আমার মন নোংরা ? !!
সেদিন ডাঃ জিসানের অফ-ডে ছিলো। হাতে ব্যাক্তিগত তেমন কাজও ছিলো না। তাই সিদ্ধান্ত নিলো বন্ধু জাহিদের ওখানে যাবে। বেশ কিছুদিন ওর সাথে দেখা-সাক্ষাত নেই। ওকে না জানিয়ে সরাসরি ওর হাসপাতালে গিয়ে হাজির হলে ওকে বেশ চমকে দেয়া যাবে। এই ভেবে তখনি জিসান বন্ধুর হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে গেলো। ডাঃ জাহিদ তখন পাবনার মানসিক হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক হিসাবে দায়ীত্বপ্রাপ্ত ছিলো। হাসপাতালে গিয়ে ডাঃ জিসান জানতে পারলো, ডাঃ জাহিদ তখন কিছু রোগীকে বিশেষ এক ধরনের টেস্ট করছিলেন। মানসিক রোগীর রোরশাখ ইঙ্কব্লট নামে এক ধরনের টেস্ট আছে ডাঃ জাহিদ সেটিই করছিলেন তখন। হিজিবিজি কিছু কালির ছোপ রোগিকে দেখানো হয় এই টেস্টে।
ডাঃ জিসান বন্ধুকে কিছু না বলে কাঁচের দেয়ালের এপাশ থেকে বন্ধুর সেই টেস্ট গ্রহণ দেখতে বসে পড়লো...
ডাঃ জাহিদ রোগিকে হিজিবিজি কালির ছোপ আঁকা একটি কার্ড এগিয়ে দিয়ে বললো,
ডাঃ জাহিদঃ বলুন তো এটা কিসের ছবি ?
রোগী এক নজর কার্ডের দিকে তাকিয়েই বললো,
রোগীঃ একটি ছেলে একটি মেয়েকে জাপটে ধরে চুমু খাচ্ছে...
দ্বিতীয় ছবিটা এগিয়ে দিয়ে ডাঃ জাহিদ বললো,
ডাঃ জাহিদঃ এবার বলুন তো এটা কিসের ছবি ?
রোগী এবার চোখ সরু করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললো,
রোগীঃ ঐ ছেলেটা এবার মেয়েটার জামা-কাপড় সব খুলে ফেলেছে। আর মেয়েটা হা করে খুব চেঁচাচ্ছে...
ডাঃ জাহিদ এবার আরো একটা কার্ড রোগীর দিকে এগিয়ে দিতে দিতে বললো,
ডাঃ জাহিদঃ এটা দেখুন তো... এটাতে আপনি কি দেখতে পাচ্ছেন ?
এবার রোগী বেশ কিছুক্ষণ কার্ডটার দিকে তাকিয়ে রইলো। তার চোখগুলো বেশ চকচক করে উঠছে ছবি দেখতে দেখতে...
তারপর বেশ আস্তে আস্তে রোগী বললো,
রোগীঃ এবার ছেলেটা মেয়েটির চুল টেনে ধরে ঘাড়ে কামড় দিচ্ছে। আর কি আশ্চর্য্য, মেয়েটি হি হি করে হাসছে...
ডাঃ জাহিদ আর পারলো না। বেশ ক্ষোভের সাথেই বললো,
ডাঃ জাহিদঃ দেখুন আলম সাহেব, আপনার রোগ বেশ জটিল পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, আপনার মনটা খুব নোংরা !
এবার আলম সাহেব বেশ রেগে গেলেন। আর বেশ চেঁচিয়েই বললেন,
রোগীঃ নিজে যতো রাজ্যের নোংরা নোংরা ছবি আমার দিকে এগিয়ে দিচ্ছেন, আর আমাকে বলছেন আমার মন নোংরা ?
কি আশ্চর্য্য !!