What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

বসন্তে শিশুর জলবসন্ত (1 Viewer)

LFVW15B.png


বসন্ত এসে গেছে। এ সময় শিশুদের যেসব রোগ বেশি হয়, তার মধ্যে চিকেন পক্স বা জলবসন্ত অন্যতম। 'ভ্যারিসেলা জোসটার' নামের একধরনের ডিএনএ ভাইরাসজনিত তীব্র ছোঁয়াচে অসুখ জলবসন্ত, যার অন্য নাম ভ্যারিসেলা।

৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে জলবসন্ত অনূর্ধ্ব ১৫ বছর বয়সের শিশুদের মধ্যে হয়ে থাকে। বেশি হয় ৫ থেকে ৯ বছর বয়সের মধ্যে। তবে নবজাতকসহ যেকোনো বয়সে হতে পারে এটি। ঘরে কেউ একজন আক্রান্ত হলে অন্য সদস্যদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ৬৫ থেকে ৮৬ শতাংশ। রোগটি মূলত জানুয়ারি থেকে মে, অর্থাৎ শীত ও বসন্তকালে বেশি হয়। রোগ ছড়ায় সরাসরি সংসর্গে, ড্রপলেট সংক্রমণে এবং হাঁচি, কাশি, থুতু ও লালার সাহায্যে। কাঁচা ফোসকায় জীবাণু থাকে, ফলে তা ফেটে গেলে রোগ ছড়াতে পারে। রোগ ছড়ায় শরীরে ফুসকুড়ি বা র‌্যাশ বেরোনোর ২৪ ঘণ্টা থেকে সব খোসা উঠে যাওয়া পর্যন্ত, যা সাধারণভাবে সাত থেকে আট দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

উপসর্গ

সাধারণভাবে র‌্যাশ বেরোনোর ২৪ ঘণ্টা আগে থেকে উপসর্গ দেখা যায়। যেমন সামান্য জ্বর, মাথাব্যথা, শরীরে মেজমেজে ভাব প্রভৃতি। তারপর র‌্যাশ। র‌্যাশ প্রথমে শুরু হয় বুকে-পিঠে, পরে তা হাতে-মুখে ও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। ম্যাকিউল বা দানার মতো শুরু হয়ে জলভরা ফোসকা ও পরে পুঁজভরা দানায় রূপান্তরিত হয়। একটি শিশুর দেহে এগুলো দুই শ থেকে তিন শর মতো হতে পারে। খুবই চুলকায়।

ছয় থেকে সাত দিন পর র‌্যাশ শুকাতে শুরু করে। ১৩ থেকে ১৪ দিন পর খোসা পড়তে শুরু করে ও রোগ নিরাময় ঘটে। সাধারণভাবে চিকেন পক্সে বেশি জটিলতা দেখা যায় না। তবে কোনো শিশু যদি রোগ প্রতিরোধক শক্তিতে দুর্বল থাকে (যেমন লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত শিশু, স্টেরয়েডনির্ভর শিশু), তবে তারা অতি সহজে এ রোগের শিকার হয়। কখনো কখনো আক্রান্ত শিশুর অস্বাভাবিক রক্তপাত, এনকেফেলাইটিস, ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ, নিউমোনিয়া হতে পারে।

চিকিৎসা ও প্রতিরোধ

  • জলবসন্ত হলে শিশুকে বাড়িতে রাখুন। অন্যদের থেকে আলাদা রাখুন। শিশুর স্বাভাবিক খাবার ও পুষ্টিমান বজায় রাখা উচিত। খাবারে কোনো বিধিনিষেধ নেই। সব খেতে পারবে। প্রচুর পানি ও তরল পান করতে দিন।
  • চুলকানি কমাতে ওষুধ ও মলম লাগানোর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে ব্যবহার করুন। শিশুর নখ ছোট করে রাখুন। অতিরিক্ত চুলকালে আঁচড় লেগে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক-আশাক পরাতে হবে। নিয়মিত গোসল করাতে হবে।
  • জলবসন্ত ও একই সঙ্গে অ্যাসপিরিন ওষুধ সেবনের কারণে 'রি-ই সিনড্রোম' নামের মারাত্মক জটিলতা হতে পারে। তাই শিশুর জ্বর কমাতে অ্যাসপিরিন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে প্যারাসিটামল দেওয়া যাবে।
  • কখনো কখনো বিশেষজ্ঞ পরামর্শ মেনে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের প্রয়োগ করা যায়।
  • জলবসন্ত প্রতিরোধে দুই ডোজের 'জলবসন্ত ভ্যাকসিন' অত্যন্ত কার্যকর। শিশুর ১২ থেকে ১৫ মাস বয়সে এই টিকা শুরু করা যায়। একবার এই রোগ হয়ে গেলে শরীরে যে ইমিউনিটি জন্মায়, তাতে দ্বিতীয়বার আর এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top