প্রতি ঈদে আমাদের বিনোদনের অন্যতম আকর্ষণ থাকে টিভি নাটক। চ্যানেল ও নির্মাতাগণও সেরা কাজগুলো জমিয়ে রাখেন ইদের জন্য। করোনার কারণে রোজার ঈদে সেরকম নতুন কাজ না আসলেও এই ঈদে বলার মত বেশ কয়েকটি কাজ এসেছে। যদিও আলোচিত নির্মাতা তারকাদের কাজের সংখ্যা অন্যবারের তুলনায় কম ছিল। সংখ্যায় কম হলেও মান খুব বেশি বেড়েছে সেটা বলা যাবে না।
সব মিলিয়ে কেমন গেল এবারের ঈদের নাটক? এক্ষেত্রে ছোটবেলার একটি গল্প মনে পড়লো। এক রাজা তার প্রজাদের বললেন দুধ দিয়ে পুকুর ভর্তি করবেন। তাই তিনি সবাইকে বললেন পাত্রে করে দুধ নিয়ে আসতে যেন পুকুর ভর্তি করা যায়। তো একজন ভাবলো সবাই তো দুধ দিবে আমি পানি দেই। তো পরদিন দেখা গেল সেই পুকুর পানিতে ভর্তি। কারণ সবাই ঐ ব্যাক্তির মত ভেবেছিল বলে সবাই পানিই দিয়েছে।
ঈদে শত শত কাজ নির্মিত হয়। স্বাভাবিক সেখানেও সব ধরনের কাজের উপস্থিতি দেখতেই পাওয়া যাবে। কিন্তু এবার ঈদ শেষে দেখা গেল আলোচিত কাজগুলোর প্রায় সবগুলোই সিরিয়াস গল্প। হুমায়ূন আহমেদ, সালাউদ্দিন লাভলু কিংবা ছবিয়ালের নির্মিত উপভোগ্য কমেডি নির্ভর নাটকগুলোর মানের কাজ একেবারে পাওয়া যায়নি। সম্ভবত করোনা কেন্দ্রিক গল্প নির্ভর নাটক বেশি হওয়াতে এমনটি হয়েছে।
করোনার সময়কার গল্পে বেশ কয়েকটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। করোনাতে আমাদের সংবাদ পত্র কিংবা সামাজিক মাধ্যম গুলোতে চোখ রাখা হয়েছে বেশি। স্বাভাবিকভাবেই আলোচিত হৃদয় বিদারক গল্পগুলো সবারই জানা। চেনা গল্পকে উপভোগ্য করতে দরকার ছিল ভালো চিত্রনাট্য। এ জায়গায় অনেক নির্মাতা ব্যর্থ হয়েছেন। এই ব্যর্থতার মাঝেও ভালো কিছু কাজ ছিল। সেগুলোর কয়েকটি নিয়ে থাকছে আজকের পর্বে!
পতঙ্গশিকারী ফুল: আমাদের 'সমাজ' মেনে চলতে হয়। সে সমাজ এক অদ্ভুত জিনিস। বিপদে কারও পাশে থাকতে না পারলেও মানুষকে বিপদে ফেলতে সিদ্ধ হস্ত, কারণ সমাজ তো নিয়ন্ত্রণ করে সুযোগসন্ধানীরা। করোনায় আমরা খবরে অনেক অমানবিকতার কথা শুনেছি। নিজেদের কুমতলবের জন্য অনেকে মহামারীকে ব্যাবহার করেছে। তেমনই একটি গল্প নিয়ে আমাদের সবচাইতে প্রতিভাবান নির্মাতাদের একজন নুরুল আলম আতিক বানালেন 'পতঙ্গশিকারী ফুল'! আতিক করোনার মত মহামারীর সাথে আমাদের সমাজের আরেক মহামারীর খুব সুন্দর মেলবন্ধন করেছেন। শক্তিশালী গল্প, সৃজনশীল নির্মাণ ও দুর্দান্ত অভিনয় মিলিয়ে ঈদের অন্যতম সেরা কাজ।