চমৎকার বলেছেন, মামা।কোরবানি এর বিষয়টা একটু ব্যাখ্যার অবকাশ আছে।
যিনি হজ্ব পালন করছেন তাঁর জন্য কুরবানি দেওয়া ওয়াজিব (ফরজের মত হলেও ফরজ নয়) হজের একটা আনুষ্ঠানিকতা হিসাবে।
আর ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে যাকাত ও হজ্জ যথাক্রমে ৪র্থ ও ৫ম ফরজ। যে দুটি পালন করা সামরথের বিবেচনায় বিচার্য বলে র উল্লেখ আছে বিভিন্ন লেখা বা বয়ানে।
ক্রম অনুসারে যাকাত হজ্জের আগে হলেও যাকাতের ফরজ আদায়ে সবচেয়ে বেশী শিথিলতা পরিলক্ষিত হয়। অনেক সচেতন ভাবে অসচেতন হই হিসাবে। সেটা নিয়ে আমরা বিব্রত নই সমাজে।
ধর্মের অবশ্য পালনীয় প্রথম তিনটি স্তম্ভের ফরজ আদায়ে আমাদের সবচেয়ে বেশী সচেতন হওয়া উচিত হলেও কারজ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে আমরা সেগুলোর চেয়ে আমরা হজের আনুষ্ঠানিকতার একটা ওয়াজিব পর্ব কুরবানি সম্পাদনে আমরা শুধুই সবচেয়ে বেশী সচেতন নই বরং উদবিঘ্ন।
এই কথাটাই ঘুরিয়ে এভাবে বলা যায় - বছরে কোরবানি না দিতে পারলে আমরা যতটা না হতাস/অনুতপ্ত/লজ্জিত বোধ করি তার একটা কোনা পরিমান হতাশা/অনুতপ্ত/লজ্জিত বোধ আমাদেরকে মানসিক ভাবে পীড়িত করে না যখন আমরা আমাদের জন্য অবশ্য পালনীয় ধর্মের তিনটা স্তম্ভ পালনে ব্যারথ হই।
ভাবার বিষয় আছে। অন্ততঃ এই করোনা পরিস্থিতিতে দুটো বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে ভাবার দরকার আছে।
১। করোনা বিস্তারের সম্ভাবনা।
২। ওই পরিমান টাকা এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় কতটা সহায়ক হতে পারে।
ক্বোরবানীটা যেনো নিজের সামাজিক অবস্থান তুলে ধরার অন্যতম একটা মাধ্যম হয়ে গেছে। সমাজের প্রায় সব জায়গায়ই ক্বোরবানী দিতে না পারাটাকে লজ্জাজনক বলে অনেকেই মনে করেন। অথচ, এর সাথে সামর্থ্যের ব্যাপারটা জড়িত। যার সামর্থ্য নেই, সে ক্বুরবানী দিবেনা, এটাই ধর্মীয় নিয়ম। আর যে ক্বোরবানী দিচ্ছে তার ক্বোরবানীতে যে দিতে পারছে না তার হক্ব নিহিত আছে...
আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের এলাকায় এই নিয়মটা খুব সচেতনভাবেই আমরা অনুসরণ করে থাকি। বিশেষ করে বিগত ১৫-২০ বছর যাবত আমাদের এলাকায় কোন শরীকি ক্বোরবানী দেয়া হয় না। এককভাবে যারা ক্বোরবানী দেয়ার ক্ষমতা রাখে, শুধু তারাই পশু ক্বোরবানী দেয়। বাকিরা সবাই সেই ক্বোরবানীতে অংশগ্রহণ করে থাকে।