অনিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন, ভেজাল খাবার, দুশ্চিন্তা, ডিপ্রেশন, রেডিয়েশন, দূষণযুক্ত পরিবেশ… এই শব্দগুলো একটা সময় ছিল যখন শহুরে লাইফস্টাইলের বেলায় প্রযোজ্য ছিল। কালের পরিক্রমায় এখন আর সেটা বলা যাবে না। ছোট শহর, মফঃস্বল, এমনকি গ্রামীণ লাইফস্টাইলেও এখন এই জিনিসগুলো একেবারে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে।
উপরের এই জিনিসগুলোর ব্যাপারে একটা জিনিস খুব কমন। কি বলতে পারবেন? এই জিনিসগুলো পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট তথা বীর্যের গুনগত মান কমিয়ে দেয়। যার সরাসরি প্রভাব পড়ে বিয়ের পর বাচ্চা জন্ম দেয়ার সময়। আজকাল অনেক নব-দম্পতিকে দেখা যায় ফার্টিলিটি সেন্টারগুলোতে দৌড়াদৌড়ি করতে। কারণ একটাই, স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না, স্পার্ম কাউন্ট কম।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে প্রতি ১০ জন দম্পতির মধ্যে একজন দম্পতি ফার্টিলিটি সমস্যায় ভোগেন। গবেষণা অনুযায়ী গর্ভধারণের জন্য পুরুষ সঙ্গীকে কমপক্ষে ৪০ মিলিয়ন শুক্রাণু ছাড়তে হয় প্রতি বীর্যপাতে। এবং অনেক পুরুষই আছেন যারা এটা করতে ব্যর্থ হন। যার কারণে গর্ভধারণে নানা রকম জটিলটা দেখা দেয়। একটা সময় ছিল যখন বন্ধ্যত্বের জন্য কেবল নারীদেরকে দায়ী করা হত। কিন্ত আধুনিক গবেষণায় দেখা দেখে যে প্রায় ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ বন্ধ্যত্বের জন্য পুরুষেরা দায়ী। এখানে একগুচ্ছ কারণ উল্লেখ করা হল যেগুলোর কারণে পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট কমে যায়।
১। মোবাইল ফোন কিংবা ল্যাপটপ থেকে যে রেডিয়েশন বিকিরিত হয় সেটি পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট কমিয়ে দিতে পারে। অনেককে দেখা যায় কোলের উপর ল্যাপটপ রেখে কাজ করতে। একাধিক গবেষণায় এটা প্রমাণিত যে ল্যাপটপ থেকে নির্গত তাপ দীর্ঘসময় পুরুষের অণ্ডকোষে পতিত হলে বীর্যের গুণগত মান কমে যায়। এছাড়াও প্যান্টের পকেটে দীর্ঘসময় ধরে প্রতিদিন মোবাইল ফোন রাখলে সেটিও মারাত্মক ক্ষতিকর।
২। শুক্রাণু কোষ গঠনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা উপাদান হচ্ছে জিঙ্ক বা দস্তা। কিন্ত অতিরিক্ত অ্যালকোহল বা মদ্যপান শরীরে এই জিঙ্ক শোষণে বাঁধা দেয়। যার কারণে বীর্যে স্পার্ম কাউন্ট কমে যেতে পারে।
৩। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির হিউম্যান রি-প্রোডাকশন জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী টাইট আন্ডারওয়্যার বা অন্তর্বাস পরিধান করার কারণে স্পার্ম কাউন্ট কমে যেতে পারে।
৪। কর্মক্ষেত্রে কিংবা ব্যক্তিগত জীবনে বর্তমান সময়ে পুরুষদেরকে প্রায়শই মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। দীর্ঘদিনের এই মানসিক চাপ, অবসাদ, ডিপ্রেশন এগুলো বীর্যে স্পার্ম কাউন্টকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
৫। স্থূলতা বা ওজন বেড়ে যাওয়া অনেক ক্ষেত্রে স্পার্ম কাউন্ট কম হওয়ার কারণ হতে পারে।
উপরের এই কারণগুলো ছাড়াও আরও অনেক ব্যাপার আছে যেগুলোর কারণে স্পার্ম কাউন্ট কমে যায়। এরমধ্যে একটা হচ্ছে জেনেটিকাল কারণ। যাইহোক জেনেটিকাল ডিসঅর্ডারের ক্ষেত্রে হয়ত আমাদের কিছু করার থাকে না। কিন্ত উপরে যে কারণগুলোর কথা বলা হল সেগুলো কিন্ত অ্যাভয়েড করা সম্ভব। বীর্যে স্পার্ম কাউন্ট বাড়াতে নিয়মিত শরীরচর্চা করা, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, অ্যালকোহল পরিহার, ঢিলেঢালা পোশাক পরা, দুশ্চিন্তামুক্ত জীবনযাপনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
উপরের এই জিনিসগুলোর ব্যাপারে একটা জিনিস খুব কমন। কি বলতে পারবেন? এই জিনিসগুলো পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট তথা বীর্যের গুনগত মান কমিয়ে দেয়। যার সরাসরি প্রভাব পড়ে বিয়ের পর বাচ্চা জন্ম দেয়ার সময়। আজকাল অনেক নব-দম্পতিকে দেখা যায় ফার্টিলিটি সেন্টারগুলোতে দৌড়াদৌড়ি করতে। কারণ একটাই, স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না, স্পার্ম কাউন্ট কম।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে প্রতি ১০ জন দম্পতির মধ্যে একজন দম্পতি ফার্টিলিটি সমস্যায় ভোগেন। গবেষণা অনুযায়ী গর্ভধারণের জন্য পুরুষ সঙ্গীকে কমপক্ষে ৪০ মিলিয়ন শুক্রাণু ছাড়তে হয় প্রতি বীর্যপাতে। এবং অনেক পুরুষই আছেন যারা এটা করতে ব্যর্থ হন। যার কারণে গর্ভধারণে নানা রকম জটিলটা দেখা দেয়। একটা সময় ছিল যখন বন্ধ্যত্বের জন্য কেবল নারীদেরকে দায়ী করা হত। কিন্ত আধুনিক গবেষণায় দেখা দেখে যে প্রায় ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ বন্ধ্যত্বের জন্য পুরুষেরা দায়ী। এখানে একগুচ্ছ কারণ উল্লেখ করা হল যেগুলোর কারণে পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট কমে যায়।
১। মোবাইল ফোন কিংবা ল্যাপটপ থেকে যে রেডিয়েশন বিকিরিত হয় সেটি পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট কমিয়ে দিতে পারে। অনেককে দেখা যায় কোলের উপর ল্যাপটপ রেখে কাজ করতে। একাধিক গবেষণায় এটা প্রমাণিত যে ল্যাপটপ থেকে নির্গত তাপ দীর্ঘসময় পুরুষের অণ্ডকোষে পতিত হলে বীর্যের গুণগত মান কমে যায়। এছাড়াও প্যান্টের পকেটে দীর্ঘসময় ধরে প্রতিদিন মোবাইল ফোন রাখলে সেটিও মারাত্মক ক্ষতিকর।
২। শুক্রাণু কোষ গঠনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা উপাদান হচ্ছে জিঙ্ক বা দস্তা। কিন্ত অতিরিক্ত অ্যালকোহল বা মদ্যপান শরীরে এই জিঙ্ক শোষণে বাঁধা দেয়। যার কারণে বীর্যে স্পার্ম কাউন্ট কমে যেতে পারে।
৩। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির হিউম্যান রি-প্রোডাকশন জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী টাইট আন্ডারওয়্যার বা অন্তর্বাস পরিধান করার কারণে স্পার্ম কাউন্ট কমে যেতে পারে।
৪। কর্মক্ষেত্রে কিংবা ব্যক্তিগত জীবনে বর্তমান সময়ে পুরুষদেরকে প্রায়শই মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। দীর্ঘদিনের এই মানসিক চাপ, অবসাদ, ডিপ্রেশন এগুলো বীর্যে স্পার্ম কাউন্টকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
৫। স্থূলতা বা ওজন বেড়ে যাওয়া অনেক ক্ষেত্রে স্পার্ম কাউন্ট কম হওয়ার কারণ হতে পারে।
উপরের এই কারণগুলো ছাড়াও আরও অনেক ব্যাপার আছে যেগুলোর কারণে স্পার্ম কাউন্ট কমে যায়। এরমধ্যে একটা হচ্ছে জেনেটিকাল কারণ। যাইহোক জেনেটিকাল ডিসঅর্ডারের ক্ষেত্রে হয়ত আমাদের কিছু করার থাকে না। কিন্ত উপরে যে কারণগুলোর কথা বলা হল সেগুলো কিন্ত অ্যাভয়েড করা সম্ভব। বীর্যে স্পার্ম কাউন্ট বাড়াতে নিয়মিত শরীরচর্চা করা, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, অ্যালকোহল পরিহার, ঢিলেঢালা পোশাক পরা, দুশ্চিন্তামুক্ত জীবনযাপনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।