আগে বাংলা চলচ্চিত্রটা ছিলো পারিবারিক বিনোদনের অন্যতম সেরা মাধ্যম ! পরিবারের সবাই মিলে সিনেমাহলে বা বাড়িতে টিভির সামনে বসে দেখা যেতো। যার কারনে অধীর আগ্রহে নতুন ছবি রিলিজের কিংবা টিভিতে সিনেমা দেখানোর দিনের জন্য অপেক্ষায় থাকতাম পরিবারের সবাই মিলে। এখন আর সেই অবস্থা নেই। রুচিশীল পরিবারের মা-ছেলে বা ভাই-বোন একসাথে বসে বাংলা ছায়াছবি দেখার মতো অবস্থা নেই। তাই এই ধরনের বিনোদনের জন্য পুরনো ছবির কোনো বিকল্প নেই। ইচ্ছে করলে সময় করে পরিবারের সবাই মিলে একসাথে বসে এই বিনোদন উপভোগ করতে পারেন, মামা !
এটা আসলে দৃস্টিভঙ্গীর ব্যাপার, মামা। আমার এক বন্ধু তার পরশী সম্মন্ধে আমাকে প্রায়ই অভিযোগ করতো যে তার পড়শি লোক ভালো না। তার সাথে বেশী কথা বলে না, সব সময় মুখ ভার করে থাকে, রাস্তায় দেখা হলে পাশ কাটিয়ে চলে যায় কছু বলে না। ইত্যাদি ইত্যাদী... আমি যখন আমার বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কতোদিন তাকে কুশল জিজ্ঞেস করেছো ? কিংবা রাস্তায় দেখা হলে আগে কথা বলার চেস্টা করেছো ? সে বললো, ওরকম গোমড়া মুখো লোকের সাথে কি আগে কথা বলা যায় নাকি !! আমি বললাম আগামী একমাস যখনই তোমার পড়শির সাথে দেখা হবে, হাসিমুখে আগে কথা বলবে। সে যদি তোমার কথার জবাব নাও দেয়, এই প্র্যাকটিসটা একমাস অন্তত জারি রাখবে।
একমাস পর তার পড়শীর সাথে তার আড্ডা দেয়ার ব্যস্ততার কারনে আমি তার সাথে কথা বলার সুযোগই খুঁজে পাই না...
আমিও ঢাকার বাইরের লোক। তবে আপনার মতো এতো দূরের না। যদিও বন্ধু বান্ধবের জন্য এই দূরত্বটা কিছু না। যদি আন্তরিকতা থাকে ! আমাদের এক বন্ধু ছিলো, রাখাল মামা। ওনি বগুড়ার লোক ছিলেন। আমাদের সাথে অফলাইন আড্ডা দেয়ার জন্য প্রায়ই ওনি বগুড়া থেকে ঢাকায় চলে আসতেন। যখন আমরা অফলাইন আড্ডার জন্য ডাকতাম... অনেকদিন বেচারার কোনো খবর পাই না। খুবই রসিক আর ভালো লোক ছিলেন। অফলাইন আড্ডার খাবার কম্পিটিশনের নিয়মিত প্রতিযোগি ছিলেন !