What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

এই গরমে ডায়রিয়ার কারণ (1 Viewer)

ডায়রিয়া হলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পানিশূন্যতা রোধ করা। পর্যাপ্ত পানি ও খাবার স্যালাইন খেতে হবে।

DPHf8MW.jpg


দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই কিছুদিন ধরে ডায়রিয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বছরের এই সময়ে বিভিন্ন এলাকায় সুপেয় পানির সংকট দেখা দেয়। তা ছাড়া গরমে খাবার দ্রুত নষ্ট হয়, জীবাণু বংশবিস্তার করে। খোলা খাবার, রেস্তোরাঁর খাবার বা বাসি খাবার খেয়ে অসুস্থ হন অনেকে। প্রচণ্ড রোদ ও গরমে মানুষ বাইরে খোলা পানি, শরবত, জুস ইত্যাদি খান; যা বিশুদ্ধ পানি দিয়ে তৈরি নয়। এ সময় ডায়রিয়া ও ডিসেন্ট্রির প্রকোপ বাড়ার অন্যতম কারণ এগুলো।

ডায়রিয়া ও ডিসেন্ট্রি হলে বাড়িতেই চিকিৎসা সম্ভব। তবে অবস্থা গুরুতর হলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন পড়ে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের হাসপাতালগুলোয় এ রকম রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে।

সচেতনতা জরুরি

এ সময় একটু সচেতন হলেই সুস্থ থাকা সম্ভব। এই গরমে আমাদের দৈনিক পানির চাহিদা অন্তত দুই থেকে তিন লিটার। তবে সেই পানি হতে হবে অবশ্যই বিশুদ্ধ। পানি ফুটিয়ে তারপর ঠান্ডা করে পরিষ্কার পাত্রে সংরক্ষণ করে পান করা সবচেয়ে সহজ ও সাশ্রয়ী। অনেকে ফিল্টার ব্যবহার করেন, তবে ফোটালে সব ধরনের জীবাণু স্পোরসহ ধ্বংস হয়। ঘরের বাইরে, বিশেষ করে রাস্তায় বিক্রি করা শরবত বা অন্য কোনো পানীয় পান করা যাবে না। বাইরে যাওয়ার সময় বাসা থেকে পানির বোতল নিয়ে বের হতে হবে।

খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রেও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বাইরের খোলা খাবার কোনোভাবেই খাওয়া যাবে না। বাসায় তৈরি টাটকা খাবার খাওয়া সবচেয়ে উত্তম। বাসি খাবার না খাওয়াই ভালো। খেতে হলে তা আগে ভালো করে গরম করে নিতে হবে। কাঁচা শাকসবজি, ফলমূল ভালো করে ধুয়ে নিন। ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কোনো বিকল্প নেই। খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

হঠাৎ ডায়রিয়া বা বমি শুরু হলে যা করবেন

প্রথম কথা, ঘাবড়ে যাওয়া চলবে না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সমস্যা ঠিক হয়ে যায়। খুব কম ক্ষেত্রেই হাসপাতালে যাওয়া লাগে। ডায়রিয়া হলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পানিশূন্যতা রোধ করা। পর্যাপ্ত পানি ও খাবার স্যালাইন খেতে হবে। প্রতিবার পাতলা পায়খানা অথবা বমির পর অন্তত এক গ্লাস খাবার স্যালাইন খেতে হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হতে পারে। তবে সেটা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে খেতে হবে। নিজের ইচ্ছেমতো ওষুধ খাওয়া যাবে না। এতে বিপদ আরও বাড়তে পারে।

পানিশূন্যতার সন্দেহ হলে অবশ্যই নিকটবর্তী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। যদি চোখ বসে যায়, রোগী নিস্তেজ হয়ে পড়ে, অচেতন হয়ে পড়ে, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায় বা বারবার বমির কারণে পানি বা স্যালাইন বেরিয়ে গেলে হাসপাতালে নিতে হবে।

* ডা. মোহাম্মদ জাকির হোসেন | সহযোগী অধ্যাপক, পরিপাকতন্ত্র, লিভার ও প্যানক্রিয়াস রোগ বিভাগ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা
 

Users who are viewing this thread

Back
Top