(
অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং ইউজিসি অধ্যাপক
)
করোনাভাইরাস নিয়ে উৎকণ্ঠা, ভয় শেষ না হতেই সেকেন্ড ওয়েভ বা দ্বিতীয় ঢেউয়ের কথা উঠছে। কেবল পশ্চিমা দেশেই নয়, বাংলাদেশেও দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান এসেছে সরকারের পক্ষ থেকেও। আসলেই কি দ্বিতীয় একটা ঢেউ সামনে অপেক্ষা করে আছে? দ্বিতীয় ঢেউ আসলে কী? তার প্রস্তুতিই–বা কেমন হওয়া উচিত?
কোভিড-১৯ সম্পর্কে এখনো বিজ্ঞানীরা সব জানেন না। সময়ের সঙ্গে এটি দুর্বল হয়ে পড়বে নাকি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে, টিকা আদৌ আসবে কি না বা কবে নাগাদ আসবে, হার্ড ইমিউনিটি আসলেই সম্ভব কি না ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর এখনো ধোঁয়াশায়।
উনিশ শতকের গোড়ার দিকে স্প্যানিশ ফ্লুর মোট তিনটি ঢেউ বা ওয়েভ দেখা গিয়েছিল। এর মধ্যে দ্বিতীয় ঢেউটা ছিল প্রথমটির তুলনায় মারাত্মক। তাই পুরোপুরি নিশ্চিন্ত বসে থাকার কোনো উপায় নেই। ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন করে সংক্রমণের হার বাড়ছে। ইউরোপ আবার কঠোর লকডাউনের কথা ভাবছে। সংক্রমণ আকস্মিক হারে বাড়তে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অঙ্গরাজ্যে আর ভারতেও। কিন্তু একে দ্বিতীয় ঢেউ বলা যাবে কি না, তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা দ্বিধায় আছেন। অনেকেই মনে করছেন, প্রথম ঢেউই এখনো শেষ হয়নি। যেহেতু মানুষের বাইরে যাওয়া বেড়েছে, বাড়ছে জনসমাগম, খুলে দেওয়া হয়েছে অনেক কিছু, সে কারণে সংক্রমণের হার বাড়তেই পারে। যাঁরা আগে বের হননি, তাঁরাও এখন বের হচ্ছেন। শিশু-কিশোরেরাও বের হচ্ছে, অনেক দেশে তো স্কুল-কলেজও খুলে গেছে। ফলে নতুন করে সংক্রমণ বাড়ায় অবাক হওয়ার কিছু নেই। বিশেষ করে অপেক্ষাকৃত তরুণ জনগোষ্ঠী, শিশু-কিশোরেরা উপসর্গহীন বাহকে (ক্যারিয়ার) পরিণত হচ্ছে, তারা আবার অন্যদের মধ্যে নিজের অজান্তেই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।
অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং ইউজিসি অধ্যাপক
)
করোনাভাইরাস নিয়ে উৎকণ্ঠা, ভয় শেষ না হতেই সেকেন্ড ওয়েভ বা দ্বিতীয় ঢেউয়ের কথা উঠছে। কেবল পশ্চিমা দেশেই নয়, বাংলাদেশেও দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান এসেছে সরকারের পক্ষ থেকেও। আসলেই কি দ্বিতীয় একটা ঢেউ সামনে অপেক্ষা করে আছে? দ্বিতীয় ঢেউ আসলে কী? তার প্রস্তুতিই–বা কেমন হওয়া উচিত?
কোভিড-১৯ সম্পর্কে এখনো বিজ্ঞানীরা সব জানেন না। সময়ের সঙ্গে এটি দুর্বল হয়ে পড়বে নাকি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে, টিকা আদৌ আসবে কি না বা কবে নাগাদ আসবে, হার্ড ইমিউনিটি আসলেই সম্ভব কি না ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর এখনো ধোঁয়াশায়।
উনিশ শতকের গোড়ার দিকে স্প্যানিশ ফ্লুর মোট তিনটি ঢেউ বা ওয়েভ দেখা গিয়েছিল। এর মধ্যে দ্বিতীয় ঢেউটা ছিল প্রথমটির তুলনায় মারাত্মক। তাই পুরোপুরি নিশ্চিন্ত বসে থাকার কোনো উপায় নেই। ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন করে সংক্রমণের হার বাড়ছে। ইউরোপ আবার কঠোর লকডাউনের কথা ভাবছে। সংক্রমণ আকস্মিক হারে বাড়তে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অঙ্গরাজ্যে আর ভারতেও। কিন্তু একে দ্বিতীয় ঢেউ বলা যাবে কি না, তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা দ্বিধায় আছেন। অনেকেই মনে করছেন, প্রথম ঢেউই এখনো শেষ হয়নি। যেহেতু মানুষের বাইরে যাওয়া বেড়েছে, বাড়ছে জনসমাগম, খুলে দেওয়া হয়েছে অনেক কিছু, সে কারণে সংক্রমণের হার বাড়তেই পারে। যাঁরা আগে বের হননি, তাঁরাও এখন বের হচ্ছেন। শিশু-কিশোরেরাও বের হচ্ছে, অনেক দেশে তো স্কুল-কলেজও খুলে গেছে। ফলে নতুন করে সংক্রমণ বাড়ায় অবাক হওয়ার কিছু নেই। বিশেষ করে অপেক্ষাকৃত তরুণ জনগোষ্ঠী, শিশু-কিশোরেরা উপসর্গহীন বাহকে (ক্যারিয়ার) পরিণত হচ্ছে, তারা আবার অন্যদের মধ্যে নিজের অজান্তেই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।
শীতে আমাদের ঘোরাঘুরি, উৎসব, অনুষ্ঠান বেড়ে যায়। কিন্তু এবার শীতে যেকোনো রকম জনসমাগম, উৎসব, অনুষ্ঠান, ভিড় এড়িয়ে চলুন। উৎসব অনুষ্ঠান করতেই হলে সীমিত পরিসরে অল্পসংখ্যক মানুষ নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে করুন।