What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

আসুন নির্জনে আড্ডা মারি - ২০১৯ (2 Viewers)

Status
Not open for further replies.
কোথায় কি
ঢেলে দিলেন দিপু মামার পান্তা ভাতে ঘি।

আমি তো কেবল নিজের পিঠ বাঁচাইতেই এই পান্তা ভাতে ঘি ঢালার প্রয়াস পেয়েছিলাম, মামা !

পান্তা ভাতে ঘি নিয়া আড্ডাঘরে মেলাই গো এষনা হচ্ছে, একদিন সত্যি সত্যি দিপু মামার মত পান্তা ভাতে ঘি ঢাইলা খামু নাকি চিন্তা করতাছি...
 
অ মুরগীরে ডিম পাড়াইয়া সেই ডিম থেকে মুরগীর বাচ্চা ফুটাইয়া ঘরে ফিরবো...
আবুলের বেশ কয়দিন যাবতই মনটা আনচান করতেছে। কিন্তু সমস্যা হইল, কি কারনে আনচান করতেছে সেইটাই সে বুঝতেছে না। দিন দিন এই আনচান খালি বাড়তেছেই। বাড়তে বাড়তে এইটা এখন রীতিমত পেরেশানীতে রূপ নিছে। ছটফটানীর কারনে কোনো মতেই যখন কোনো কাজে মন বসাইতে পারতেছে না তখন একদিন দুপর বেলা খাওয়া দাওয়া পর বিছানায় গড়াগড়ি করার সময় হঠাৎই বন্ধু বাবুলের কথা মনে পড়লো। আহারে ! পরানের দোস্ত... কতদিন তার লগে দেখা সাক্ষাত নাই ! শেষ কথা কবে হইছে সেইটা মনে করার লাইগ্যা জোর কইরা আবুল চোখ টিপ্যা ধরলো। মনে হইতেই হঠাত কইরা চোখ বড় হইয়া গেলো ! আহারে শেষ কথা হইছে, তাও মাস ছয়েক আগে। "নাহ, আইজকাই তার বাড়িত যাওন লাগবো "... বিড়বিড় কইরা আবুল কথাটা কইয়া আর দেরী করলো না, সোজা বিছানা থাইক্যা উইঠ্যা গায়ে সার্ট পইরা ফালাইলো। বিবির দেয়া পানটা টেবিলের উপর থাইক্যা মুখে চালান কইরা হাতের আঙ্গুলে চুন নিতে নিতে তারে ডাক দিলো। আবুলের ডাক শুইন্যা আঁচলে হাত মুছতে মুছতে তার বিবি সামনে খাড়াইতেই আবুল জানাইলো সে বাবুলের বাড়ি যাচ্ছে। মেলাদিন পর পরানের দোস্তের বাড়ি যাচ্ছে দেখে বিবি বেশ কিছুটা খুশীই হয়েছে। একসাথে মেলাদিন ঘর করার পরও স্বামীর বর্তমান পেরেশানীতে বিবি কিছুই করতে পারে নাই। এবার যদি দোস্তের কাছে গেলে তার মন কিছুটা ভালো হয় এই চিন্তায় বিবি খুশী মনেই কইলো, "এইটা তো ভালা কথা। বাবুল দাদাগোর ঐখান থাইক্যা ঘুইরা আইলে আপনের মনটাও ভালা লাগবো। তয় এই অবেলায় যাইতেছেন ফিরবেন কখন ? এদিকে আবার ভাইজান আইতাছে..." বিবির মুখে সুমুন্দী আসনের খবর শুইন্যা আবুলের মেজাজটাই বিগড়াইয়া গেলো। এই লোকটারে আবুল খুব ভালা পায় না । পাছে বউ রাগ করে হের লাইগ্যা সামনা সামনি কথাটা না কইলেও বউ যে ব্যাপারটা আঁচ করতে পারে সেইটাও আবুল জানে। তার ভাই আইতাছে এই অজুহাতে আবুলরে আইজ বাড়িত থাকতে কইতে পারে মনে কইরা এই ব্যাপারে আবুল আর কোন মন্তব্য না কইরা কথাটা ভালাভাবে শুনতে পায় নাই এমুন ভাব কইরা বাড়ি থাইক্যা বাইর হইয়া গেলো। কিছুদূর যাওনের পরে চিন্তা করলো। এইভাবে যে আমি বাড়ি থাইক্যা বাইর হইয়া যাইতেছি, সুমন্ধী আইলে তো আপ্যায়ন করার মতো বাড়িতে তেমন কিছু একটা নাইও। আনমনে চিন্তা করতে করতে আবুল মোড়ের চায়ের দোকানের বেঞ্চিতে গিয়া বইলো। বিকেলের দিকে চায়ের দোকানে বেশ ভীড় হইলেও এই মুহুর্তে চায়ের দোকান একেবারে ফাঁকা। জামাল উদ্দীন বিকেলের জন্য চায়ের কাপ, কেতলী এই গুলান পরিষ্কার কইরা চায়ের আস্র জমানোর প্রস্তুতি লইতেছিলো। আবুলরে এই সময়ে চায়ের দোকানে দেইখ্যা জামাল উদ্দীন জিগাইলো- এই অসময়ে আবুল মিয়া কি কারনে ? চায়ের খুব পিপাসা লাগছে নাকি ? আমার কইলাম চা দিতে আরো মিনিট বিশেক লাগবো। জামাল উদ্দীনের কথার কোনো জবাব না দিয়া আবুল চুপ মাইরা বেঞ্চিতে বইস্যা রইলো। আবুলের চুপচাপ আবস্থা দেইখ্যা জামাল উদ্দীনও আর কথা বাড়াইলো না। সেও চুপচাপ তার কাপ মাজায় মন দিলো। এই মুহুর্তে মোড়ের প্রায় সব দোকানই বন্ধ। দুপরে তেমন খরিদ্দার না থাকায় প্রায় সব দোকানই বন্ধ থাকে। খালি ওই কোনার দুইটা গান-বাজনার দোকান আর আলীর মুদী দোকানটা ছাড়া। গান বাজনার দোকান দুইটা দুই চ্যাংড়া পোলাপাইনের। প্রায় দিনই আবুল খেয়াল করছে, এই দুপরে যখন মোড়ের সব দোকান বন্ধ থাকে তখন ঐ দোকান দুইটায় বেশ ভীড় থাকে। দোকানের মালিকের বয়সী কয়টা পোলাপাইন টিভির (কম্পিউটার মনিটরের) সামনে হুমড়ি খাইয়া কি যেনো গভীর মনোযোগের সাথে দেখে। দোকান দুইটায় দুপরে যিমুন ভীড় থাকে, বিকেলে ততোটা থাকে না। আর আলীর বাড়িতে এখন কেউ নাই। আলীর বউটা মারা যাওনের পরে আলীরে দুপরে বাড়িতে যাইতে দেখে নাই আবুল। পুরা দুপরটাই সে চাইল আর ডাইলের বস্তাগুলান ঠিকঠাক কইরাই কাটাইয়া দ্যায়। চায়ের দোকানে কতোকখন আবুল বইস্যা ছিলো মনে নাই। হঠাৎই জামাল উদ্দিনের ডাকে সংবিৎ ফিরলো আবুলের। মুখের সামনে ধোঁয়া উঠা এক কাপ চা নিয়া আবুলরে ডাকতেছিলো। হাত বাড়াইয়া কাপটা নিয়া আবুল চায়ে খুব ছোট্ট কইরা একটা চুমুক দিলো। চুমুক দিয়া মুখ তুলতেই দেখলো রাস্তা দিয়া সুজন বাড়ির দিকে যাইতেছে। সুজন আবুলের পড়শী ভাতিজা। আবুলের বাড়ি হইয়াই সুজনের বাড়ি যাওয়া লাগে। আবুল সুজনরে ডাইক্যা কাছে আইতে কইলো। সুজন কাছে আইতেই আবুল কইলো, তুই তো বাড়িত যাইতেছস, আমাগোর বাড়িতে দুইটা সদাই দিয়া যাস। খাড়া আগে চা টা শেষ কইরা লই। তু কি চা খাবি ? সুজন মাথা নাড়াইয়া না কইরা মুখে কইলো, এখন বাড়িত যাইয়া গোসল কইরা ভাত খামু। চা খামু না। আবুল চা শেষ কইরা আলীর দোকান থাইক্যা এক হালী ডিম দুইটা নুডলস আর একখান কেক কিন্যা সুজনের হাতে ধরাইয়া দিলো। কইলো, তো কাকিরে এইটা দিস আর কইস, মেহমান আইলে য্যান আপ্যায়ন করে। আমার ফিরতে দেরী হইতে পারে। সদাই কয়টা সুজনরে দিয়া পাঠাইয়া দেওনের পরে আবুলের কিছুটা স্বস্তি লাগলো। এইবার সে ধীরে ধীরে দোস্তের বাড়ির দিকে রওয়ানা দিলো। বাবুলের বাড়ি পৌঁছতে পৌঁছতে বিকাল গড়াইয়া গেলো। দোস্ত বাড়িতেই ছিলো। মেলাদিন পরে আবুলরে দেইখ্যা বাবুল হৈ হৈ কইরা ঘর থাইক্যা বাইর হইয়া আইলো। কাপড়ের আঁচল ঠিক করতে করতে তার পিছন পিছন বাবুলের বউও ঘর থাইক্যা বাইর হইয়া আইলো। বাবুলে পোলাটারে আশেপাশে কোথাও দেখা গেলো না। হয়তো মাঠে খেলতে গেছে। বাবুলের পোলাটার কথা মনে হইতেই আবুলের বেশ লজ্জা লাগলো। খেয়ালের বশে খালি হাতেই দোস্তের বাড়িত চইল্যা আইছে আবুল। পোলাডার লাইগ্যাও তো কিছু একটা নিয়া আসনের দরকার ছিলো। নিজের উপরই রাগ হইলো আবুলের এমন ভুল হওনের লাইগ্যা। ইদানিং এই ধরনের ছোটখাট কিন্তু মারাত্নক কিছু ভুল আবুলের হইয়া যাইতেছে। যার কারনে মনটা তার আরো বেশী পেরেশানীতে ভইরা যাইতেছে। দোস্ত কিংবা তার বউ যে এই ব্যাপারটায় মনে কিছু করবো না সেইটা আবুল খুব ভালা কইরাই জানে। তাগোর ব্যবহারেও অবশ্য তেমন কিছু একটা বুঝা যাইতেছে না। সাধারন কুশল বিনিময়ের পরেই দুই দোস্ত যাইয়া বাড়ির সামনের আমগাছ তলায় বইলো। বাবুলের বউ খুব ভালা কইরাই জানে দুই দোস্তের আলাপের সময় কেউ গিয়া তাগোরে বিরক্ত করুক সেইটা তারা দুই দোস্তের একজনেও পছন্দ করে না। হের লগে এইটাও জানে, দুই দোস্ত একবার আলাপে বইলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যে কোনহান দিয়া যায়, সেইটা তারা দুইজনের একজনও কইতে পারে না। আমগাছ তলার দিকে একবার চাইয়া বাবুলের বউ রাতের খাবারের বন্দোবস্ত করতে লাইগ্যা পড়লো। রাতের খাওনের সময় পর্যন্ত তো একটা আলাপ চলবোই, ইমুনকি আলাপ জইম্যা উঠলে আবুল ভাই রাইতে থাইক্যাও যাইতে পারে। সেই ক্ষেত্রে দুই বন্ধু যে বাংলায় রাইত কাটাইবো এইটা নিশ্চিত। দুই বন্ধুর আলাপ বেশ জইম্যা উঠছে ইতিমধ্যেই। সন্ধ্যার পর আমাগাছ তলায় মশার উৎপাতে বাইড়া যাওয়াতে দুই বন্ধু বাংলায় বইস্যা এখন আড্ডা দিচ্ছে। এশার নামাযের আযান হইয়া গেছে মেলা আগে। সেই হিসাবে মনে হয় এখন রাইত দশটা বাইজ্যা গেছে। দুই বন্ধুর হুঁশ না থাকলেও বাবুলের বউ এইবার তাদের ডাকার চিন্তা করলো। সন্ধ্যায় রান্ধা খাওন সব ঠান্ডা হইয়া গেছে। তারা খাইতে যদি আরো বেশী দেরি করে তাইলে সেইটা বাসি হইয়া যাইতে পারে। ডাকার লাইগ্যা বাংলার কাছাকাছি হইতেই বাবুলের বউ দুই বন্ধুর হাসির আওয়াজ পাইলো। এর মাঝে আবুলের হাসিটাই যেনো বেশী বড়। হাসিতে কান না দিয়া বাবুলের বউ সরাসরি তাগোর সামনে গিয়া খাওনের কথা কইলো। হের লগে এইটাও জানাইলো যে মাঝ রাইত পার হইয়া যাইতেছে। এইবার আবুল বাবুল দুইজনেরই হুঁশ ফিরলো। দুইজনেই জলদি কইরা আলাপ থামাইয়া হাত মুখ ধুইয়া খাইতে আইলো। খাওয়া দাওয়া শেষ কইরা আবুল কইলো সে বাড়ি ফিরা আইবো। ইতিমধ্যেই তার মনের অবস্থা ভালা হইয়া গেছে। আনচান ভাবটা আর এখন একেবারেই নাই। বন্ধুর লগে কথা কইয়া সব পেরেশানী দূর হইয়া গ্যাছে। যেই ব্যাপারে আবুলের পেরেশানী ছিল সেইটা বাবুল জানে বইল্যাই পেরেশানী দূর হওনের পরে আবুলরে আর আটকাইয়া না রাইখ্যা তাড়তাড়ি বাড়িত পাঠাইয়া দেওয়াই ভালা মনে করতাছে বাবুল। কিন্তু বাবুলের বউ আপত্তি করলো, এত্তো রাইতে আবুল একলা একলা বাড়িত যাইবো ক্যামতে ? বিষয়টা আসলেই চিন্তার ইতিমধ্যে প্রায় মাঝ রাত হইয়া গেছে। ভালা কোন উপায় না পাইয়া বাবুল প্রস্তাব দিলো, সমস্যা নাই, আমি আবুলরে আউগাইয়া দিয়া আসুমনে... যেই কথা সেই কাজ। আবুলরে বাড়ির পৌঁছাইয়া দিয়া আসনের লাইগ্যা বাবুলও দোস্তের লগে বাইরাইয়া আইলো। বাড়ি থাইক্যা বাইরাইয়া আবার দুই দোস্ত আলাপ জুইড়া দিলো। রাত্রে খাওনের আগে আলাপ যেইখানে থামছিলো, আবার সেইখান থাইক্যা আলাপ শুরু করলো দুই বন্ধু। পার্থক্য শুধু এতোক্ষন আলাপ চলছিলো এক জায়গায় বইস্যা বইস্যা এইবার তা চলতেছে রাস্তা দিয়া হাইট্টা হাইট্টা... আলাপে এতোটাই নিমগ্ন ছিলো দুই বন্ধু যে কখন যে আবুলের বাড়ির কাছাকাছি আইয়া পড়ছে সেই টেরই পায় নাই। টের পাবার পর চিন্তায় পরলো আবুল। এইবার বাবুল কি কইরা একলা একলা বাড়ি ফিরবো ? চিন্তার লগে লগে সমাধানও বাইর কইরা ফালাইছে আবুল। "কোনো চিন্তা নাই, এইবার আমি তোরে আউগাইয়া দিমু " এই ঘোষনা দিয়া বন্ধু বাবুলের বাড়ির দিকে আবার দুই দোস্তে রওয়ানা কইরা দিলো...
কথায় কথায় আবুল আবারো ব্বাবুলের বাড়ির কাছাকাছি চইল্যা গেলো... বাবুলের দায়ীত্ববোধে আবারো টান পড়লো, আবুলরে আউগাইয়া দেওনের লাইগ্যা আবারো আবুলের বাড়ির দিকে পা বাড়াইলো দুই বন্ধু... এইভাবেই সারা রাত তারা কেউ আর ঘরে ফিরতে পারলো না।

এই হইলো মার মন্তব্যের বিস্তারিত...



arn43 said:



বুঝছি, আজ সারা রাত আর কেউ ঘরে ফিরতে পারবে না !!



 
নিজের লেজে কাপড় জড়িয়ে আগুন লাগালে পরে কেমন লাগতে পারে অনুমান করে নেন।
আমি লেজ পামু কই ?
আপনের লাহান তো আমার লেজ নাই !!
 
মামা এক বন্ধুর বিয়ে
সমস্যা হলো দাওয়াত করছে
এখন কি উপহার দিবো বুঝতে পারছিনা
বন্ধুর বিয়েতে নিজের উপস্থিতিই তো বড় উপহার !!
 
বুদ্ধি খারাপ না।
তবে একটা না। চারিদিকে শ'য়ে শ'য়ে দাওয়াখানা খুলে হেকিমি জাল তৈরি করে ফেলেন।
সেঞ্চুরি হাঁকানোর মোক্ষম উপায়।
সেই ক্ষেত্রে আপনারা উদ্যোগ নিলে তো আমার কোনো আপত্তি নাই !
 
সেই ক্ষেত্রে আপনারা উদ্যোগ নিলে তো আমার কোনো আপত্তি নাই !
আগে শততম তো পাইয়া লন মামু 🏥
 
Status
Not open for further replies.

Users who are viewing this thread

Back
Top