আমরা হলাম তৃতীয় বিশ্বের তৃতীয় শ্রেনীর নাগরিক ! সম্ভবত আরো নিন্ম মানের নাগরিক। শ্রেনী বিন্যাসে এই তিনটা ধাপ থাকায় এর থেকে নিচে আর নিজেদের নামাতে পারছি না। চিংড়ি থেকে ইলিশ, চা থেকে চাঁপা কলা কোনোটারই প্রথম শ্রেনীর কোনো কিছু দ্যাশে থাকে না। সব চলে যায় বিশ্বের প্রথম শ্রেনীর নাগরিকদের খেদমতে... এমন অনেক কিছুই আছে যা শুধু চোখ চেয়ে দেখার জন্যও সুযোগ পাই না। লোকের মুখে গল্প শুনি এটা এরকম ছিলো তো ওটা ওরকম ছিলো... কিছুই করার নেই, মামা। ভাগ্য দোষে (!! ) এরকম দ্যাশে জন্ম নিয়েছি। আমাদের ভাগ্যে তো তৃতীয় শ্রেনীর পন্যই জুটবে। আফসোস করছি না, গোস্বা প্রকাশ করছি। লবনের বোঝা বওয়া গাধার মতো আমরা শুধু উৎপাদনই করে যেতে পারবো। চেখে দেখতেও পারবো না।
আপনাদের এলাকায় যা পাওয়া যায়, সেটিও কম কিসে ? কোনো এক শীতের শুরুতে বা শেষে সেই কম কিসে'র চা খেতে চলে আসবো, মামা।