পজিটিভ প্যারন্টিং -এর একটাই সূত্র,
"বাচ্চাকে সময় দেয়া। "
*বাচ্চার সাথে খেলা। ওদের কে বুঝার চেষ্টা করা।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হলো :
*মা এবং বাবা একই মতের মিল (বাচ্চা যদি বাবা-মা এর মধ্যে মিল দেখে)মানে হচ্ছে মা যদি বলে এটা ঠিক,সাথে বাবাও যদি বলে ঠিক । তাহলেই ... সম্ভব বাচ্চার সুন্দর ভবিষ্যত পাওয়া।
প্রায় সংসারে দেখা যায় ,বাবা বলবে একটা ,মা বলবে আরেকটা।
যেমন:
(1)মা বলছে ঠান্ডা ,তোমাকে জ্যাকেট পরতে হবে।বাবা এসে বলবে না জ্যাকেট এর দরকার নেই,আজ গরম।
(2)মা বলল বেশি টিভি/মোবাইল(ইলেট্রনিক ডিভাইস)দেখার দরকার নেই।বাবা এসে বলল দেখুক,কি করবে বাচ্চাটা .
(3)মা কিছু খাবার দিলো বাচ্চাকে আর বলছে খাও অনেক মজা।বাবা এসে বলল নিশ্চয় মজা না ,তাই খেতে চাচ্ছে না।
ইত্যাদি ইত্যাদি ......
এই যে হাজারো দ্বি-মত বাচ্চারা বাবা-মা এর মধ্যে দেখতে পায়।ধীরে ধীরে তারা ভাবতে শুরু করে আমরাই ঠিক ,এরাই ভুল।
আস্তে আস্তে বড় হয়ে কথা শুনতে চায়না । জিদ্দী হয়।
তাই ,পজিটিভ প্যারেন্টিং মানে শুধুমাত্র মা বা বাবা র একার দায়িত্ব নয়। বাবা-মা দু'জনের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই,আমরা একটি বাচ্চার সুন্দর ভবিষ্যত পেতে পারি।
তাই ,সবাইকে মিলে,বাচ্চার আড়ালে আলোচনা করে ,বাচ্চার সামনে সবাইকে পজিটিভ হতে হবে,তাহলেই সম্ভব পজিটিভ প্যারেন্টিং। ইনশা-আল্লাহ।