আজ ২৯ জুলাই। বিশ্ব ওআরএস দিবস। ওআরএস অর্থাৎ ওরাল রিহাইড্রেশন সল্ট, যাকে আমরা খাওয়ার স্যালাইন বা ওরস্যালাইন বলেই জানি।
ওরস্যালাইনের ছোট্ট প্যাকেট। চরম সংকটের হাত থেকে বাঁচিয়ে দেওয়ার জরুরি এক উপকরণ। আজ ২৯ জুলাই। বিশ্ব ওআরএস দিবস। ওআরএস অর্থাৎ ওরাল রিহাইড্রেশন সল্ট, যাকে আমরা খাওয়ার স্যালাইন বা ওরস্যালাইন বলেই জানি।
শরীরের পানিশূন্যতা পূরণ করতে পানি তো লাগবেই, তবে এর পাশাপাশি দিতে হবে শরীরের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় লবণও। কারণ, পানির সঙ্গে সঙ্গে লবণও যে বেরিয়ে যায় শরীর থেকে। পানি আর লবণ—এই দুইয়ের অভাবেই মারাত্মক জটিলতায় ভুগতে পারে রোগী। ঘাটতির সময় কিন্তু সাধারণ খাওয়ার লবণ দিয়ে তা পূরণ করা যায় না। প্রয়োজন হয় বিশেষ কিছু উপকরণের সমন্বয়। সেই সমন্বয়ই পানিশূন্যতা পূরণের লবণ বা ওআরএস। নির্দিষ্ট পরিমাণ পানির সঙ্গে যা মিশিয়ে নিয়েই বাঁচানো যেতে পারে একটি জীবন।
প্রয়োজনকে জানুন
পানিশূন্যতা হলেই ওরস্যালাইন প্রয়োজন হয়। ডায়রিয়া হলে, বমি হলে, খুব ঘাম হলে তাই ওরস্যালাইন পান করতে হবে। বিশেষ করে শিশুদের পাতলা পায়খানা হলে তারা দ্রুত পানিশূন্যতার কারণে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। প্রতি ঘরেই তাই রাখা উচিত ওরস্যালাইনের প্যাকেট। এমনকি বাড়ি থেকে দূরে কোথাও গেলেও সঙ্গে কয়েক প্যাকেট ওরস্যালাইন সঙ্গে রাখা ভালো। হঠাৎ এর প্রয়োজন পড়তেই পারে গভীর রাতে কিংবা নির্জন পথে।
প্রস্তুত প্রণালি
খেয়াল করুন
* রাফিয়া আলম, স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড, ঢাকা।
ওরস্যালাইনের ছোট্ট প্যাকেট। চরম সংকটের হাত থেকে বাঁচিয়ে দেওয়ার জরুরি এক উপকরণ। আজ ২৯ জুলাই। বিশ্ব ওআরএস দিবস। ওআরএস অর্থাৎ ওরাল রিহাইড্রেশন সল্ট, যাকে আমরা খাওয়ার স্যালাইন বা ওরস্যালাইন বলেই জানি।
শরীরের পানিশূন্যতা পূরণ করতে পানি তো লাগবেই, তবে এর পাশাপাশি দিতে হবে শরীরের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় লবণও। কারণ, পানির সঙ্গে সঙ্গে লবণও যে বেরিয়ে যায় শরীর থেকে। পানি আর লবণ—এই দুইয়ের অভাবেই মারাত্মক জটিলতায় ভুগতে পারে রোগী। ঘাটতির সময় কিন্তু সাধারণ খাওয়ার লবণ দিয়ে তা পূরণ করা যায় না। প্রয়োজন হয় বিশেষ কিছু উপকরণের সমন্বয়। সেই সমন্বয়ই পানিশূন্যতা পূরণের লবণ বা ওআরএস। নির্দিষ্ট পরিমাণ পানির সঙ্গে যা মিশিয়ে নিয়েই বাঁচানো যেতে পারে একটি জীবন।
প্রয়োজনকে জানুন
পানিশূন্যতা হলেই ওরস্যালাইন প্রয়োজন হয়। ডায়রিয়া হলে, বমি হলে, খুব ঘাম হলে তাই ওরস্যালাইন পান করতে হবে। বিশেষ করে শিশুদের পাতলা পায়খানা হলে তারা দ্রুত পানিশূন্যতার কারণে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। প্রতি ঘরেই তাই রাখা উচিত ওরস্যালাইনের প্যাকেট। এমনকি বাড়ি থেকে দূরে কোথাও গেলেও সঙ্গে কয়েক প্যাকেট ওরস্যালাইন সঙ্গে রাখা ভালো। হঠাৎ এর প্রয়োজন পড়তেই পারে গভীর রাতে কিংবা নির্জন পথে।
প্রস্তুত প্রণালি
- ওরস্যালাইনের প্যাকেট থাকলে তা বানানো খুবই সহজ। আধা লিটার পানিতে প্যাকেটের পুরোটাই ঢেলে নিন, ভালোভাবে নেড়ে নিলেই হলো।
- বাড়িতে প্যাকেট না থাকলে আধা লিটার পানিতে এক মুঠো গুড় বা চিনি আর এক চিমটি লবণ মিশিয়ে নিয়েই কাজ চালাতে পারেন।
- ডায়রিয়ায় স্যালাইন সেবনবিধি
- প্রতিবার পাতলা পায়খানা হবার পরই স্যালাইন খেতে হবে এভাবে—
- ২ বছরের কম বয়সী শিশুর জন্য প্রতিবার ১০ থেকে ২০ চামচ।
- ২ থেকে ১০ বছর বয়সীদের জন্য ১২৫ মিলিলিটার (আধা কাপ) থেকে ২৫০ মিলিলিটার (এক কাপ)।
- ১০ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য ২৫০ মিলিলিটার (এক কাপ) থেকে ৫০০ মিলিলিটার (দুই কাপ) করে
খেয়াল করুন
- ওরস্যালাইন বানানোর পাত্র, দ্রবণ নাড়ার চামচ, রোগীকে খাওয়ানোর পাত্র—সবই হতে হবে পরিষ্কার।
- ফুটানো বা ফিল্টার করা পানি ব্যবহার করা যাবে। তবে ফুটানো পানি ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পর তা দিয়ে স্যালাইন তৈরি করতে হবে, গরম থাকতে থাকতে নয়।
- অর্ধেক পরিমাণ পানি নিয়ে তাতে ওরস্যালাইনের প্যাকেটের অর্ধেকটা দিয়ে তৈরি করা যাবে না, করলে লবণের মাত্রার তারতম্য হয়ে যাবে।
- প্যাকেটের স্যালাইন তৈরির ১২ ঘণ্টার মধ্যে শেষ না হলে তা আর পান করানো যাবে না (ঘরে তৈরি স্যালাইনের ক্ষেত্রে ৬ ঘণ্টা)।
- স্যালাইন গরম করা যাবে না।
- ওরস্যালাইনের বদলে চালের তৈরি স্যালাইনও (রাইস স্যালাইন) সেবন করা যেতে পারে। ২৫০ মিলিলিটার বা ১ পোয়া পানির জন্য উপযোগী প্যাকেটের রাইস স্যালাইন পাওয়া যায়।
* রাফিয়া আলম, স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড, ঢাকা।