দাও ফিরিয়ে সে অরণ্য, লহো এ নগর। পদ্মা সেতুর একটা রাজনীতি আছে, সেদিকে যাবনা। সেদিন আমার চাচার বাসায় গিয়েছিলাম। মগজে কারফিউ লাগলে অক্সিজেন দরকার হয়। চাচা আমার সেই অক্সিজেনের যোগানদাতা। আমি চাচাকে জিজ্ঞেস করলাম, চাচা, তবে কি মধ্যবিত্তরাই এই পৃথিবী ধ্বংস করবে একদিন? যে মধ্যবিত্তরা একসময় সকল প্রগতিশীল রাজনীতির অগ্রভাগে ছিল, আজ সেই মধ্যবিত্তরাই জল আর জমি দখলে উঠেপড়ে লেগেছে সবখানে? চাচা বললেন, এমনটা নয় আসলে। এই পৃথিবী ধ্বংসের সূচনা হয়েছিল মানুষ যেদিন থেকে কৃষিকাজ শিখলো, ব্যক্তিগত সম্পত্তির ধারণা তার মাথায় এলো, তখন থেকে। এখন আমরা মানুষের তৈরী পৃথিবীতে বসবাস করছি। মানুষই সবকিছুর নিয়ন্তা। একটা প্লেন চালাতে কত টন জ্বালানী লাগে, প্লাস্টিকগুলি কোথায় যাচ্ছে কিংবা যান্ত্রিক অবশিষ্ট? একটা পদ্মা সেতু বানাতে কত কিলোমিটার বাঁধ দিতে হয় নদীতে? চীন যে ৬০০ কিমি বেগে ট্রেন নির্মান করছে তা তৈরীতে কত বনজঙ্গল কেটে সাফ করতে হবে? বাংলাদেশে প্রতিদিন কয়টি গাড়ি বিক্রি হয়? কে তা ভোগ করে? কয়টি এসি বিক্রি হয়? এই যে এত কার্বণ নিঃসরণ, এর দায় কে নেবে? যুক্তরাষ্ট্রের কার্বণ নিঃসরণের দায় কেন নেবে বাংলাদেশ? মানুষ এই পৃথিবী ধ্বংস করে ফেলছে। আমি, আপনি, আমরা কেউ এই দায় এড়াতে পারবোনা। আমাদের গাড়ি দরকার, বাড়ি দরকার, এক না একাধিক দরকার। তাহলে মানুষের কি ভবিষ্যতের প্রতি কোন দায় থাকবেনা?