অন্যরকম একটা আছে...
আমাগো সময় ক্লাস সেভেন, এইটে আরবী একটা সাবজেক্ট ছিলো, এক বৃষ্টির দিন অনেকে ছাতা নিয়া স্কুলে গেছি, পিছনের খালি ডেস্কগুলার ওপরে মেইলা দিছি। মোল্লা স্যার আরবী ক্লাস নিতেছেন। আমি আর ফারুক (দুই বান্দর) আরবী ভালো পারিনা বইলা ছাতার আড়ালে লুকাইছি আর চুপচাপ কাটাগোল্লা খেলতেছি। হেড স্যার (এ. কে. এম শামসুদ্দিন আহমেদ (বাঘ)) ক্লাস চলাকালীন প্রায়ই বারান্দা দিয়া টহল দেন। দুর্ভাগ্য, ঐদিন টহলের সময় হেড স্যারের নজরে পইড়া গেলাম। অতঃপর....
.
.
.
.
.
.
বইলাই দেই - ঘাড়ে ধইরা ডেস্কের ওপরে উপুড় কইরা হাত দিয়া পিঠে আর পাছায় ... ... সাথে বাণী, 'বাউড়োর হাড্ডি, স্কুলে বাঁদরামি করার জন্য আসিস'...
রামবকা খাইছেন মোল্লা স্যার, 'আপনি কেমন তরা শিক্ষক, আপনার ক্লাসে ছাত্ররা এইসব করে, আপনি টের পাননা ?'
ভয়ে ছিলাম, টিসিই দিয়া দেয় কিনা ? না, বাসায় কেউ জানে নাই। ঐ টুকুর উপর দিয়া গেছে...
স্যাররা কেমন আছেন বা বেচে আছেন কিনা জানিনা। বেচে থাকলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাদের নেক সুস্থ হায়াত দারাজ করুন, আর মারা গেলে তাদের বেহেস্ত নসীব করুন - এই দোয়া করি। ঐদিন ক্ষমা চেয়েছিলাম, সুযোগ হলে আবারো সমস্ত ভুল ও অন্যায় এর জন্য ক্ষমা চাইবো এবং ওনাদের কাছে দোয়া প্রার্থনা করবো...