বেশ কিছুদিন ধরে কোয়ারেন্টাইন কথাটা বেশি শোনা যাচ্ছে। গণমাধ্যমে প্রচুর লেখালেখি হচ্ছে। বিশেষ করে চীন থেকে গোটা পৃথিবীতে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই এ শব্দটি বেশি বেশি উচ্চারিত হচ্ছে। করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। সেজন্যই কোয়ারেন্টাইন শব্দ আর এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে কৌতুহলী হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
অভিধানে কোয়ারেন্টাইন: রোগসংক্রমণ প্রতিরোধকল্পে মানুষ বা প্রাণীকে আলাদ বা আটক রাখার ব্যবস্থা বা এই ব্যবস্থার সময়কাল।
মূলত, কোয়ারেন্টাইন হচ্ছে- একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পৃথক থাকা। বাড়িতে বা বদ্ধঘরে থেকে অথবা সম্পূর্ণ নিরাপদ স্থানে থেকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। তার মানে এই নয় যে, আপনাকে সম্পূর্ণ আলাদা করে দেয়া হলো।
যদি কোনো ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি বা উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে তাকে জনবহুল এলাকা থেকে দূরে রাখতে ও ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে অন্তত ১৪ দিন আলাদা থাকতে বলা হয়।
ব্যাখ্যা: করোনাভাইরাস ধীরে ধীরে সুস্থ কোষের সঙ্গে মিশে যায়। কোয়ারেন্টাইনে ১৪ দিন ধরে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে নিয়মিত শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়। এ সময়ের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা ও জ্বর কমাতে ওষুধ গ্রহণসহ ভালো স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন করানো হয়। অবজারভেশনে রাখা না হলে করোনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
কোয়ারেন্টাইনে কতজন: সর্বোচ্চ চার থেকে ছয়জনকে একসঙ্গে রাখা যায় কোয়ারেন্টাইনে। এর বেশি হলে সেটা আর কোয়ারেন্টাইন নয়। কোয়ারেন্টাইনে সবাইকে আলাদা করে রাখা হচ্ছে।