আলাউদ্দিন সুইট মিষ্টির দোকানে স্থান করে দিলেও সেটা আদি সনপাপড়ির মান না।
আমার ছোটবেলা কালে সনপাপড়ি বিক্রি করত ফেরিওয়ালা।
কেরসিনের টিনের আয়াতকার সামনের দিকে কাঁচ বা স্বচ্ছ প্লাস্টিক লাগানো বাক্সর উপরের দুই প্রান্তের কড়ায় বাঁধা দড়ি বা গামছার সাহায্যে গলায় ঝুলিয়ে রাখত। বাক্সের উপরে একটা গোলাকার মুখ দিয়ে হাত গলিয়ে খবরের কাগজের চৌক টুকরার সাহায্যে সনপাপড়ি বার করে অনুরপ কাগজেই সনপাপড়ি বাচ্চাদের হাতে ধরিয়ে দিত। মাকড়সার জালের মত মিহি হাল্কা হলুদাভ সুতার মত মিষ্টির সুতার সমন্বয়ে কার্পেটের মত থিকনেস, আনুমানিক ২ বাই ৩ ইঞ্চি সাইজের এক চৌক টুকরার সাইজের সনপাপড়ির দাম এক আনা মানে ছয় পয়সা। হাওয়ায় উড়ে যায়। জিভে দিলে মিলিয়ে যাবার আগে দিত এক অতুলনীয় স্বাদ।
এখন বা নব্বই দশকের পরে আর সেই সনপাপড়ির অস্তিত্ব দেখিনি।