আমিও এ শহড় ছেরে চলে যতে চেয়েছিলাম,
যখন বাতাসে শিশার মাত্রা বাড়ল,
যখন এ শহড়ের বাতাস নির্মলতা হারালো,
যখন এ শহড় ছেরে পাখিরা পালালো,
বাতাসের রং বদলে গেল,
যন্ত্রের কালো ধোয়ায় পুরো আকাশটা ছেয়ে গেল,
ফুলের ভেতর কীট জন্মাতে থাকলো,
লাশ কাটা ঘরে পচা মাংসের গন্ধ বাড়ল,
বুড়ি গংগায় কিছু মৃত মাছ পাওয়া গেল,
বড়কর্তার কথায় মিত্থ্যার আওয়াজ পাওয়া গেল,
ওষুধে ভেজাল পাওয়া গেল,
যখন আমার নিঃশ্বাস ভারি হয়ে এলো, তখন,
আমিও এ শহড় ছেরে চলে যেতে চেয়েছিলাম!
আমিও এ শহড় ছেড়ে চলে যেতে চেয়ে ছিলাম যখন,
এ শহড়ের জলে ইচ্ছে করে মিশিয়ে দেয়া হল জলবাহিত রোগ,
জলের রং বদলে গেল,
পুকুর ভরে ফেলা হল,
আমার সাতার কাটার জলে মরা কুকুর ভাসছিল,
খেলার মাঠে শপিং কমপ্লেক্ছ তোলা হলো, যখন নদী থেকে আমার ডিঙি নৌকা তুলে বিরাট দানব জাহাজ ছেড়ে দেয়া হলো, নদীপাড়ের বালি হাসের খেলা বন্ধ হল, সেখানে বসলো ইট, বালু, খোয়া আর পাথরের মহাজন,
সব নৌকোর মাঝিরা বাড়ি ফিরে গেল, তখন-
আমিও এ শহড় ছেরে চলে যেতে চেয়েছিলাম!
আমিও এ শহড় ছেরে চলে যেতে চেয়েছিলাম, যখন-
মেঠো পথ হারালো তার কোমল রুপ,
পাথরে পাথরে,
কালো পিচ আর কংক্রিটে পথ গুলো সব ছেয়ে ফেলা হল,
মানুষের পায়ের জায়গায় জায়গা করে নিলো গাড়ির কালো পা,
আমার প্রিয় সাইকেলটা আর চালাতে পারলাম না,
হিংস্র জানোয়ারের মত তর্জন গর্জন করে চলতে থাকলো ওরা,
তখন- আমিও এ শহড় ছেরে চলে যেতে চেয়েছিলাম!
যখন আমার টিনের চালে বৃষ্টির শব্দের বদলে শুনতে পেলাম বাজ পরার শব্দ, শিশুর চিৎকার,
নারীর ধর্ষিত হওয়ার চিৎকার,
শ্রমিকের ঘাম ঝরানো টাকা না পাওয়ার চিৎকারে চারপাশ ভারি হয়ে উঠলো,
তখন-
আমিও এ শহড় ছেরে চলে যেতে চেয়ে ছিলাম!
আমিও এ শহড় ছেরে চলে যেতে চেয়েছিলাম, যখন-
আমার দুয়ারে সূর্যের আলো আটকে দেয়া হল,
আমার উপর আজীবনের ছায়া পড়লো, ফুলগুলো ঝরে পড়লো,
গাছ শুকিয়ে কাঠ হল,
মাটি পুরে ইট হল,
কিছু কংক্রিট হল,
শিশুর হাসি থেমে গেল,
আবার কিছু লোকের কুষ্ঠ হল,
আরো কিছু কবর খোরা হলো,
পুজিবাদির হাত শক্ত করলো,
মানুষে রক্তে ইমারত উঠলো,
সরল মানুষকে বোকা আক্খ্যা দেয়া হল, তখন- আমিও এ শহড় ছেরে চলে যেতে চেয়ে ছিলামা!
আমিও এ শহড় ছেরে চলে যেতে চেয়ে ছিলাম, যখন-
ঘুষখোর প্রকৌশলীর পদন্নতি হল,
শেফালীরা দুটো টাকার জন্য রানাপ্লাজায়
পৃষ্ঠ হল,
সংগ্রামী ছাত্র নেতাকে রাষ্ট্রদ্রোহী বলে মামলা দেয়া হলো,
রাস্তায় একশ চুয়াল্লিশ ধারা জারী করা হল, কিছ কিছু নিরিহ প্রান ঝরে পড়লো,
আমার স্কুলে, বিশ্ববিদ্যালয়ে, সচিবালয়ে কালো পতাকা ওরানো হল, তখন-
আমিও এ শহড় ছেরে চলে যেতে চেয়ে ছিলাম!
এক দিন বুকফাটা কান্না শেষে,
পচন্ড ক্রোধে মিছিলে গেলাম,
আমার গলা থেকে বেরিয়ে এলো সেই বজ্রকন্ঠি চ্লোগান, তারপর-
ওরা আমাকে ধরে নিয়ে গেল,
আমিও এ শহড় ছেরে চলে যেতে চেয়েছিলাম,
ওরা আমাকে যেতে দিল না-
ওরা আমাকে খুব যত্ন করে ফাসি দিল!!! ু
যখন বাতাসে শিশার মাত্রা বাড়ল,
যখন এ শহড়ের বাতাস নির্মলতা হারালো,
যখন এ শহড় ছেরে পাখিরা পালালো,
বাতাসের রং বদলে গেল,
যন্ত্রের কালো ধোয়ায় পুরো আকাশটা ছেয়ে গেল,
ফুলের ভেতর কীট জন্মাতে থাকলো,
লাশ কাটা ঘরে পচা মাংসের গন্ধ বাড়ল,
বুড়ি গংগায় কিছু মৃত মাছ পাওয়া গেল,
বড়কর্তার কথায় মিত্থ্যার আওয়াজ পাওয়া গেল,
ওষুধে ভেজাল পাওয়া গেল,
যখন আমার নিঃশ্বাস ভারি হয়ে এলো, তখন,
আমিও এ শহড় ছেরে চলে যেতে চেয়েছিলাম!
আমিও এ শহড় ছেড়ে চলে যেতে চেয়ে ছিলাম যখন,
এ শহড়ের জলে ইচ্ছে করে মিশিয়ে দেয়া হল জলবাহিত রোগ,
জলের রং বদলে গেল,
পুকুর ভরে ফেলা হল,
আমার সাতার কাটার জলে মরা কুকুর ভাসছিল,
খেলার মাঠে শপিং কমপ্লেক্ছ তোলা হলো, যখন নদী থেকে আমার ডিঙি নৌকা তুলে বিরাট দানব জাহাজ ছেড়ে দেয়া হলো, নদীপাড়ের বালি হাসের খেলা বন্ধ হল, সেখানে বসলো ইট, বালু, খোয়া আর পাথরের মহাজন,
সব নৌকোর মাঝিরা বাড়ি ফিরে গেল, তখন-
আমিও এ শহড় ছেরে চলে যেতে চেয়েছিলাম!
আমিও এ শহড় ছেরে চলে যেতে চেয়েছিলাম, যখন-
মেঠো পথ হারালো তার কোমল রুপ,
পাথরে পাথরে,
কালো পিচ আর কংক্রিটে পথ গুলো সব ছেয়ে ফেলা হল,
মানুষের পায়ের জায়গায় জায়গা করে নিলো গাড়ির কালো পা,
আমার প্রিয় সাইকেলটা আর চালাতে পারলাম না,
হিংস্র জানোয়ারের মত তর্জন গর্জন করে চলতে থাকলো ওরা,
তখন- আমিও এ শহড় ছেরে চলে যেতে চেয়েছিলাম!
যখন আমার টিনের চালে বৃষ্টির শব্দের বদলে শুনতে পেলাম বাজ পরার শব্দ, শিশুর চিৎকার,
নারীর ধর্ষিত হওয়ার চিৎকার,
শ্রমিকের ঘাম ঝরানো টাকা না পাওয়ার চিৎকারে চারপাশ ভারি হয়ে উঠলো,
তখন-
আমিও এ শহড় ছেরে চলে যেতে চেয়ে ছিলাম!
আমিও এ শহড় ছেরে চলে যেতে চেয়েছিলাম, যখন-
আমার দুয়ারে সূর্যের আলো আটকে দেয়া হল,
আমার উপর আজীবনের ছায়া পড়লো, ফুলগুলো ঝরে পড়লো,
গাছ শুকিয়ে কাঠ হল,
মাটি পুরে ইট হল,
কিছু কংক্রিট হল,
শিশুর হাসি থেমে গেল,
আবার কিছু লোকের কুষ্ঠ হল,
আরো কিছু কবর খোরা হলো,
পুজিবাদির হাত শক্ত করলো,
মানুষে রক্তে ইমারত উঠলো,
সরল মানুষকে বোকা আক্খ্যা দেয়া হল, তখন- আমিও এ শহড় ছেরে চলে যেতে চেয়ে ছিলামা!
আমিও এ শহড় ছেরে চলে যেতে চেয়ে ছিলাম, যখন-
ঘুষখোর প্রকৌশলীর পদন্নতি হল,
শেফালীরা দুটো টাকার জন্য রানাপ্লাজায়
পৃষ্ঠ হল,
সংগ্রামী ছাত্র নেতাকে রাষ্ট্রদ্রোহী বলে মামলা দেয়া হলো,
রাস্তায় একশ চুয়াল্লিশ ধারা জারী করা হল, কিছ কিছু নিরিহ প্রান ঝরে পড়লো,
আমার স্কুলে, বিশ্ববিদ্যালয়ে, সচিবালয়ে কালো পতাকা ওরানো হল, তখন-
আমিও এ শহড় ছেরে চলে যেতে চেয়ে ছিলাম!
এক দিন বুকফাটা কান্না শেষে,
পচন্ড ক্রোধে মিছিলে গেলাম,
আমার গলা থেকে বেরিয়ে এলো সেই বজ্রকন্ঠি চ্লোগান, তারপর-
ওরা আমাকে ধরে নিয়ে গেল,
আমিও এ শহড় ছেরে চলে যেতে চেয়েছিলাম,
ওরা আমাকে যেতে দিল না-
ওরা আমাকে খুব যত্ন করে ফাসি দিল!!! ু