“শুনছো বস ফোন করেছে।”, রিতার ধাক্কায় অলোকের ঘুম ভেঙে যায়।
“এত রাতে! এত রাতে কি জন্য?”
“সে জানিনা, বস বলল অলোককে তাড়াতাড়ি পাঠিয়ে দিতে।”
অলোক উঠে পড়ে আর কোনও কথা না বলে। একটা প্রাইভেট ফার্মে কাজ করে ও, ওর কাজ হলো সিকিউরিটি মেন্টেন করা। তবে সিকিউরিটি বলতে যা বোঝায় এ তা নয়, অফিসের ইন্টারনেট সিকিউরিটির ইনচার্জ ও। অফিসের যে কোনও রকম সার্ভার প্রবলেম থেকে শুরু করে, সফটওয়্যার আপডেট, মেশিনের পার্টস পালটানো ইত্যাদি কম্পিউটার জাতীয় সমস্ত কিছু কাজ ওর। নেহাত ছোট অফিস নয়, একটা কুড়ি তলা বিল্ডিংয়ে দুটো ফ্লোর দখল করে আছে সুভম লিমিটেড। আর এই দুটো ফ্লোরে ষাটটা মেশিনের দায়িত্ব একমাত্র ওর। ওর বস সুভম ব্যানার্জি আর কোনও লোক রাখেনি এই কাজের জন্য। কোম্পানির প্রফিট নেহাত কম হয় না, কিন্তু ওই যে একটা কথা আছে ‘যত বেশি পাই তত বেশি চাই’, ওর বসের লোভও দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। তবে মাইনেও নেহাত কম পায় না অলোক। যা পায় তাতে ওর আর রিতার আরামসে চলে যাবে।