What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

করোনাকালে হাসপাতালে যেতে হলে (1 Viewer)

3BdXeRg.jpg


করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কায় অনেকেই সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যাসহ নিয়মমাফিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতেও চিকিৎসকের কাছে যাননি। বন্ধ রেখেছিলেন হাসপাতাল বা ল্যাবে যাওয়াও। সে অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হচ্ছে। চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোর বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসা প্রদান শুরু হয়েছে। চালু হয়েছে চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বারও। পুরোদমে চলছে নানা রকম অস্ত্রোপচার, প্রসিডিউর ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা। কিন্তু করোনাভাইরাস তো এখনো নির্মূল হয়নি। টিকা কার্যক্রমও সবে শুরু হলো দেশে। এ মুহূর্তে জরুরি প্রয়োজনে হোক কিংবা অন্য কোনো কারণে, কারও যদি হাসপাতালে বা ল্যাবরেটরিতে যেতেই হয়, তাহলে করোনা প্রতিরোধী নিয়মগুলো কঠোরভাবে মানতে হবে।

হাসপাতালে যাওয়ার সময় সতর্কতা

  • হাসপাতালে যাওয়ার আগে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে, ওই হাসপাতাল করোনার চিকিৎসা দিচ্ছে কি না। হাসপাতালে সংকেত দেখে সে অনুযায়ী প্রবেশ করুন এবং করোনায় আক্রান্তদের জন্য নির্ধারিত লিফট, সিঁড়ি ও প্রবেশপথ এড়িয়ে চলুন।
  • হাসপাতালে যাওয়ার আগে অনলাইনে বা টেলিফোনে পরামর্শ করুন এবং আগে থেকেই অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিশ্চিত করুন, যেন হাসপাতালে বেশি সময় থাকতে না হয়। করোনার উপসর্গ থাকলে তা টেলিফোনেই জানিয়ে দিন। তাহলে কোথায় যেতে হবে, তা কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিতে পারবে।
  • হাসপাতালে প্রবেশের আগে ও পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি মাথায় রাখুন। মাস্ক পরতেই হবে।
  • হাসপাতালগুলো সংক্রমণ ছড়ানোর আদর্শ স্থান। তাই হাসপাতালে অবস্থানের সময় সংক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন। ঘন ঘন হাত ধুয়ে নিন বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। চেয়ারে বসতে হলে জীবাণুমুক্ত করে নিতে পারেন। হাসপাতালের কাউন্টার ও অন্যান্য তল (সারফেস) স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। দরকার হলে মাস্কের ওপর ফেসশিল্ডও পরে নিতে পারেন, এতে মুখ নাকে হাত দেওয়া প্রতিহত করা যায়।
  • চিকিৎসকের চেম্বারে বা কোনো নমুনা পরীক্ষা করতে গেলে পূর্বনির্ধারিত সময়ে যান। দরজার সামনে বা প্রবেশমুখে অকারণে ভিড় না করে উপস্থিতির কথা জানিয়ে অপেক্ষাকৃত দূরে বসুন। অন্য রোগীদের সঙ্গে ঘেঁষাঘেঁষি না করে বা অন্যের ফাইলপত্র স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।
  • বিল জমা দেওয়ার কাউন্টারে বা লিফটের সারিতে দাঁড়ানোর সময় নির্ধারিত গোল দাগে দাঁড়ান, দাগ না দেওয়া থাকলে দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ান। ভিড় বা ঠেলাঠেলি না করে একে একে প্রবেশ করুন। লিফটম্যান থাকলে তাঁকে বলুন কোন তলায় যেতে চান, আর না থাকলে কনুই ব্যবহার করে বোতাম টিপুন।
  • চিকিৎসকের চেম্বারে, রক্ত বা অন্য কোনো পরীক্ষা করার কক্ষে প্রবেশ করার পর চিকিৎসক বা টেকনিশিয়ান না বললে মাস্ক খোলার দরকার নেই। যদি তাঁরা খুলতে বলেন, তবে মাস্কের দুদিকের ফিতা ধরে খুলুন। কাজ শেষে দ্রুত আবার পরে ফেলুন।
  • হাসপাতালে একই যন্ত্র ব্যবহার করে অনেকের রক্তচাপ, সুগার, ওজন ইত্যাদি মাপা হয়। সেগুলো জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে কি না লক্ষ করুন। অথবা চাইলে আপনি বাড়ি থেকে এসব মেপে লিখে নিয়ে যেতে পারেন।
  • প্রথমবার চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পর রিপোর্ট দেখানোর জন্য টেলিমেডিসিনের সুযোগ থাকলে সেটি নিন। এতে দ্বিতীয়বার যাওয়া এড়াতে পারবেন।
  • অপ্রয়োজনে বাড়ির অন্যদের কিংবা শিশুদের সঙ্গে নেবেন না। একা যাওয়াই ভালো। যদি একজন সঙ্গে নিতেই হয়, তবে অপেক্ষাকৃত তরুণ ও ঝুঁকিমুক্ত কাউকে সঙ্গে নিন।
  • অন্তঃসত্ত্বা নারী, প্রবীণ, যাঁরা উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন, তাঁদের গুরুতর সমস্যা না হলে হাসপাতালে যাওয়ার দরকার নেই। এমনকি শিশুদেরও। সম্ভব হলে টেলিফোনে পরামর্শ নিন।
  • হাসপাতাল থেকে ফিরে অবশ্যই ভালো করে গোসল করে নিন। মাথার চুল শ্যাম্পু করে নিন। জামাকাপড় আলাদা বালতিতে ভিজিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মাস্ক, গ্লাভস, ডিসপোজিবল ক্যাপ বা গাউন যদি থাকে, তবে তা দরজার বাইরে রাখা বিনে ফেলে আসবেন। জীবাণুমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে অন্য কারও সংস্পর্শে যাবেন না।
* ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
 

Users who are viewing this thread

Back
Top