ছেলেরা আর কিছু জানুক বা না জানুক চারটা বিয়ের হাদিসটা ঠিকই জানে। বিবাহিত কোনো ছেলেকে যদি তার স্ত্রী দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি দেয় স্বেচ্ছায়, সেই পুরুষ আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাবে যদিও স্ত্রীর সামনে খুশি না হওয়ার ভান ধরবে,আই থিংক ৯০% ছেলেরা এটা করবে(আই রিপিট,৯০% বলেছি, সবাই এক রকম নয়,কিছু ব্যতিক্রম আছে,)। বাট কোনো বিবাহিত মেয়েকে দ্বিতীয়বার বিয়ের কথা বলে দেইখো,,তোমার হাড্ডি ভাইঙ্গা রেখে দিবে।কারণ কি জানো?মেয়েরা মায়াবতী,আর মায়াবতীর কোনো পুরুষবাচক শব্দ নেই।মেয়েরা সারাজীবন একটা মানুষকে ভালোবেসে যেতে চায়।সোশ্যাল মিডিয়াতে যত গুলো পোস্ট দেখি,যত মিমস দেখি তার ৭০% বিবাহিত জীবনকে নিয়ে ট্রল করা,,স্ত্রীদের নিয়ে ট্রল করা,,স্ত্রী রা অনেক দজ্জাল হয় অনেক ঝগড়াটে হয় সারাক্ষণ প্যানপ্যান করে সাংসারিক ঝামেলা নিয়ে,ব্লা ব্লা ব্লা।বাট হোয়াই?কখোনো কি ভেবে দেখেছো মেয়েরা যে আত্মত্যাগ করে তার মূল্য কোনো কিছুর বিনিময়েও পরিশোধ করতে পারবে কিনা? তোমরা ছেলেরা তো প্রতিদিন তোমাদের বাবা মা কে চোখের সামনে দেখতে পাও,কিন্তু তোমাদের স্ত্রীরা কি সেটা পারে বলো?মেয়েরা ও তো কোনো বাবা মায়ের নাড়িছেড়া ধন হয়,যখন কোনো মা বাবা তাদের মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠান তাদের কলিজাটা ছিড়ে যায় এটা কি জানো?আর ওই মেয়েটার কি হয়!সেটা যদি বুঝতে তাহলে তোমরা তোমাদের স্ত্রী দের উপর রাগ করতে না।ছোট্ট থেকে যে পরিবেশে বড় হওয়া যে আপন মানুষদের সান্নিধ্যে বেড়ে উঠা,সেই চেনা ঘর চেনা বাড়ি ছেড়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা পরিবেশে কত সহজে মানিয়ে নেয় মেয়েরা,কত সহজে আপন করে নেয় মানুষগুলোকে,এতকিছুর পরেও তোমরা তাদের রাগটুকু বকবকানিটুকু সহ্য করতে পারো না!
বেশির ভাগ মেয়েই খুব অল্পতেই খুশি হয় এটা কি জানো।ক্যান্ডেল লাইট ডিনার,লংড্রাইভ,দামী সারপ্রাইজ গিফটে সব মেয়ে খুশি হয় না রে ভাই।কিছু মেয়ে আছে যারা ছোট্ট একটা কাঠগোলাপ,একমুঠো কাঁচের চুড়িতেই খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায়।
বেশির ভাগ ছেলেদের উক্তি বিবাহিত জীবন একটা জেলখানা,অনেকে আবার বন্ধু বান্ধব কে পরামর্শ ও দেয় এভাবে,বন্ধু বিয়ে করেছো তো ফেঁসেছো,আমি করছি আর মরছিও, বিয়ে মানেই প্যারা!ব্লা ব্লা ব্লা
সাংসারিক জীবনটাকে সুখী রাখতে জানতে হয় ভাই।আমি নিজে একজন খুব হ্যাপি ফ্যামিলির মেয়ে।একটা সংসারকে হ্যাপি করে তুলতে স্বামী স্ত্রী উভয়েরই ভূমিকাটা সমান গুরুত্বপূর্ণ। আমি সবসময় দেখেছি আমার আম্মু কখোনো রেগে গেলে আব্বু কত সুন্দর ভাবে সেটা সামলিয়েছে,তাকে হাসানোর চেষ্টা করেছে তার রাগ ভাঙানোর চেষ্টা করেছে।আমার আব্বু সবদিক থেকে একজন সফল মানুষ,ওই যে বলেছিলাম না,সব পুরুষ সমান নয়,কিছু ব্যতিক্রম আছে,আমার আব্বু সেই ব্যতিক্রমীদের মধ্যে একজন।
স্বামী স্ত্রীর মধ্যকার ভালোবাসাটা ভীষণ সুন্দর
,এরথেকে সুন্দর জিনিস বোধহয় পৃথিবীতে আর নাই।আমি দেখেছি আমার আব্বু আম্মুকে, কত সুন্দর আন্ডারস্ট্যান্ডিং তাদের মধ্যে। আমার দেখা বেস্ট কাপল তারা,May Allah bless them.
পোস্টটা আমি কোনো পুরুষকে ছোট করার জন্য করিনি।একটা সংসারকে সুন্দর করার জন্য নারী পুরুষ উভয়েরই সমান দায়িত্ব পালন করতে হয়,যে৷ সংসারে স্বামী স্ত্রীর মধ্যকার আন্ডারস্ট্যান্ডিং যত ভালো সেই সংসার তত বেশী সুখের হয়। ভালোবাসার সংজ্ঞা টা একেকজনের কাছে একেকরকম কিন্তু আমার কাছে ভালোবাসা মানে,যাকে ভালোবাসি তাকে ভালোরাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা । যদি দুজন মানুষ একে অপরকে ভালো রাখার চেষ্টা করে তাহলে সেই ভালোবাসাটা প্রগাঢ় হয় আর সারাজীবন স্থায়ী হয়।
রুহিনা আক্তার হেনা
১১ ই মার্চ,২০২২
বেশির ভাগ মেয়েই খুব অল্পতেই খুশি হয় এটা কি জানো।ক্যান্ডেল লাইট ডিনার,লংড্রাইভ,দামী সারপ্রাইজ গিফটে সব মেয়ে খুশি হয় না রে ভাই।কিছু মেয়ে আছে যারা ছোট্ট একটা কাঠগোলাপ,একমুঠো কাঁচের চুড়িতেই খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায়।
বেশির ভাগ ছেলেদের উক্তি বিবাহিত জীবন একটা জেলখানা,অনেকে আবার বন্ধু বান্ধব কে পরামর্শ ও দেয় এভাবে,বন্ধু বিয়ে করেছো তো ফেঁসেছো,আমি করছি আর মরছিও, বিয়ে মানেই প্যারা!ব্লা ব্লা ব্লা
সাংসারিক জীবনটাকে সুখী রাখতে জানতে হয় ভাই।আমি নিজে একজন খুব হ্যাপি ফ্যামিলির মেয়ে।একটা সংসারকে হ্যাপি করে তুলতে স্বামী স্ত্রী উভয়েরই ভূমিকাটা সমান গুরুত্বপূর্ণ। আমি সবসময় দেখেছি আমার আম্মু কখোনো রেগে গেলে আব্বু কত সুন্দর ভাবে সেটা সামলিয়েছে,তাকে হাসানোর চেষ্টা করেছে তার রাগ ভাঙানোর চেষ্টা করেছে।আমার আব্বু সবদিক থেকে একজন সফল মানুষ,ওই যে বলেছিলাম না,সব পুরুষ সমান নয়,কিছু ব্যতিক্রম আছে,আমার আব্বু সেই ব্যতিক্রমীদের মধ্যে একজন।
স্বামী স্ত্রীর মধ্যকার ভালোবাসাটা ভীষণ সুন্দর
পোস্টটা আমি কোনো পুরুষকে ছোট করার জন্য করিনি।একটা সংসারকে সুন্দর করার জন্য নারী পুরুষ উভয়েরই সমান দায়িত্ব পালন করতে হয়,যে৷ সংসারে স্বামী স্ত্রীর মধ্যকার আন্ডারস্ট্যান্ডিং যত ভালো সেই সংসার তত বেশী সুখের হয়। ভালোবাসার সংজ্ঞা টা একেকজনের কাছে একেকরকম কিন্তু আমার কাছে ভালোবাসা মানে,যাকে ভালোবাসি তাকে ভালোরাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা । যদি দুজন মানুষ একে অপরকে ভালো রাখার চেষ্টা করে তাহলে সেই ভালোবাসাটা প্রগাঢ় হয় আর সারাজীবন স্থায়ী হয়।
১১ ই মার্চ,২০২২