অভিজাত, গ্ল্যামারাস—একই সঙ্গে স্নিগ্ধ। পরিচিতি পেয়েছিলেন ‘মিষ্টি মেয়ে’ হিসেবে। এত বিশেষণ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, পরিচালক ও সাবেক সাংসদ সারাহ বেগম কবরীর জন্যই। ২০১৪ সালের ২৩ জুলাই প্রথম আলোর ফিচার পাতা অধুনায় প্রকাশিত হয়েছিলো তাঁর স্টাইল। কবরী করোনায় আক্রান্ত হয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে লেখাটি পুনরায় প্রকাশ করা হলো।
দুপুরের কড়া রোদ তখন তাঁর মুখে এসে পড়ছে। কিন্তু মিষ্টি মেয়ের মুখে সেই কড়া রোদকেও মিষ্টি মনে হলো। ঢাকার গুলশানের বাসার ছাদে ছবি তোলার সময় বলছিলেন, ‘কত দিন পর যে এমন করে ছবি তুলছি।’ বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মিষ্টি মেয়ে’ কবরীর কথা বলছিলাম। ২০ জুলাই তাঁর বাসায় বসে জানালেন নিজস্ব স্টাইল আর জীবনযাপনের গল্প।
কাজ না থাকলে একটু বেলা করেই ঘুম থেকে ওঠেন। পত্রিকা পড়তে পড়তেই নাশতা সারেন কবরী। তালিকা অনুযায়ী চলতে থাকে একের পর এক কাজ। তবে কখন কী করবেন তা নির্ভর করে তাঁর মেজাজ-মর্জির ওপর। ‘মেজাজ-মর্জি ভালো না থাকলে কাজ করতে পারি না। আবার ফুরফুরে মেজাজে থাকলে ক্লান্তিহীনভাবে কাজ করে যেতে পারি।’ বলেন কবরী।
শাড়ি পরতে ভালোবাসতেন কবরী
শাড়ি কবরীর প্রিয় পোশাক। বিশেষ করে সোনালি, চাপা সাদা (অফহোয়াইট) রঙের সিল্ক শাড়ি। একটা সময় কালো রং তিনি একেবারেই সহ্য করতে পারতেন না। ইদানীং কালো তাঁর ভালো লাগছে। কেনাকাটা করার সময় মাথায় রাখেন কোন জিনিসটি তাঁকে মানাবে। কবরী বলেন, ‘আমি যা কিনি, সবই বিখ্যাত ব্র্যান্ডের। ব্র্যান্ড ছাড়া তো ভালো জিনিস পাওয়া যায় না। তবে একেক সময় একেক ব্র্যান্ডের প্রতি দুর্বলতা থাকে। এখন যেমন ব্যাগ, জুতা, সুগন্ধি, মেকআপ—সবই ডিওর ব্র্যান্ডের।’
ফরমাল পোশাকে মিষ্টি মেয়ে
যেকোনো অনুষ্ঠান বা দাওয়াতে শাড়িই পরেন। তবে বাজার-সদাই করতে বা বন্ধুদের আড্ডায় সালোয়ার-কামিজ পরেন। দেশের বাইরে ভ্রমণের সময় বা কোনো উৎসবে যোগ দিতে বেছে নেন স্যুট-প্যান্ট। কবরী এই পোশাকের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘আমার সাজ-পোশাকে সব সময় বাঙালিয়ানা থাকে। কিন্তু দূরে কোথাও যাওয়ার সময় স্যুট-প্যান্টে আরামবোধ করি বলে পরি।’
একটা সময় কালো রং ভালোবাসতেন না, হঠাৎ করে সেই কালোকেই ভালোবাসতে শুরু করলেন
হালকা গয়না পছন্দ করেন কবরী। কখনো কখনো পার্টি থাকলে ভারী গয়না পরতে হয় তাঁকে। নিজেকে ফিট রাখতে নিয়মিত হাঁটেন, ব্যায়াম করেন। সুষম ডায়েট করেন। চেষ্টা করেন ভাত কম খেতে।
সাজের ক্ষেত্রে গ্ল্যামারকে গুরুত্ব দেন তিনি। বাইরে বের হলে হালকা হলেও মেকআপ করেন। কবরী বলেন, আমার মাথায় সব সময় থাকে আমি চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পী। যেমন-তেমনভাবে বের হলে চলবে না। তাই পরিপাটি হয়ে বের হই।’
বেড়াতে পছন্দ করলেও সময়-সুযোগ হয়ে ওঠে না আজকাল। তবে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে ভালোবাসেন। সময় পেলে বই পড়েন, সিনেমা দেখেন। আর কোনো দেশে গেলে সেখান থেকে সংগ্রহ করেন ঐতিহ্যবাহী জিনিস। সেকেলে জিনিসের প্রতি আছে তাঁর দুর্বলতা।
দুপুরের কড়া রোদ তখন তাঁর মুখে এসে পড়ছে। কিন্তু মিষ্টি মেয়ের মুখে সেই কড়া রোদকেও মিষ্টি মনে হলো। ঢাকার গুলশানের বাসার ছাদে ছবি তোলার সময় বলছিলেন, ‘কত দিন পর যে এমন করে ছবি তুলছি।’ বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মিষ্টি মেয়ে’ কবরীর কথা বলছিলাম। ২০ জুলাই তাঁর বাসায় বসে জানালেন নিজস্ব স্টাইল আর জীবনযাপনের গল্প।
কাজ না থাকলে একটু বেলা করেই ঘুম থেকে ওঠেন। পত্রিকা পড়তে পড়তেই নাশতা সারেন কবরী। তালিকা অনুযায়ী চলতে থাকে একের পর এক কাজ। তবে কখন কী করবেন তা নির্ভর করে তাঁর মেজাজ-মর্জির ওপর। ‘মেজাজ-মর্জি ভালো না থাকলে কাজ করতে পারি না। আবার ফুরফুরে মেজাজে থাকলে ক্লান্তিহীনভাবে কাজ করে যেতে পারি।’ বলেন কবরী।
শাড়ি পরতে ভালোবাসতেন কবরী
শাড়ি কবরীর প্রিয় পোশাক। বিশেষ করে সোনালি, চাপা সাদা (অফহোয়াইট) রঙের সিল্ক শাড়ি। একটা সময় কালো রং তিনি একেবারেই সহ্য করতে পারতেন না। ইদানীং কালো তাঁর ভালো লাগছে। কেনাকাটা করার সময় মাথায় রাখেন কোন জিনিসটি তাঁকে মানাবে। কবরী বলেন, ‘আমি যা কিনি, সবই বিখ্যাত ব্র্যান্ডের। ব্র্যান্ড ছাড়া তো ভালো জিনিস পাওয়া যায় না। তবে একেক সময় একেক ব্র্যান্ডের প্রতি দুর্বলতা থাকে। এখন যেমন ব্যাগ, জুতা, সুগন্ধি, মেকআপ—সবই ডিওর ব্র্যান্ডের।’
ফরমাল পোশাকে মিষ্টি মেয়ে
যেকোনো অনুষ্ঠান বা দাওয়াতে শাড়িই পরেন। তবে বাজার-সদাই করতে বা বন্ধুদের আড্ডায় সালোয়ার-কামিজ পরেন। দেশের বাইরে ভ্রমণের সময় বা কোনো উৎসবে যোগ দিতে বেছে নেন স্যুট-প্যান্ট। কবরী এই পোশাকের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘আমার সাজ-পোশাকে সব সময় বাঙালিয়ানা থাকে। কিন্তু দূরে কোথাও যাওয়ার সময় স্যুট-প্যান্টে আরামবোধ করি বলে পরি।’
একটা সময় কালো রং ভালোবাসতেন না, হঠাৎ করে সেই কালোকেই ভালোবাসতে শুরু করলেন
হালকা গয়না পছন্দ করেন কবরী। কখনো কখনো পার্টি থাকলে ভারী গয়না পরতে হয় তাঁকে। নিজেকে ফিট রাখতে নিয়মিত হাঁটেন, ব্যায়াম করেন। সুষম ডায়েট করেন। চেষ্টা করেন ভাত কম খেতে।
সাজের ক্ষেত্রে গ্ল্যামারকে গুরুত্ব দেন তিনি। বাইরে বের হলে হালকা হলেও মেকআপ করেন। কবরী বলেন, আমার মাথায় সব সময় থাকে আমি চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পী। যেমন-তেমনভাবে বের হলে চলবে না। তাই পরিপাটি হয়ে বের হই।’
বেড়াতে পছন্দ করলেও সময়-সুযোগ হয়ে ওঠে না আজকাল। তবে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে ভালোবাসেন। সময় পেলে বই পড়েন, সিনেমা দেখেন। আর কোনো দেশে গেলে সেখান থেকে সংগ্রহ করেন ঐতিহ্যবাহী জিনিস। সেকেলে জিনিসের প্রতি আছে তাঁর দুর্বলতা।