'শামান' শব্দটির সাথে প্রথম পরিচিত হই 'মাসুদ রানা' সিরিজের 'লালপাহাড়' বইটিতে (রড়ি শামান)...
পরবর্তীতে 'জুলভার্ণ' ও 'এইচ আর হ্যাগার্ড' এর বইতেও 'শামান' শব্দটি পেয়েছি...
শামান বলতে এমন এক ধরনের মানুষকে বোঝায়, যারা অলৌকিক বা রহস্যময় ক্ষমতাসম্পন্ন...
যারা তাদের অলৌকিক ক্ষমতা ও তন্ত্র-মন্ত্র দ্বারা অশুভ আত্মার প্রভাব নষ্ট করে, রোগবালাই দুর করে...
শামান শব্দটি বহুল প্রচলিত একটি শব্দ । এটির স্ত্রীরুপ শামানকা...
শামান শব্দের একটি অর্থঃ হি/শি নোজ (যে জানে)...
কারো কারো মতে শামান শব্দের উদ্ভব সংস্কৃত শ্রমণ বা আশ্রম শব্দ থেকে...
একসময় বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে গুনীন, ওঝা ও সাপুড়েদের বেশ দাপট ছিল। তারা ঝাঁড়ফুকের মাধ্যমে রোগ সারাত, বালামুসিবত দূর করত...
শ্রদ্ধেয় লেখক 'হুমায়ুন আহমেদ' এর 'ফেরা' উপন্যাসে আমরা 'ফিরাইল সাব' বলে একজন গুনীন বা অলৌকিক ক্ষমতাধর ব্যাক্তির দেখা পাই...
শিক্ষার প্রসার ও চিকিৎসা সুবিধার প্রসারের ফলে এখন অবশ্য ওঝা/গুনীনদের প্রভাব অনেক কমে গেছে...
তবে আজও বাংলাদেশের শহর, গ্রাম, গঞ্জের অনেকে ওঝা/গুনীনদের অলৌকিক ক্ষমতায় বিশ্বাস করে...
মনে করে, তারা বশীকরণ মন্ত্র জানে, তারা বাণ মারতে পারে ...
একেক সংস্কৃতিতে শামানদের ভূমিকা একেকরকম। আমরা যাকে বলি ওঝা - তারাই আসলে শামান...
আফ্রিকায় এখনও শামানদের প্রভাব সর্বব্যাপী। আফ্রিকার রোগ উপশমকারী 'উইচ ডাক্তার'রা এক ধরনের শামান...
মালির ডোগান যাদুকররা তাদের 'প্রধানা উপাস্য দেবী আমা' এর সহায়তায় রোগ নিবারন করে, সমস্যার নিদান দেয়...