What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

Other অঞ্জন দত্তঃ দি স্টোরি টেলার (1 Viewer)

Phatstick

Senior Member
Joined
Jan 1, 2019
Threads
8
Messages
572
Credits
5,405
অঞ্জন দত্ত, একাধারে একজন গায়ক, গীতিকার, সুরকার, অভিনেতা, চলচিত্র নির্মাতা এবং আরও অনেক কিছু। কলেজ লাইফে প্রথম অঞ্জন দত্তকে চিনি আমি। বেলা বোস গান দিয়ে শুরু। এরপর একে একে মালা, রমা, ম্যারি এন, দেবলীনা এবং আরও কত কে এলো। অঞ্জন দত্তের গানগুলো শুনলে মনে হয়, উনি আমার জীবনের গল্প বলছেন। অনেক দিনের ইচ্ছে, অঞ্জন দত্তের গাওয়া আমার সব প্রিয় গানগুলোর লিরিক একত্রে একটা সংকলন করব। সেই ইচ্ছেটাই এখানে বাস্তবায়ন করব। আমার প্রিয় গানগুলোর লিরিক চেষ্টা করব এলবাম অনুসারে দেবার৷ শুরু হোক অঞ্জনের গানে আমার জীবনের গল্প বলা।
images-5.jpeg
 
এলবামঃ শুনতে কি চাও
গানঃ রঞ্জনা আমি আর আসব না


"পাড়ায় ঢুকলে ঠ্যাং খোঁড়া করে দেবো"
বলেছে পাড়ার দাদারা
অন্য পাড়া দিয়ে যাচ্ছি তাই
রঞ্জনা, আমি আর আসবো না
এখানে, রঞ্জনা, আমি আর আসবো না
ধর্ম আমার আমি নিজে বেছে নিইনি
পদবীতে ছিল না যে হাত (রঞ্জনা)
মসজিদে যেতে হয়, তাই জোর করে যাই
বৎসরে দু'-একবার (রঞ্জনা)
বাংলায় ৭০ পাই আমি exam-এ
ভালো লাগে খেতে ভাত-মাছ (রঞ্জনা)
গাঁজা-সিগারেট আমি কোনোটাই ছুঁই না
পারি না চড়তে কোনো গাছ (রঞ্জনা)
চশমাটা খসে গেলে মুশকিলে পড়ি
দাদা, আমি এখনও যে ইশকুলে পড়ি
কব্জির জোরো আমি পারবো না
পারবো না হতে আমি রোমিও
তাই দুপুর বেলাতে ঘুমিও
আসতে হবে না আর বারান্দায়
রঞ্জনা, আমি আর আসবো না
এখানে, রঞ্জনা, আমি আর আসবো না
বুঝবো কী করে আমি তোমার ওই মেঝদাদা
শুধু যে তোমার দাদা নয় (রঞ্জনা)
আরো কত দাদাগিরি, কব্জির কারিগরি
করে তার দিন কেটে যায় (রঞ্জনা)
তাও যদি বলতাম হিন্দুর ছেলে আমি
নীলু, বিলু কিংবা নিতাই (রঞ্জনা)
মিথ্যে কথা আমি বলতে যে পারি না
ভ্যাবা-ভ্যাবা-ভ্যাবাচেকা খাই (রঞ্জনা)
চশমাটা খসে গেলে মুশকিলে পড়ি
দাদা, আমি এখনও যে ইশকুলে পড়ি
কব্জির জোরো আমি পারবো না
পারবো না হতে আমি রোমিও
তাই দুপুর বেলাতে ঘুমিও
আসতে হবে না আর বারান্দায়
রঞ্জনা, আমি আর আসবো না
এখানে, রঞ্জনা, আমি আর আসবো না
 
এলবাম: শুনতে কি চাও
গানঃ শুনতে কি চাও


শুনতে কি চাও তুমি সেই অদ্ভুত বে-সুরো সুর
ফিরে পেতে চাও কি সেই আনচান করা দুপুর
দেখতে কি চাও তুমি সেই খেলনাওয়ালাটাকে
তার খেলনা দোতারা সে বাজাচ্ছে কবে থেকে,
স্কুলের টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে কেনা
সেই অদ্ভুত ফাটা বাঁশ আর মাটির সুর টানা টানা
দু'দিনের সম্পদ দু'টাকার বাজনার বিষ্ময়;
তারপর কখন হঠাৎ সুখের মানে পাল্টে যায়
তারপর টিফিনের পয়সা দিয়ে সিগারেট
কলেজ গেটে সিনেমা বান্ধবীর সাথে কাটলেট
আসে দশটা পাঁচটা সেই একরুটের বাসটা তারপর
সবার মতই পড়তে হয় যে কাগজের টোপর।

এখন মাসের শেষে মাঝে মধ্যে কান্না পায়
মিনিবাসে দাড়িয়ে অফিস যাবার সময়
এখন বুঝেছি সেই অদ্ভুত সুরের কি মানে
ফিরে তো যাওয়া যায় না যে আর সেখানে;
যেতে হবে যে তোমাকে আমাকে চলে
লুকোনো টেক্কা সংসারের এক্কা দোক্কা ফেলে
প্রথমে যাবে ঘর-দোর দোকানপাট তারপর হৃদয়
কিছুই হলো না বাঁচানো গেল না সময়
ইদানিং সে সুরটা শুনতে যে খুব ইচ্ছে হয়
কিন্তু সেই খেলনাওয়ালা আর আসেনা পাড়ায়
হয়তো কোন অন্য অলি-গলি ঘুরে
অন্য কোন কাউকে টানছে সেই অদ্ভুত সুরে
 
এলবামঃ শুনতে কি চাও
গানঃ আলীবাবা

নাম আমার আলীবাবা, বয়স আমার দশ
আজকে দিনটা বড়, আজকে যিশু দিবস।
চারটে মুরগী ছাড়ালে, একটা টাকার নোট
ওই কালো ড্রামের ভেতর ওরা করছে যে ছট্ ফট্।
নাম আমার আলীবাবা, বড়দিনের ভীড়
তাই রক্তে মাখা মাখি আমার সারাটা শরীর,
শীত যে আমার করছে না কো, নেই যে অবকাশ
আটতিরিশটা বাকি মানে ন টাকা পঞ্চাশ।
রাতের বেলায় ফিরে এসে চাচার পিঠ মালিশ
নেই যে আমার বিছানা, নেই যে বালিশ।
তবু ঘুম যে আমার চলে আসে ডিসেম্বর মাসে,
স্বপ্ন দেখি, ঘুড়ি ওড়াই টানা আকাশে।
কান্না আমার যাচ্ছে কমে, বাড়ছে যে সাহস
নাম যে আমার আলীবাবা, বয়স এখনো দশ।
 
এলবামঃ শুনতে কি পাও
গানঃ টিভি দেখো না


বাপি আর মা গেছে সিনেমা, তুমি একা
ভয় যদি হয় আছে টিভিটাকে খুলে ভুলে থাকা
মা গেছে বলে, "ঐ টিভিটাকে খুলে তুমি রেখো না"
আমি বলি কী, একটা চালাকি করে দেখো না
জানলা দিয়ে ঐ আকাশটাকে দেখো, টিভি দেখো না।

রান্না আছে ঢাকা, তবু কান্না চেপে রাখা যাচ্ছে না
বাপিরা হোটেলে রোল, তোমার কপালে ঝোল, ক্ষিদে পাচ্ছে না
রেগে গিয়ে টিভি খুলে জোর করে সব ভুলে তুমি থেকো না
দেখো ডাকছে তোমায় বন্ধুরা আকাশ থেকে, টিভি দেখো না
দেখো ডাকছে তোমায় সব্বাই আকাশ থেকে, টিভি দেখো না।

মেঘ দেখে ভাল্লুক মনে হয়, নাকি তুমি দেখোনি?
তোমার হাতের ছায়া দিয়ে দেয়ালে একটা হরিণ নিয়ে খেলোনি?
খাটটাকে মাঠ ভেবে একটু উপুড় হয়ে থাকো না
দেখো ডাকছে তোমায় আকাশটা, টিভি দেখো না
দেখো ডাকছে তোমায় জানলার বাইরেটা, টিভি দেখো না

বাপি আর মা গেছে সিনেমা, তুমি একা
ভয় যদি হয় আছে টিভিটাকে খুলে ভুলে থাকা
মা গেছে বলে, "ঐ টিভিটাকে খুলে তুমি রেখো না"
আমি বলি কী, একটা চালাকি করে দেখো না
জানলার বাইরে আকাশটাকে দেখো, টিভি দেখো না
 
অ্যালবামঃ শুনতে কি চাও ?
গানঃ হরিপদ
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক
আকাশ থেকে নেমে এলো একরাত্রে
বড় বড় বড় বড় গোল গোল চোখ
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক (২)

আত্নীয় নেই কোনো বন্ধুবান্ধব
মেস বাড়িতে তার বাস
দায়িত্ব নেই কোনো ঝঞ্চাট নেই কোনো
নেই তার কোনো অভিলাষ

আছে কলসি আছে, আছে ঘরের কোনে
আছে গামছা আছে, আছে মারগো সাবান
চশমার মাইনাস পাওয়ার আছে
পরিপাটি একটা গোঁফ
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক

আছে একা একা স্বপ্ন দেখার অভ্যেস
তার ধার করে পত্রিকা পড়া
আছে এইট বি বাসের এক কোনটার জন্য
সকালের অফিসের তাড়া
আছে ছোটবেলা থেকে এক প্যালাজ্বর রোগ
তাই তেল ঝাল নুন খাওয়া হয়না
শুধু সাদা সেদ্ধ ছিলো যে বরাদ্ধ
যতই না ইচ্ছে হোক
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক

বিজ্ঞাপনের হাতছানি দেখেও না দেখে
ভিড় বাসে পাট ভাঙা শাড়ির পরশ ভুলে থেকে
শনিবার, শনিবার নড়বড়ে সিড়ি বেয়ে
মেসটার ছাদে উঠে আকাশের দিকে চেয়ে
জলে ভরে যেতো তার চোখ
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক

হয়তোবা কোনোদিন পার্থনা করেছিলো সে
তাই ধুম করে হঠাৎ এক শনিবারে নেমে আসে
টিভির এন্টেনা বাচিয়ে আস্তে করে
পাঁচিলের ধারে ঘেঁষে বনবন করে ঘুরে
নেমে এলো বড় বড় চোখ
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক

ঘাবড়ে গিয়ে দাঁত কপাটি লেগে যায়
ঘেমে যায় হরির নাকটা
কোনো এক ম্যাগাজিনে দেখেছিলো এই ছবি
অজানা উড়ন্ত কি একটা
ধুয়ে যায় হরিপদ সাদা সাদা আলোতে
বেজে উঠে এসরাজ কত
হাত পা মন মাথা ঘামতে ঘামতে
টনটন করে তার নখ
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক

হঠৎ কি মনে হলে খিলখিলেয়ে হেসে ওঠে হরিপদ কেরানি
এতসব বড় বড় দেশ মেশ ফেলে তোরা কলকাতাতেই এলি
নিশ্চয়ই পথ ভুল করে করেছে যে ব্যাটারা পাবেনা যে কিছুই হেথায়
হাসতে হাসতে হুটোপাটি হরিপদ জলে ভরে যায় তার চোখ
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক

বুঝতে পারেনি তারা কখন যে নেমে এসে
তুলে নিয়ে গেছে তাকে মেঘের ওপারে কোন দেশে
কেউ কোনও দিন তার খোঁজ করেনিকো আর
ছিল নাকো কেউ তার কোনও খোঁজ করবার
কেউ করেনিকো কোনও শোক
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক
হরিপদ একজন সাদামাটা ছোটখাটো লোক

লায় লায়লা লায় লায়লা্লায় লায় লায়লা লায় লায়লা লায়…
 
অ্যালবামঃ শুনতে কি চাও ?
গানঃ তুমি না থাকলে


তুমি না থাকলে সকালটা এতো মিষ্টি হতো না
তুমি না থাকলে মেঘ করে যেত বৃষ্টি হতো না
তুমি না থাকলে মন কষাকষি, করে হাসাহাসি নাক ঘষাঘষি
রাপা রাপপাপপা রাম পাম পা।

তুমি না থাকলে চাঁদটার গায়ে পড়ে যেত মরচে
তুমি না থাকলে কিপটে লোকটা হতো না যে খরচে
তুমি না থাকলে স্বপ্নের রং হয়ে যেত খয়েরী
বনবন করে দুনিয়াটা এই পারতো না ঘুরতে
তুমি না থাকলে রবীন্দ্রনাথ কালির দোয়াত মাথায় ঠুকে হতো কুপোকাত
রাপা রাপপাপপা রাম পাম পা।

তুমি না থাকলে সুমন কেলেঙ্কারী করতো কত
গীটার ফেলে গুয়েতেমালায় নামতা শেখাতে হতো
পাশের বাড়ির মেয়েটা পাশের পাড়ার ছেলের সাথে
তুমি না থাকলে এইভাবে কি বাড়িটা ছেড়ে পালাতো
তুমি না থাকলে তাজমহলটা বানানোই হতো না
লাঠালাঠি, এই কাটাকাটি কিছু থামানোই যেত না
তুমি না থাকলে মোনালিসা কবে হয়ে যেত গম্ভীর
তুমি না থাকলে তোমার চিঠি জমানোই হতো না
তুমি না থাকলে রোমিও কবে
হোমিওপ্যাথির দোকান খুলে জমিয়ে দিতো
রাপা রাপপাপপা রাম পাম পা..
 
এলবামঃ শুনতে কি পাও
গান আলাশ ভরা সূর্য তারা


আকাশ ভরা সূর্য তারা
আকাশমুখী সারি সারি
কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যাওয়া ঠাসাঠাসি বাক্স বাড়ি
এখান থেকেই চলার শুরু এখান থেকেই হামাগুড়ি
এখানটাতেই আমার বাসা
আমার বাড়ি।

বারোতলার ওপর থেকে
বারো বছর কেটে গেছে,
ইস্কুলটা যাওয়া ছাড়া নামা হয়না মাটির কাছে
শোবার ঘরের দেওয়ালটাময় হাঁস মুরগি অনেক নাচে
তবুও রানার চোখের ভেতর কোথাও যেন কান্না ভাসে ।

সেখান থেকে একটু দূরে
একটুখানি এগিয়ে গেলে
একলা থাকেন নন্দীবাবু বন্দী সে ও যে বয়সকালে
সংসারটার হাল ধরেছে বখাটে তার ছোট ছেলে
এক কাপ চা দিয়ে গেছে কখন জানি সাত সকালে

রেডিওটার ব্যাটারিটা হঠাৎ কবে গেল ক্ষয়ে
খাটের থেকে নামতে মানা
বুকের ব্যাথা গেছে সয়ে।
নীলিমার মা তাই তো যে আর ভাবেনা আর সংসারটা নিয়ে
এঁদো গলির সেঁদো ঘরে সবই কেমন বয়ে গেছে
এখানটাতেই আটকে পরা এখানটাতেই ঘুরোঘুরি
এখানটাতেই আমার বাসা
আমার বাড়ি।

চৌধুরীদের একুশ তলায় মদের নেশায় উঁচু গলায়
ঝগড়া চলে গভীর রাতে
লাজলজ্জার বাঁধ ভেঙ্গে যায়
কোর্ট কাছারি অনেক হল
হলনা যে ছাড়াছাড়ি
সম্পত্তি আঁকড়ে ধরে গভীর রাতের মারামারি
সেখান থেকে একটু দূরে পাড়ার মোড়টা একটু ঘুরে
অলিগলি পাকস্থলীর ভেতর কারা গুমড়ে মরে
বলি হল আরেকটা প্রাণ
মস্তানদের ছোরাছুরির
এখানটাতেই আমার বাসা
আমার বাড়ি সারি সারি ।

চিলেকোঠার বারান্দাটা বন্ধ কেন জানো কি তা?
এখান থেকেই লাফিয়ে পরে
লাহাবাড়ির অনিন্দিতা
গভীর রাতে তাইতো কেউ আর ওঠে না যে ওদের ছাদে
অন্ধকারের বন্ধ ঘরে কারা যেন ডুকরে কাঁদে
সেখান থেকে একটু দূরে ছদের পাঁচিলটা ঘুরে
এক চিলতে রোদ্দুরেতে ছোট্ট মেয়ে নামতা পড়ে
তাই তো কালো ইঁটের ফাঁকে বট পাতাটা জিভ ভ্যাংচায়
পাড়ার নেড়ি, বাচ্চাটাকে মুখে করে হাঁটতে শেখায়৷
এখানটাতেই আটকে পরা
এখানটাতেই ঘুরোঘুরি
এখানটাতেই আমার বাসা
আমার বাড়ি ।

আকাশ ভরা সূর্য তারা
আকাশমুখী সারি সারি
কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যাওয়া
ঠাসাঠাসি বাক্স বাড়ি
এখান থেকে চলার শুরু এখানটাতেই হামাগুড়ি
এখানটাতেই আমার বাসা
তোমার ভালোবাসার বাড়ি ।
 
এলবামঃ শুনতে কি চাও
গানঃ দার্জিলিঙ


খাদের ধারের রেলিঙটা
সেই দুষ্টু দোদো সিরিংটা
আমার শৈশবের দার্জিলিংটা
খাদের ধারের রেলিঙটা
সেই দুষ্টু দোদো সিরিংটা
আমার শৈশবের দার্জিলিংটা
জানলার কাঁচে ঠোঁট চেপে
ছবি এঁকেছি নিঃশ্বাসে
পাহাড় আঁকা কত সোজা
হারিয়ে গেছে সেই ড্রয়িং খাতা
খাদের ধারের রেলিঙটা
সেই দুষ্টু দোদো সিরিংটা
আমার শৈশবের দার্জিলিংটা
চ্যাপ্টা ঠোঁটের ভালাবাসা
খুদে চোখে কত আশা
যখন তখন সাদা কুয়াশা
চ্যাপ্টা ঠোঁটের ভালাবাসা
খুদে চোখে কত আশা
যখন তখন সাদা কুয়াশা
খাদে নেমে প্রথম সিগারেট
সেখান থেকে স্কুলের গেট
দশ মিনিট দৌড়ে নইলে লেট
রোল কল হয়ে গেছে, এবার বেত
খাদের ধারের রেলিঙটা
সেই দুষ্টু দোদো সিরিংটা
আমার শৈশবের দার্জিলিংটা
টুং সোনাদা ঘুম পেরিয়ে
একা বেঁকা রাস্তা ধরে
যখন-তখন পৌঁছে যাওয়া যায়
টুং সোনাদা ঘুম পেরিয়ে
একা বেঁকা রাস্তা ধরে
যখন-তখন পৌঁছে যাওয়া যায়
কিন্তু সেই দোদো সিরিংটা
হারিয়ে গেছে যে আজ কোথায়
খাদে নামতে আজ ভয় করে
নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরার
খাদের ধারের রেলিঙটা
সেই দুষ্টু দোদো সিরিংটা
আমার শৈশবের দার্জিলিংটা
 
অ্যালবামঃ শুনতে কি চাও ?
গানঃ মন আমার
তোমার কথা শুনতে ভালো লাগে বন্ধুরা বলে
শোনায় তোমার কথা আমায় প্রায়ই
তাই শুনলাম তোমার কথা গান শোনার ছলে
শুনলাম তোমাকে তাই
অনেক কথা কতো কথা কথোকতার সুরে
ভরে গেলো ভেতরটা আমার
ইচ্ছে হলো বলতে কথা সুরের তালে তালে
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার
মন আমার… মন আমার… মন আমার

মিথ্যে কথায় হারিয়ে যাওয়া ব্যর্থ এ বাজারে
অর্থ নিয়ে এলো তোমার গান
গানের ভাষা নতুন আশায় উঠলো নেচে তোমার কথায়
উঠলো নেচে অনেকের প্রাণ
সত্যি কথা সহজ করে বলার সাহস পেলাম ফিরে
কোথায় যেনো ভেতরে আমার
কথার নেশা ছড়িয়ে দেবার ইচ্ছেটা যে হলো আবার
ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার
মন আমার… মন আমার… মন আমার

গানের কোনো প্রস্তুতি নেই, নেই যে শেকড়-বাকড়
মালকোশ কি পিলু ভৈরবী
গলায় আমার নেই যে কোনো রেওয়াজ করার স্বভাব
এই অভাব আমার থাকবে চিরদিন (২)

আমার শুধু ছিলো আছে কাঠখোট্টা বাস্তবটা (২)
দিবারাত্রি আপোষ আর আপোষ
রবীন্দ্র কি গণসংগীত কোনোটাই ঠিক দিচ্ছিলো না
বুকের ভেতর রেগে উঠার রোষ
গানটা আমার গাইবার এই ইচ্ছেটা যে ছিলো নাকো
গানটা ছিলো শুধুই শোনার
অভ্যেসটা ছিলো কথার তালে কথার জবাব দেওয়া
কথা কেড়ে নেবার স্বভাব
তোমার কথার সূত্র ধরে পথ হারিয়ে নতুন করে
ইচ্ছে হলো কথাটা বলার
কথায় কথা বাড়ে, তাই বলছি ছোট্ট করে
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার
মন আমার… মন আমার… মন আমার

তোমার কথা শুনতে ভালো লাগে বন্ধুরা বলে
শোনায় তোমার কথা আমায় প্রায়ই
তাই শুনলাম তোমার কথা গান শোনার ছলে
শুনলাম "তোমাকে চাই"
অনেক কথা কতো কথা কথোকতার সুরে
ভরে গেলো ভেতরটা আমার
ইচ্ছে হলো বলতে কথা সুরের তালে তালে
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার
মন আমার… মন আমার… মন আমার
 

Users who are viewing this thread

Back
Top