![19WQR2A.jpg](https://i.imgur.com/19WQR2A.jpg)
করোনাকালে আমাদের ঈদ উদ্যাপনের ধরনে এসেছে অনেক পরিবর্তন। বাইরে ঘুরে বেড়ানো বা ঘরজুড়ে অতিথিদের আড্ডা ও খাওয়াদাওয়া এখন অনেকটাই অতীত। তবু ঈদ বলে কথা, তাই অল্প পরিসরে হলেও অতিথি আসার সম্ভাবনা থেকে যায়। আবার এলেও তো স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে সঠিকভাবে। এমনকি ঈদের চিরচেনা কাজ, যেমন: কোলাকুলি বা কাছাকাছি বসে খাওয়া, আড্ডায়ও বজায় রাখতে হবে বিধিনিষেধ। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে অতিথি আপ্যায়ন দিয়েই উদ্যাপন করা হোক এবারের ঈদ।
মহামারির এই দীর্ঘ সময়ে ঘরে কেটেছে গত বছরের ঈদ। এ ছাড়া বেড়াতে যাওয়া ও বাড়ি গিয়ে দেখা বা যোগাযোগের রীতিও এবারও তেমন দেখা যাবে না। তবে এই ঈদে যাঁরা আপনজনের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করছেন, তাঁদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে তবেই যেতে হবে। এতে সুরক্ষিত থাকতে পারবেন আপনি ও আপনার কাছের মানুষেরা।
![fwN0DJY.jpg](https://i.imgur.com/fwN0DJY.jpg)
করোনাকালে ঈদের দিনে ঘরে অতিথি এলে প্রথমেই নিশ্চিত করতে হবে যেন সবাই মাস্ক পরা আছেন কি না। নিজের ও সবার সুরক্ষায় মাস্কের কোনো বিকল্প নেই। সবচেয়ে ভালো হয় দুটি মাস্ক ব্যবহার করতে পারলে। এতে সুরক্ষাবলয় একটু বেশি নিশ্চিত হয়। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাও করোনা থেকে রক্ষা পাওয়ার আরেকটি উপায়, জানালেন বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিক এফপিএবির চিকিৎসক ও মেডিকেল অফিসার সুতপা দত্ত। এ ছাড়া ঈদের দিনের অতিথি এলে আরও কী কী স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, সে সম্পর্কেও দিয়েছেন প্রয়োজনীয় পরামর্শ।
জীবাণুনাশক ব্যবহার
ঈদের দিনে অতিথি ঘরে আসার আগে পুরো ঘর জীবাণুনাশক দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এ ছাড়া মেহমান এলে ঘরে প্রবেশের আগেই তাঁদের হাত-পা ও সঙ্গে আনা ব্যাগ জীবাণুমুক্ত করতে হবে। তবে সবচেয়ে ভালো হয় হাত-পা ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলা।
![CjZP4pa.jpg](https://i.imgur.com/CjZP4pa.jpg)
অন্য ঘরে না যাওয়া
ঈদ মানে আনন্দ করে আড্ডা ও খাওয়াদাওয়া। কিন্তু এবারের ঈদ তার ব্যতিক্রম। অতিথি ঘরে এলেও এবার থাকতে হবে একটি ঘরে। সারা ঘর না ঘুরে বসার ঘরে থাকাই নিরাপদ। এতে অন্য ঘরগুলো সুরক্ষিত থাকবে, বলেন স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ সুতপা দত্ত।
খাওয়ার সময় দূরত্ব ও মাস্ক
অতিথি আপ্যায়নের সময়ে খুব কাছাকাছি বসে খাওয়া যাবে না। একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব অবশ্যই বজায় রাখতে হবে। তবে সবচেয়ে জরুরি হলো খাবার পরিবেশনকারী মাস্ক পরা। এক পক্ষ মাস্ক পরা থাকলেও পাওয়া যায় অনেকটা সুরক্ষা।
ভিন্ন প্লেট-গ্লাস ব্যবহার ও ধুয়ে ফেলা
![caZWpGr.jpg](https://i.imgur.com/caZWpGr.jpg)
অতিথিদের সবাইকেই ভিন্ন ভিন্ন পাত্রে খাবার দিতে হবে। একজনের ব্যবহার করা পাত্র ধুয়ে অন্যজনকে দেওয়া ঠিক নয়। যতবারই খাবার দেওয়া হোক না কেন, একজনকে তার ব্যবহার করা পাত্রেই দেওয়া উচিত। এ ছাড়া খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সাবান দিয়ে কিছু সময় ভিজিয়ে রেখে বাসনপত্র ধুয়ে ফেলতে হবে।
টেবিল ও আসবাব জীবাণুমুক্ত করা
![2JUJUpN.jpg](https://i.imgur.com/2JUJUpN.jpg)
অতিথি ঘরে আসার আগে ও পরে জীবাণুনাশক দিয়ে টেবিল ও চেয়ার পরিষ্কার করতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় চেয়ারে ও বসার ঘরের সোফায় কাভার ব্যবহার করা। এতে অতিথি চলে যাওয়ার পর কাভারগুলো সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলা যাবে সহজেই।
শিশুদের জন্য
![DvgCl64.jpg](https://i.imgur.com/DvgCl64.jpg)
করোনায় শিশুদের সংক্রমণের হার কম হলেও এখন শিশুরাও ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই শিশুদের নিয়ে বের হলে তাদেরও মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। দুই বছরের বেশি বয়সী শিশুরা মাস্ক ব্যবহার করতে পারবে। শিশুর পরার জন্য আলাদা এক সেট কাপড় নিয়ে নিতে পারেন। ঘরে পৌঁছানোর পর সঙ্গে সঙ্গেই ছোট শিশুর কাপড় পরিবর্তন করে অন্য নতুন কাপড় পরিয়ে দিলে ভালো।