সময় কইরা একদিন চইল্যা আসেন, মামা। বৃস্টির পরে নদীর পারে হাটতে কিন্তু বেশ লাগে... বাতাসে কোনো ধুলো বালি থাকে না। নির্মল একটা আমেজে প্রাকৃতিক এ পরিবেশটা আসলেই বেশ উপভোগ্য...
তেতে উঠছে ধরণী... ভেজা রাস্তার সব জল শুষে নিচ্ছে অরুণ... চারিদিকের পঁচা গন্ধের সাথে একাকার হয়ে যাচ্ছে সদ্য প্রসূত ঘামের গন্ধ... গায়ের সে সোঁদা গন্ধের সাথে মেয়েলী গন্ধের সংমিশ্রণে তৈরী হচ্ছে এক অদ্ভুত রসায়ন... ঝিরিঝিরি বৃস্টির চোখ রাঙ্গানীতে সাথে করে আনা ছাতা এখন ব্যবহৃত হচ্ছে রবি'র বিরুদ্ধে... তবুও কি বগলের কাছটাতে ভিজে উঠা থেকে রক্ষা পাওয়া গেলো? বুঝিনা, সেইসব ললনাদের- যারা এই ঘামের দাগ প্রদর্শনের জন্য বাজারে ছুটে আসে... ভীড় জমায় ভীড়ের মাঝে... পেছন থেকে কেউ একজন ডেকে শুধায়- বাড়িতে কি কোনো পুরুষ তোমাদের বেঁচে নেই?... ভাই, দাদা, বাবা... কিংবা নিদেনপক্ষে চাচা, মামা? যারা আড়ালে অবডালে থাকার কথা, তাদের দেখে আমি ভাবি, আমাদের @hlnr মামার কথা... যার যেখানে মানায়, সেখানে কি কেউ আমরা থাকতে পেরেছি!! এর দায়ভার আসলে কার? আমাদের এই চলার স্রোত কোথায় গিয়ে পড়বে?... কোন নদী আছে, যেখানে পাপ ধোয়া পানি বহমান নয়? সব কিছুরই নাকি একটা সীমা থাকে।... আমি সেই সীমানা একবার চাক্ষুস করতে চাই... যদিও অপূর্ণই থেকে যাবে আমার এই আশা... তবুও হতাশায় আমি ডুবতে চাই না... কারন মানুষ বাঁচে আশায়...