গত কাল অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ হওয়ার পর।
আশা ছিল জিতবো। এবং সেই আশা অমূলক ছিল না।
আমার বন্ধুদের বলেও ছিলাম। তামিম আর সৌম্য যদি ক্রিজে ১২-১৫ ওভার টিকে তাহলে জয় আমাদের সুনিশ্চিত।
দুই জনেই স্ট্রোক প্লেয়ার। এবং এতো রানের পাহাড় ডিঙ্গাতে এই দুই স্ট্রোক প্লেয়ার ১২ ওভার টিকা মানে ১০০ রান পার হওয়া।
কিন্তু তামিম খেলল টেস্ট ম্যাচ এবং রান আউট করালো সৌম্য কে।
বাকিদের পারফরমেন্স আলহামদুলিল্লাহ্।
শুরুটা ঝটিকা শুরু করতে পারলেই অস্ট্রেলিয়ার টেনশন শুরু হত আর শেষের দিকে রান রেটের পাহাড়ের অথৈ জলে পড়তে হত না পরের ব্যাটসম্যানদের।
তারপরেও লড়ে হেরেছে বাংলাদেশ লড়াকুর মতই।
সাবাশ "টিম বাংলাদেশ"।
১২ রানে মাশরাফির বলে সাব্বির যদি ওয়ার্ণারের ক্যাচটা ড্রপ না করতো, তবে মনে হয় খেলাটা আমরা সহজেই জিতে যেতাম। ফিল্ডিংয়ে আরো কিছু ভুল করেছে এই সাব্বির। আর তার ব্যাটিং এর কথা আর কি বলবো ?
কালকের দিনটা সম্ভবত সৌম্যের ছিলো। তামিম যদি তাকে ডেকে এনে রানআউট না করাতো, তবে তার কাছ থেকে ভালো একটা ইনিংস আমরা হয়তো পেতাম। প্লেয়ার যখন মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকে, তার দ্ধারা অসাধ্য কিছু হয়ে যায় নিজের অজান্তেই। নিয়মিত বোলাররা যখন উইকেট পাচ্ছিলো না, তখন সৌম্য তিন তিনটা উইকেত তুলে নিয়ে মানসিকভাবে খুবই উঁচুতে অবস্থান করছিলো। যার ছাপ পড়েছিলো যখন সে ব্যাটিং করতে নামে তখন। বিশ্বের সেরা পেসার তখন তার কাছে সাধারন পেসারে পরিণত হতে যাচ্ছিলো...
রানআউট সব সময়ই দুঃখজনক। তবে কালকে সৌমের রানআউটটা ছিলো খেলা হারের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট। আর প্রধান টার্নিং পয়েন্টটা ছিলো ওয়ার্নারের ক্যাচ ড্রপ।