একাধিক সন্তান থাকলে অনেকে বেছে নেন বাঙ্ক বেড বা দোতলা খাট। এতে সন্তানদের কাছাকাছি রাখার পাশাপাশি ঘরে অনেকটা জায়গাও বাঁচানো যায়।
বড় ছেলেটার বয়স ছয় বছর। এরই মধ্যে আলাদা ঘরে ঘুমানো শুরু করেছে সে। আর ছোটটা সবে তিনে পড়তে যাচ্ছে। এখন তাকেও আলাদা ঘরে দেওয়ার কথাই ভাবছেন তনিমা আর শাকিল। কিন্তু দুই সন্তানের জন্য আলাদা ঘর বা ভিন্ন বিছানা না করে দুজনকেই এক ঘরে রাখার ভাবনা তাদের। আরও বিশেষভাবে বলতে গেলে দুজনকে এক বিছানায়ও রাখা যায়। সে ক্ষেত্রে সেটা একটা বড় বিছানা না করে হতে পারে বাঙ্ক বেড।
শিশুদের একসঙ্গে রাখতে বাঙ্ক বেড বেশ কাজের
পপসুগার ডটকমে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক ঘরেই দুজন সন্তান একসঙ্জে সময় কাটালে তাদের মধ্যে সংযোগটা খুবই গাঢ় হয়। হয়তো তারা মাঝেমধ্যে নানা জিনিস ভাগাভাগি করতে না চেয়ে বিদ্রোহ করবে, মাঝেমধ্যে একে অন্যকে ঘুম থেকে তুলে দেবে। তারপরও তারা সকালে যখন একসঙ্গে ঘুমিয়ে থাকবে বা ঘুমানোর আগে দুজনে টুকটাক কথা বলবে বা গাইবে, তখন মা–বাবা হিসেবে বেশ ভালো লাগবে।
বাঙ্ক বেড শুধু যে দুই সন্তানকে পাশাপাশি রাখবে, তা–ই নয়; এখন এমন অনেক বাঙ্ক বেড বাজারে পাওয়া যায়, যেগুলোর নিচে আলমারি বা টেবিলও রয়েছে। তাই বাঙ্ক বেড বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে নজর দিতে হবে।
বাঙ্ক বেডের নিচে একটা শোবার জায়গা থাকে আর ওপরে একটা। ছোট শিশুটিকে ওপরে না দেওয়াই ভালো। বড় শিশুটি ওপরে থাকলেও সেটা পুরোপুরি সুরক্ষিত করতে হবে।
ওপরে থাকা শিশুটি যেন সুরক্ষিত থাকে, সে জন্য অবশ্যই বাঙ্ক বেডের সিঁড়ির ব্যবহার তাকে শেখাতে হবে। তা না হলে পড়ে গিয়ে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
রাতেও শিশুর ঘরে হালকা আলোর ব্যবস্থা করুন। যদি শিশু অন্ধকারে ঠিকমতো দেখতে না পায়, তাহলে পড়ে গিয়ে আরও অবস্থা খারাপ হয়ে পড়বে।
এই বেডের আর একটি বড় সুবিধা হলো এতে জায়গা বেঁচে যায় অনেকখানি। মানে আপনি চাইলেই দুই সন্তানের জন্য দুটি আলাদা বিছানা না দিয়ে একটি বিছানা দিয়ে অনেকখানি জায়গা বাঁচাতে পারেন ঘরের।
বাঙ্ক বেড কেনার আগে অবশ্যই ঘরের আকার–আয়তন ঠিকভাবে দেখে নেবেন। প্রস্থ তো দেখবেন, সঙ্গে উচ্চতাও দেখে নেবেন। শিশু ওপরে উঠতে গিয়ে মাথায় আঘাত পাক, সেটা নিশ্চয়ই আপনি চাইবেন না।
বাঙ্ক বেড বানাতে পারেন কাঠের বা মেটালের। চাইলে দুটির মিশ্রণেও বানাতে পারেন। মেটালের খাট বেশি টেকসই ও দৃঢ় হবে। আর কাঠেরটা আপনার ঘরের চেহারাই বদলে দেবে।
ওপরের অংশে অবশ্যই চারপাশে রেলিং দিতে হবে যেন শিশু কোনোভাবেই পড়ে গিয়ে ব্যথা না পায়।
খাট কেনার আগে দেখে নেবেন তাতে সিঁড়ি ব্যবহার করা হয়েছে, নাকি মই
খাট কেনার আগে দেখে নেবেন তাতে সিঁড়ি ব্যবহার করা হয়েছে, নাকি মই। সন্তান নিশ্চয়ই মই বেয়ে উঠতেই পছন্দ করবে, কিন্তু শিশুর নিরাপত্তা ও জায়গা বিবেচনা করে তবেই সিদ্ধান্ত নেবেন।
বিছানা যতটা ভর নিতে পারে, তার বেশি ভর ওর ওপরে দিবেন না। শিশুকে কখনোই বাঙ্ক বেড়ের ওপরে খেলাধুলা করতে দেবেন না। তবে যদি বাঙ্ক বেডেই খেলাধুলার জায়গা করা থাকে, তাহলে আলাদা বিষয়।
বাঙ্ক বেডের নিচে কার্পেট দিয়ে দেওয়ারও পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। এতে কোনোভাবে শিশু পড়ে গেলেও বড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা কিছুটা কমে। সেটা না হলেও বড় কোনো মোটা ধরনের কার্পেট, অর্থাৎ রাগও ব্যবহার করা যেতে পারে।
সিলিং ফ্যান, জানালা বা লাইট থেকে বাঙ্ক বেড দূরে রাখুন। আর বাঙ্ক বেডে কোনো দড়ির একটা অংশ বাঁধবেন না। এমনকি কাপড় টানানোর দড়িও নয়।
বাঙ্ক বেড পেলে নিশ্চয়ই খুশি হয়ে উঠবে শিশুরা। চাইলে সন্তানের জন্য বাঙ্ক বেড তার কোনো ফিকশন চরিত্রের মতো করেও তৈরি করে নিতে পারেন।
বড় ছেলেটার বয়স ছয় বছর। এরই মধ্যে আলাদা ঘরে ঘুমানো শুরু করেছে সে। আর ছোটটা সবে তিনে পড়তে যাচ্ছে। এখন তাকেও আলাদা ঘরে দেওয়ার কথাই ভাবছেন তনিমা আর শাকিল। কিন্তু দুই সন্তানের জন্য আলাদা ঘর বা ভিন্ন বিছানা না করে দুজনকেই এক ঘরে রাখার ভাবনা তাদের। আরও বিশেষভাবে বলতে গেলে দুজনকে এক বিছানায়ও রাখা যায়। সে ক্ষেত্রে সেটা একটা বড় বিছানা না করে হতে পারে বাঙ্ক বেড।
শিশুদের একসঙ্গে রাখতে বাঙ্ক বেড বেশ কাজের
পপসুগার ডটকমে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক ঘরেই দুজন সন্তান একসঙ্জে সময় কাটালে তাদের মধ্যে সংযোগটা খুবই গাঢ় হয়। হয়তো তারা মাঝেমধ্যে নানা জিনিস ভাগাভাগি করতে না চেয়ে বিদ্রোহ করবে, মাঝেমধ্যে একে অন্যকে ঘুম থেকে তুলে দেবে। তারপরও তারা সকালে যখন একসঙ্গে ঘুমিয়ে থাকবে বা ঘুমানোর আগে দুজনে টুকটাক কথা বলবে বা গাইবে, তখন মা–বাবা হিসেবে বেশ ভালো লাগবে।
বাঙ্ক বেড শুধু যে দুই সন্তানকে পাশাপাশি রাখবে, তা–ই নয়; এখন এমন অনেক বাঙ্ক বেড বাজারে পাওয়া যায়, যেগুলোর নিচে আলমারি বা টেবিলও রয়েছে। তাই বাঙ্ক বেড বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে নজর দিতে হবে।
বাঙ্ক বেডের নিচে একটা শোবার জায়গা থাকে আর ওপরে একটা। ছোট শিশুটিকে ওপরে না দেওয়াই ভালো। বড় শিশুটি ওপরে থাকলেও সেটা পুরোপুরি সুরক্ষিত করতে হবে।
ওপরে থাকা শিশুটি যেন সুরক্ষিত থাকে, সে জন্য অবশ্যই বাঙ্ক বেডের সিঁড়ির ব্যবহার তাকে শেখাতে হবে। তা না হলে পড়ে গিয়ে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
রাতেও শিশুর ঘরে হালকা আলোর ব্যবস্থা করুন। যদি শিশু অন্ধকারে ঠিকমতো দেখতে না পায়, তাহলে পড়ে গিয়ে আরও অবস্থা খারাপ হয়ে পড়বে।
এই বেডের আর একটি বড় সুবিধা হলো এতে জায়গা বেঁচে যায় অনেকখানি। মানে আপনি চাইলেই দুই সন্তানের জন্য দুটি আলাদা বিছানা না দিয়ে একটি বিছানা দিয়ে অনেকখানি জায়গা বাঁচাতে পারেন ঘরের।
বাঙ্ক বেড কেনার আগে অবশ্যই ঘরের আকার–আয়তন ঠিকভাবে দেখে নেবেন। প্রস্থ তো দেখবেন, সঙ্গে উচ্চতাও দেখে নেবেন। শিশু ওপরে উঠতে গিয়ে মাথায় আঘাত পাক, সেটা নিশ্চয়ই আপনি চাইবেন না।
বাঙ্ক বেড বানাতে পারেন কাঠের বা মেটালের। চাইলে দুটির মিশ্রণেও বানাতে পারেন। মেটালের খাট বেশি টেকসই ও দৃঢ় হবে। আর কাঠেরটা আপনার ঘরের চেহারাই বদলে দেবে।
ওপরের অংশে অবশ্যই চারপাশে রেলিং দিতে হবে যেন শিশু কোনোভাবেই পড়ে গিয়ে ব্যথা না পায়।
খাট কেনার আগে দেখে নেবেন তাতে সিঁড়ি ব্যবহার করা হয়েছে, নাকি মই
খাট কেনার আগে দেখে নেবেন তাতে সিঁড়ি ব্যবহার করা হয়েছে, নাকি মই। সন্তান নিশ্চয়ই মই বেয়ে উঠতেই পছন্দ করবে, কিন্তু শিশুর নিরাপত্তা ও জায়গা বিবেচনা করে তবেই সিদ্ধান্ত নেবেন।
বিছানা যতটা ভর নিতে পারে, তার বেশি ভর ওর ওপরে দিবেন না। শিশুকে কখনোই বাঙ্ক বেড়ের ওপরে খেলাধুলা করতে দেবেন না। তবে যদি বাঙ্ক বেডেই খেলাধুলার জায়গা করা থাকে, তাহলে আলাদা বিষয়।
বাঙ্ক বেডের নিচে কার্পেট দিয়ে দেওয়ারও পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। এতে কোনোভাবে শিশু পড়ে গেলেও বড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা কিছুটা কমে। সেটা না হলেও বড় কোনো মোটা ধরনের কার্পেট, অর্থাৎ রাগও ব্যবহার করা যেতে পারে।
সিলিং ফ্যান, জানালা বা লাইট থেকে বাঙ্ক বেড দূরে রাখুন। আর বাঙ্ক বেডে কোনো দড়ির একটা অংশ বাঁধবেন না। এমনকি কাপড় টানানোর দড়িও নয়।
বাঙ্ক বেড পেলে নিশ্চয়ই খুশি হয়ে উঠবে শিশুরা। চাইলে সন্তানের জন্য বাঙ্ক বেড তার কোনো ফিকশন চরিত্রের মতো করেও তৈরি করে নিতে পারেন।