থেকে একটা বিড়ি ধরিয়েছিলো। এরপর আর প্যাকেটটা আমাকে ফেরত দেয়নি। মনে মনে হিসাব করছি, কয়টা বিড়ি ছিলো প্যাকেটটায় ? চৌদ্দটা... মামার সামনে বিড়ি খাইনা আমি। তাই বিড়ির প্যাকেটও ফেরত চাইতে পারতেছি না। কিছুক্ষনের মাঝেই দেখলাম মাখনের বাম পাশে থাকা আমার সেই বিড়ির প্যাকেট থেকে মুশু একখান বিড়ি নিয়ে ধরালো। মাছুমও ধরালো তার সাথে সাথেই। ইতিমধ্যে রফিকও চলে এসেছে। এসেই ধরিয়েছে আরো একখান বিড়ি। সবাই হিসাব করছে কার হাতে কি তাস আছে, আর আমি হিসাব করছি প্যাকেটে আর কয়টা বিড়ি আছে ! এদিকে আস্তে আস্তে রাত বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে কমে আসছে আমার বিড়ির সংখ্যা ! খেলা ছেড়ে উঠতেও পারছি না, বিড়ির প্যাকেট নিজের কাছে ফেরতও আনতে পারছি না। সবাই যেনো আজ একেবারে চেইন স্মোকার হয়ে গ্যাছে। একটা ফেলে কিছুক্ষনের মাঝেই আরেকটা ধরাচ্ছে। মাঝে মধ্যে মাখন নিজে থেকেও অফার করছে মাছুম কিংবা মুশুকে। খেলতে গিয়ে বারবার ভুল করছি খেলায়। আসলে মাখনের উপর রাগটা আমার প্রতি ক্ষনে ক্ষনেই বাড়তেছিলো। রাত যখন প্রায় নয়টা বাজতে চললো, তখন মাখনের পেচ্ছাপ পেলো। সে পেচ্ছাপ করতে উঠার সাথে সাথে আমিও লাফ দিয়ে বেরিয়ে এলাম যেনো আমার পেচ্ছাপ পড়ে যায় যায় অবস্থা এমন ভাব করে। বেরিয়েই দেখলাম মাখন সামনে বসে ছরছর করে পেচ্ছাব করছে। রাগের মাথায় ঠেসে ধরলাম তাকে সেই পেচ্ছাবের উপরই... শালা, পরের ধনে পোদ্দারী !! আমার বিড়ি তুই এইভাবে বিলিয়ে যাচ্ছিস ক্যান ? মাখন কিন্তু একটুও রাগ করেনি আমার এই ব্যবহারে। সে হাসতে হাসতে বললো, আরে তোর লাইগ্যা তো একটা রাইখ্যাই লইছি। এই দ্যাখ !! প্যাকেটটা আমার হাতে দিতে দিতে সে জানালো, আমি জানি রাত্রে তোর একটা লাগবোই। আর এতো রাইতে বিড়ি পাইবি কই ? হের লাইগ্যাই আমি পেশাব করতে বাইর হইছি যাতে তোরে প্যাকেটখান দিতে পারি। আমি জানতাম, আমি পেশাব করতে বাইর হইলে তুইও বাইর হবি...



তুষের আগুনে জ্বলার অনুভুতি ......
 
সকল এডমিন মামা মড মামা, এই ছোট মামা বেশ কিছুদিন ফোরামে অনুপস্থিত। সবাই হয়ত ভাবছেন মামা গেল কথায়।
চলেন আজকে আপনাদের আমার এখনকার দৈনিক কাজের একটু ফিরিস্তি দেই। সকালে ঘুম থেকে উঠি একটু দেরিতে,
কারন পরে বুঝবেন, ঘুম থেকে উথে হাত মুখ ধুয়ে প্রাতরাস করে ছুটি আমার দোকানে, দোকানে থাকি প্রায় দুপুর ২:৩০-
০৩:০০ অবধি, ফিরে আসি বারিতে, স্নান খাওয়া করে বেরই আমার বাইক বাহনে দোকানের দৈনিক চালান আনতে, আর
এর জন্য আমার দৈনিক প্রায় ১১০-১২০ কি মি বাইক চালাতে হয়। বাড়ি ফিরতে সাধারনত ৭:৩০ - ০৮:০০ বা সময় বিসেসে
দেরিও হতে পারে, বাড়ি এসে হাত মুখ ধুয়ে একটু রেস্ট করে রাত্রির খাওয়া সেরে একটু ফসবুক ইউটিউব দেখে, একটু ফোরাম
খুলে দেখতে দেখতে ১১:০০ ১২:০০ বেজে যায়। এইবার সারাদিন এই খাটুনির পর কখন ঘুম চলে আসে নিজেও জানি না, আর
এই করেই আবার পরের দিন ঘুম থেকে উঠতে হয়ে যায় দেরি।



জীবনের ব্যস্ততা।
থাকলে খারাপ লাগে আবার না থাকলে আরও বেশী খারাপ লাগে।
 
চোখের অবস্থা দেখি বেজায় খারাপ!!
হাঁটু ধরে বইলেন না "ওগো এটা তুমার মাথা নাকি..."
খালি চোখের যতোই জোর থাকুক, ব্যাকটেরিয়া দেখতে হইলে তো আতশ কাঁচের সাহায্য নেয়াই লাগে...
 
Status
Not open for further replies.

Users who are viewing this thread

Back
Top