What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

১লা জুলাই - একটি শ্রদ্ধার্ঘ্য (1 Viewer)

BRICK

Board Senior Member
Elite Leader
Joined
Dec 12, 2019
Threads
355
Messages
10,073
Credits
81,757
T-Shirt
Glasses sunglasses
Calculator
Watermelon
Pistol
Pistol
পশ্চিমবঙ্গের এক মফস্বল অঞ্চলের এক মহিলা দীর্ঘদিন থেকে মাথার যন্ত্রনায় ভুগছেন। দেশের নামী দামী বহু চিকিৎসকের পরামর্শ ও ব্যবস্থা অনুযায়ী ওষুধপত্র খেয়েছেন, টোটকা চিকিৎসাও করিয়েছেন অনেক, কিন্তু কিছুতেই মাথার যন্ত্রণা কমেনি। দীর্ঘদিন রোগ ভোগের পর হতাশ হয়ে পড়েছিলেন মহিলা---এ রোগ বুঝি আর সারল না।

সর্বশেষ চেষ্টা হিসাবে ভদ্রমহিলার স্বামী তাকে নিয়ে এলেন কোলকাতায় এক চিকিৎসকের কাছে। দেশজোড়া নামডাক সেই চিকিৎসকের। সাক্ষাৎ ধন্বন্তরী বলে পরিচিত তিনি। একমাত্র সেই চিকিৎসককেই রুগী দেখানো বাকি ছিল।

প্রতিদিন সকালের দিকে কিছু সময় বিনা পারিশ্রমিকে রুগী দেখতেন তিনি। নিজের বাসভবনেরই একটি ঘরে বসতেন। ঘরের প্রান্তে তাঁর বসার চেয়ার। দরজা দিয়ে ঢুকে রুগীকে হেঁটে ডাক্তারবাবুর সামনে গিয়ে বসতে হয়।

ঘরে ঢোকা আর হেঁটে গিয়ে আসনে বসার সময়ের মধ্যে ডাক্তারবাবু তাঁর রুগীকে পর্যবেক্ষণ করে রোগ নির্ণয় করে নিতেন। এমনই ছিল তার দক্ষতা। প্রায় সময় রুগীকে মুখ ফুটে তার রোগের কষ্টের কথা বলতে হত না। তিনি রুগীর দেহের লক্ষণ, চলাফেরা ও চেহারা দেখেই রোগ নির্ণয় করে ফেলতেন এবং রুগীকে তার রোগ উপসর্গের কথা শুনিয়ে দিতেন। পরে সেইমত ব্যবস্থাপত্র লিখে দিতেন।

প্রতিদিনই শহরের এবং দূর দূরান্ত থেকে বহু দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত মানুষ ভিড় করত ডাক্তারবাবুর বাসভবনে। সেই মহিলাকেও তার স্বামী নিয়ে এলেন একদিন। তিনি যথা সময়ে ঘরে ঢুকে ধীর পায়ে হেঁটে গিয়ে ডাক্তার বাবুর সামনের আসনে বসলেন।

মহিলা চেয়ারে বসতেই তিনি মৃদু হেসে বললেন , " চব্বিশঘন্টা মাথার যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। আলোর দিকে তাকাতেও কষ্ট হয়?"

ডাক্তারবাবুর কথা শুনে ভদ্রমহিলার যন্রনাক্লিষ্ট মুখের রেখায় আশ্চর্য একটা আরামের হাসি যেন স্পর্শ করে গেল।

ডাক্তারবাবু বললেন , কোন ওষুধপত্রের প্রয়োজন নেই। যে সিঁদুরটা আপনি ব্যবহার করেন, সেটা আর করবেন না। বাজার থেকে ভাল কোন সিঁদুর ব্যবহার করবেন। কিছুদিন দেখুন, তারপর আমাকে জানাবেন।

বলাবাহুল্য দূষিত সিঁদুরের বিষক্রয়া থেকেই সেই মহিলার স্থায়ী মাথাযন্ত্রণার শিকার হয়েছিলেন এবং ডাক্তারবাবুর পরামর্শ মত সিঁদুরের ব্রান্ড বদল করবার পর থেকেই তিনি আরোগ্য লাভ করেন।

এই ধন্বত্বরী চিকিৎসকটির নাম বাংলার রূপকার ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়। যিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর কর্মকৃতিত্বের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন।

চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ, বিধান নগর উপনগরী, কল্যাণী উপনগরী, রাষ্ট্রীয় পরিবহণ, হরিণঘাটা দুগ্ধ প্রকল্প, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান, উত্তরবঙ্গ ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যান্ডেল তাপ-বিদ্যুৎ কেন্দ্র, দামোদর ভ্যালি করপোরেশন, প্রভৃতি এই সকল প্রকল্পের মূলে ছিলেন কর্মবীর ড:বিধান চন্দ্র রায়।
ওনার স্মরণে আজ এই দিনটি ভারতবর্ষে NATIONAL DOCTORS DAY হিসাবে পালিত হয়।
১লা জুলাই এই মহান মানুষটির জন্ম এবং মৃত্যুদিন। ওনাকে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই। বিগ স্যলুট টু দিস গ্রেট ম্যান।,🙏🙏🙏
 

Users who are viewing this thread

Back
Top