অবৈধ সম্পর্ক
by
Premik57
গল্পের লেখার সাথে যে কোনো মিল একেবারেই কাকতালীয়!
যৌনতা মানুষের মৌলের সাথে যুক্ত ,যৌনতার কারনেই মানুসের টিকে থাকা ৷
১.
ছাত্র নেতা রুমেল , মাথায় তার একেক সময় একেক জিনিষ ভর করে আর একবার কোন কিছুর প্রতি যদি সে লেগে যায়, তা সে পেয়েই ছাড়ে ৷ তার বাবা রমিজ মির্জা একজন মাদ্রাসা শিক্ষক হলেও সে লেখাপড়া করেছে গাজীপুর হাইস্কুল থেকে ৷ আর এই ছেলে হাইস্কুল থেকেই রাজনীতি করে আসতেছে ৷ বাবার হাতে কয়েকদফা মার খেয়েও রুমেল দমেনি ৷ রুমেলের মা রোমানা আক্তার আবার নরম মনের মানুষ এসব রাজনীতি মারামারি খুবি ভয় পান ৷ রুমেলের বাবা ধর্মীয় রাজনীতি করতেন আর রুমেল ছিলো তার এন্টি সরকারী দলের ছাত্র সংগঠনের নেতা ৷ মেট্রিকের পর কলেজে উঠতেই রুমেল এর নাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে লাগলো, এলাকার নির্বাচনে যে কোনো নির্বাচনে রুমেল বড় নেতাদের জন্যে কাজ করতে লাগলো৷ রমিজ মির্জা কখনো ভাবতেই পারেনি তার ঔরসে এমন সন্তান জন্মাবে! আজ থেকে ২০ বছর আগে রমিজ মির্জা যখন বিয়ে করেন তার বয়স ছিলো ৩৫ আর রোমানার হয়তো ১৪ হবে ৷ সকল হুজুরদের মতোই তিনিও কচি মেয়েই বিয়ে করেছিলেন, রোমানা একেবারে কুমারী ছিলো তখন ৷ এখন সেই রাতের কথা রমিজের মনে পড়ে সেদিন কিভাবে রক্তাক্ত করেছিলো রোমানার যৌনাঙ্গ ৷ সেই মিলনের ফসলই হলো রুমেল ৷ কত বুঝিয়েছেন ছেলেকে কিন্তু কে শুনে কার কথা ৷ একেবারেই অবাধ্য ছেলে তার ৷
এর থেকে মেয়েরা ঢের ভালো, ঠিকমতো নামাজ পড়ে আর পর্দা করে চলাফেরা করে একেবারে তাদের মায়ের মতোই ৷ রুমেলের দু বোন আসমা আর সোমা ৷ আসমা ১২ আর সোমার ৬ বছর চলছে ৷ রুমেল তার দু বোনকে অনেক ভালোবাসে ৷ রুমেল লুকিয়ে একবার তার মায়ের গোসল করা দেখতে গিয়ে আসমার হাতে ধরা খেয়ে যায় তারপরেও আসমা কাউকে বলেনি, এরপর থেকেই রুমেল আসমার জন্যে চকলেট, কানের দুল সহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জিনিস নিয়ে দিতো৷ রুমেল সারাদিন আড্ডা দিতো আর ঘরে এসে মাকে কল্পনা করে হাত মারতো ৷ এটা তার একটা পুরোনো অভ্যেস ৷ এর শুরু হাইস্কুল থেকে, একবার পুকুরে গোসল করতে গিয়ে ভিজে শাড়ি লেপটে যাওয়া অবস্থায় মাকে দেখে, সে থেকেই রুমেল মাকে কল্পনা করতে লাগলো ৷ এমনিতে রোমানার চালচলন ছিলো খুবি সম্ভ্রান্ত তাকে দেখে খারাপ কিছুই মনে আসবে না কিন্তু রুমেলের কল্পনায় তার মা নগ্ন থাকে যার কারনে সে মাকে নিয়েই মগ্ন থাকতো ৷ তার মনে মায়ের জায়গা কখনোই কেউ অতিক্রম করতে পারেনি ৷
মজনু মামার দোকানে বসে ছিলো রুমেল, এলাকায় নির্বাচন চলছে, শেষ হলেই এমপি থেকে টাকা পাবে, রুমেল ৷ চিন্তা করতে লাগলো তা দিয়ে মায়ের জন্যে কিছু কিনবে ৷ তার চিন্তার ছেদ ঘটিয়ে বজলু বলে উঠলো,
—রুমেল ভাই, ধর্মীয় দলের লোকেরা নির্বাচনে ঝামেলা করতে পারে,
—তাদের এতো সাহস আছে নাকিরে বজলু?
—তোমার বাবাই তো তাদের লগে, সাহস করতেও কি!
—তাহলে চল ৷
এ রন্টু, পিপলু কই তোরা স্টিকগুলো নে আর কিছু পেট্রোল নিছ কাউসার মামার দোকানতে ৷
ধর্মীয় দলের অফিসের সামনে এসেই রুমেল স্টিক হাতে ভেতরে ঢুকলো, তারপর আর্তনাদের আওয়াজ আসলো ভেতর থেকে, অফিসের লোকজন দৌড়ে যে যেখানদিয়ে পারে পালালো, তারপর রন্টু পেট্রোল ছুড়তে লাগলো আর পিপলু লাইটার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলো ৷