What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

আমার মন নোংরা ? !! (1 Viewer)

arn43

Co-Admin
Staff member
Co-Admin
Joined
Mar 2, 2018
Threads
1,618
Messages
122,285
Credits
313,977
DVD
Whiskey
SanDisk Sansa
SanDisk Sansa
Computer
Glasses sunglasses
আমার মন নোংরা ? !!



সেদিন ডাঃ জিসানের অফ-ডে ছিলো। হাতে ব্যাক্তিগত তেমন কাজও ছিলো না। তাই সিদ্ধান্ত নিলো বন্ধু জাহিদের ওখানে যাবে। বেশ কিছুদিন ওর সাথে দেখা-সাক্ষাত নেই। ওকে না জানিয়ে সরাসরি ওর হাসপাতালে গিয়ে হাজির হলে ওকে বেশ চমকে দেয়া যাবে। এই ভেবে তখনি জিসান বন্ধুর হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে গেলো। ডাঃ জাহিদ তখন পাবনার মানসিক হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক হিসাবে দায়ীত্বপ্রাপ্ত ছিলো। হাসপাতালে গিয়ে ডাঃ জিসান জানতে পারলো, ডাঃ জাহিদ তখন কিছু রোগীকে বিশেষ এক ধরনের টেস্ট করছিলেন। মানসিক রোগীর রোরশাখ ইঙ্কব্লট নামে এক ধরনের টেস্ট আছে ডাঃ জাহিদ সেটিই করছিলেন তখন। হিজিবিজি কিছু কালির ছোপ রোগিকে দেখানো হয় এই টেস্টে।
ডাঃ জিসান বন্ধুকে কিছু না বলে কাঁচের দেয়ালের এপাশ থেকে বন্ধুর সেই টেস্ট গ্রহণ দেখতে বসে পড়লো...
ডাঃ জাহিদ রোগিকে হিজিবিজি কালির ছোপ আঁকা একটি কার্ড এগিয়ে দিয়ে বললো,
ডাঃ জাহিদঃ বলুন তো এটা কিসের ছবি ?
রোগী এক নজর কার্ডের দিকে তাকিয়েই বললো,
রোগীঃ একটি ছেলে একটি মেয়েকে জাপটে ধরে চুমু খাচ্ছে...
দ্বিতীয় ছবিটা এগিয়ে দিয়ে ডাঃ জাহিদ বললো,
ডাঃ জাহিদঃ এবার বলুন তো এটা কিসের ছবি ?
রোগী এবার চোখ সরু করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললো,
রোগীঃ ঐ ছেলেটা এবার মেয়েটার জামা-কাপড় সব খুলে ফেলেছে। আর মেয়েটা হা করে খুব চেঁচাচ্ছে...
ডাঃ জাহিদ এবার আরো একটা কার্ড রোগীর দিকে এগিয়ে দিতে দিতে বললো,
ডাঃ জাহিদঃ এটা দেখুন তো... এটাতে আপনি কি দেখতে পাচ্ছেন ?
এবার রোগী বেশ কিছুক্ষণ কার্ডটার দিকে তাকিয়ে রইলো। তার চোখগুলো বেশ চকচক করে উঠছে ছবি দেখতে দেখতে...
তারপর বেশ আস্তে আস্তে রোগী বললো,
রোগীঃ এবার ছেলেটা মেয়েটির চুল টেনে ধরে ঘাড়ে কামড় দিচ্ছে। আর কি আশ্চর্য্য, মেয়েটি হি হি করে হাসছে...
ডাঃ জাহিদ আর পারলো না। বেশ ক্ষোভের সাথেই বললো,
ডাঃ জাহিদঃ দেখুন আলম সাহেব, আপনার রোগ বেশ জটিল পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, আপনার মনটা খুব নোংরা !
এবার আলম সাহেব বেশ রেগে গেলেন। আর বেশ চেঁচিয়েই বললেন,
রোগীঃ নিজে যতো রাজ্যের নোংরা নোংরা ছবি আমার দিকে এগিয়ে দিচ্ছেন, আর আমাকে বলছেন আমার মন নোংরা ?
কি আশ্চর্য্য !!
 
মানসিক রোগ বড় সাংঘাতিক । আমার বাড়িতেই সিজোফ্রেনিয়া রোগী আছে। সবসময় একটা হ্যালুসিনেশন এর মধ্যে থাকে। সঠিক বোঝালেও বোঝে না।
 
মানসিক রোগ বড় সাংঘাতিক । আমার বাড়িতেই সিজোফ্রেনিয়া রোগী আছে। সবসময় একটা হ্যালুসিনেশন এর মধ্যে থাকে। সঠিক বোঝালেও বোঝে না।

কিছু কিছু মানসিক রোগি এমনও আছে যাদেরকে প্রথম দেখায় কিছুতেই রোগি হিসাবে ভাবাই যাবে না। একেবারে সূস্থ্য মনে হবে।
একটা সময় পর দেখা যাবে সে এমন কিছু কাজ করে ফেলছে যেটা দেখে তাকে মানসিক রোগি হিসাবে বিবেচনা করতে হবে।
চমৎকার রিপ্লাইয়ের জন্য মামাকে অনেক ধন্যবাদ !
 
এটা কোনো ডাক্তারী পরামর্শ হলো !

ডাঃ জিসান রোগী দেখায় ব্যস্ত ছিলো। এরই ফাঁকে হন হন করে তার চেম্বারে এক কালের অন্যতম নামী চিত্র নায়ীকা অঞ্জনা প্রবেশ করলো। তাকে দেখে জিসান কিছুটা অবাক হলেও কিছুটা উৎফুল্লও হলো। পর্দার নায়ীকা সরাসরি তার সামনে। যদিও অঞ্জনা এখন বিগত যৌবনা। বৃদ্ধার কাছাকাছি। পৌড়া তো বটেই... তাড়াতাড়ি আগের রোগী দেখে অঞ্জনার দিকে প্রশ্ন বোধক দৃস্টিতে তাকাতেই অঞ্জনা বলতে শুরু করলো,
অঞ্জনাঃ আজকাল অল্পতেই আমি হাপিয়ে উঠি। কোনো কিছুই তেমন ভালো লাগে না। খাওয়া-দাওয়া থেকে চলা-ফেরা সব কিছুতেই কেমন যেনো গতানুগতিক মনে হয়। এক কথায় ভালো লাগে না কিছুই...
সুযোগ পেয়ে জিসান অঞ্জনাকে পাশের চার পায়াতে শুইয়ে দিয়ে সমস্ত শরীর ভালো করে পরীক্ষা করে দেখলো। এখানে সেখানে টিপে টুপে দেখে তার শরীরে তেমন কোনো রোগের লক্ষন দেখতে পেলো না। পরীক্ষা শেষে নিজের চেয়ারে বসে জিসান জানালো,
ডাঃ জিসানঃ শরীর আপনার ভালোই আছে। তেমন কোনো সমস্যা আমি পেলাম না। আসলে আপনার এখন দরকার হচ্ছে চেঞ্জ এর।
জিসানের কথা শুনে অঞ্জনার চোখ যেনো কপালে উঠলো। ভ্রু কুঁচকে সে বললো,
অঞ্জনাঃ চেঞ্জ !! আর কতো চেঞ্জ করবো ? জানেন গতো দু'বছরে আমি দুটো স্বামী, তিনটে বাড়ি, চারটে চাকর, পাঁচটে রাঁধুনী ছ'টে মালী চেঞ্জ করেছি। কই আমার তো অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।
আর এটা কোনো ডাক্তারী পরামর্শ হলো ? !!
 
asolei ora emon. kharap lage beparta

কাদের কথা বললেন ?
ডাক্তারদের নাকি রোগীদের ?

রিপ্লাইয়ের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ !
 
ডাক্তারের পরামর্শ !

ডাক্তার জিসানের চেম্বারে তখন রোগীদের প্রচন্ড ভীড় ! একটার পর একটা রোগী দেখতে ব্যস্ত জিসান। এমন সময় বন্ধু পাখির ফোন। শত ব্যস্ততা থাকলেও বন্ধুর ফোন তো আর ইগনোর করা যায় না ! রোগী দেখার ফাঁকে ফোন রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে পাখি বলে উঠলো,
পাখিঃ ডাক্তার সাহেব, আমার ছেলে আমার কলম গিলে ফেলেছে। তাড়াতাড়ি আসুন...
পাখির কথায় জিসান কি বুঝলো বুঝা গেলো না। সেও তড়িৎ জবাব দিলো,
ডাঃ জিসানঃ কলম খেয়ে ফেললে আপাতত পেন্সিল দিয়ে কাজ চালিয়ে নিন। আমি রোগী দেখা শেষ করে আসছি...
 

Users who are viewing this thread

Back
Top