[HIDE]৬.৭
পিপলু , বড় কাজের সময় এসে গিয়েছে, খেলাটা আমাদের মতো করে খেলবো ৷দোস্ত,তুই বললে চোখ বুজে নেমে যাবো, যেকোনো খেলায় ৷ইসলামী ফ্রন্টের ইসহাক মাওলানাকে নির্বাচনের মাঠ থেকে এলিমেনেট করতে হবে,না হলে, রেজাউল চাচার নির্বাচনে জয়ী হওয়া আর হবে না ৷তা কইথেকা সরাবি, নির্বাচনথেকে? সময়ই বলেদিবে, নির্বাচন থেকে না নাকি দুনিয়া থেকে, রাতুল শয়তানী হাসি দিয়ে বললো, রুমেলের কথা শুনে মাঝেমাঝে পিপলুও ঘাবড়ে যায় কিন্তু সে জানে রুমেল সব সময় ঠিক চালটায় চালে ৷
শুন পিপলু, তোর মনে আছে ইন্টারে থাকতে কলেজে একবার আমরা নাটকে অংশ নিছিলাম,
হুম,যেটাতে আমি রাজাকার সাজছিলাম আর তোরা কয়েকজনে মুক্তিযোদ্ধা, পিপলু হেসে উঠলো পুরোনো কথা মনে করে ৷ ঠিক, আমাদের আরেকটা নাটক করতে হবে ৷ পিপলু বুঝে গেলো, তারা আরেকটা বড় খেলার অংশ হতে যাচ্ছে ৷
কিছুক্ষণ পর তাদের আড্ডায়, রন্টু আর জাবেদও যোগ দিলো, জাবেদ বয় বয়,তোর তো আমাগো সবাইরে খায়ানো লাগবো, কোন খুশিতে, তোর লাইব্রেরীতে দুজন শেয়ারদার বাড়লো,রাতে টাকা নিয়া যাইছ, দুলাখ ৷
জাবেদ তো উঠে দাড়িয়ে গেলো, বেচারার নতুন লাইব্রেরীতে মাল উঠাতে পারছিলো না, অনেকদিন আগেই তার জিগরি দোস্ত রুমেলকে বিষয় টা জানিয়েছিলো, কিন্তু রুমেলের হাতেও কিছু ছিলোনা ৷ থাকলে দিতো বেচারা, কিন্তু ইদানিং নির্বাচন নিয়ে মার্কেট চাঙ্গা তাই হয়তো হাতে মাল পাইছে ৷
এমনিতে রুমেলের মন বড় কাউরে করলে মন থেকেই করে ৷
জাবেদ নিজের পকেট থেকে সবগুলারে মাল খাওয়াবে বলে কথাদিলো ৷
এরমাঝেই রন্টুর প্রেমিকার কল আসলো,
রন্টু ফোননিয়ে উঠে যেতেই,
পিপলু বলে উঠলো, রন্টু শালা কই যাছ
বয় বলতাছি,
লাউডে দিয়া কথা বলবি, সারাদিন কি বালের কথা কস?
যাক না, প্রেমই তো করতাছে,
করতে দে শান্তিমতন, পরে বলবে, বন্ধুদের জ্বালায় প্রেমও করতে পারলাম না ৷
রন্টু গাছের চিপায় গিয়ে কথা বলতে লাগলো,
সন্ধ্যে প্রায় ঘনিয়ে, এসেছে
[/HIDE]