আপনে ঠিকই কইছেন, মামা।ঝাইড়া কাশনের কি আছে! এটা তো সবাইই জানে যে, যার পকেট যতো ভারি তার ইজ্জতও ততো বেশী
মেলা কয়দিন আগে বিকেল বেলা হাটতে বাইর হওনের সময় পোলায় বায়না ধরলো তারে কয়টা পাত্থর আইন্যা দেওনের লাইগ্যা ! তারে কথা দিলাম, ফেরার পথে পাত্থর লইয়া আসুম ! হাটতে বাইর হইয়া চিন্তায় পইড়া গেলাম, পোলার লাইগ্যা এখন পাত্থর আনি কই থাইক্যা ? কি আর করা, কথা যেহেতু দিছি, আইন্যা তো দেওনই লাগবো। বুদ্ধি কইরা নদীর পারে হাটতে না যাইয়া রেল লাইনের দিকে ঘুইরা গেলামগা... রেল লাইনের পাশ দিয়া হাটতে হাটতে রেল লাইন থাইক্যা গড়াইয়া পড়া পাত্থর থাইক্যা পছন্দ কইরা কইরা পোলার লাইগ্যা পাত্থর কুড়াইতে লাগলাম। মেলা কয়টা হইয়া যাওনের পরে পত্থরগুলান আমার প্যান্টের দুই পকেটেই ভইরা রাখলাম। পাত্থর ভইরা ফেরার পথে দেখলাম, লোকজন খালি আমারে সেলাম দ্যায় ! মনে মনে চিন্তা করি, হায়রে কি হইয়া গেলো ! সবতে আমারে এমতে কইরা সেলাম ঠুকতাছে ক্যান ? ঘটনাটা ঐদিন বুঝি নাই। আইজকা বুঝলাম !
আমার পকেটের ওজনের লাইগ্যাই সবতে আমারে ঐদিন ইজ্জত কইরা সেলাম দিছিলো !!