মার্কিন অ্যালিওর ম্যাগাজিনে স্থান করে নিয়েছে ইনস্টাগ্রাম মডেল ক্রিস্টিয়ানাকে নিয়ে করা একটি ফিচার। সাধারণত আমরা ‘বিফোর–আফটার’ কোলাজ করা ছবিতে কী দেখি? প্রথম ছবিতে তুলনামূলকভাবে স্থূল আর পরের ছবিতে ‘ফিট’। পরের ছবি সব সময় ‘স্লিমার, ফিটার, হ্যাপিয়ার’। এর অনেকটাই এসেছে ‘শুকাতে হবে’ এমন একটি সামাজিক ‘অবসেশন’ থেকে। তবে অনেক মডেলই এখন এই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছেন। তাঁদেরই একজন ক্রিস্টিয়ানা। ইনস্টাগ্রামে তাঁর চার লাখ ৪১ হাজার ফলোয়ার। তাঁর ‘বিফোর–আফটার’ ছবির প্রথমটা তুলনামূলকভাবে ফিট। পরেরটা ‘হেলদিয়ার ও হ্যাপিয়ার’। মানে ওজন বাড়িয়েই সুখী হয়েছেন তিনি।
মার্কিন মডেল ক্রিস্টিয়ানা, ছবি: ইনস্টাগ্রাম
ক্রিস্টিয়ানা জানান, একসময় তিনি মনে করতেন, তিনি যত ছোট সাইজের পোশাকে ঢুকে পড়বেন, তিনি ততই ফিট, ততই সুন্দর হবেন। সেটা ২০১৩ সালের কথা। কিন্তু তিনি কখনোই ‘পারফেক্ট ফিট’ হতে পারতেন না। এটা তাঁকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলেছিল। ক্রিস্টিয়ানা না খেয়ে থাকতেন, প্রচুর কায়িক পরিশ্রম আর ওয়ার্কআউট করে দুর্বল হয়ে পড়তেন। শুকনা থাকার জন্য জীবনটাই উৎসর্গ করেছিলেন তিনি। সে সময় মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন এই মডেল।
মার্কিন মডেল ক্রিস্টিয়ানা, ছবি: ইনস্টাগ্রাম
ক্রিস্টিয়ানা বলেন, ‘আমি কিসে সুখী, আমি তা একবারও ভাবিনি। আমার মানসিক স্বাস্থ্য কিসে ভালো থাকবে, সেটিকেও গুরুত্ব দিইনি। আমি কেবল শুকাতে চেয়েছিলাম। আর তাতে আমি অসুখী আর বিষণ্ন হয়ে পড়ি।’ এরপর ক্রিস্টিয়ানা মনের মতো কিছু খাবার খেতে শুরু করেন। জিমে যাওয়া কমিয়ে দিয়ে তাঁকে মানসিকভাবে প্রফুল্ল রাখে, এমন কাজ শুরু করেন। আর ওজন বাড়িয়ে সুখী মানুষ হয়ে যান। তবে হ্যাঁ, তার মানে এই নয় যে যা খুশি তা–ই খেয়ে স্থূলতায় ভুগতে হবে। ক্রিস্টিয়ানা অস্বাস্থ্যকরভাবে না শুকিয়ে স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন বাড়িয়েছেন।
মার্কিন মডেল ক্রিস্টিয়ানা, ছবি: ইনস্টাগ্রাম
এই মডেল আরও বলেন, ‘৩৪–২৬–৩৬ এই অদ্ভুত মাপটা কে বানাল? কে বলেছে আপনাকে এমন হতে হবে? কাকে খুশি করবেন আপনি এ রকম হয়ে? এর কোনো মানে নেই। আপনি যেমন থাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, তেমনই থাকবেন। নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন। সেটিই অর্থপূর্ণ, বাকি সব অর্থহীন।’
মার্কিন মডেল ক্রিস্টিয়ানা, ছবি: ইনস্টাগ্রাম
মার্কিন মডেল ক্রিস্টিয়ানা, ছবি: ইনস্টাগ্রাম
ক্রিস্টিয়ানা জানান, একসময় তিনি মনে করতেন, তিনি যত ছোট সাইজের পোশাকে ঢুকে পড়বেন, তিনি ততই ফিট, ততই সুন্দর হবেন। সেটা ২০১৩ সালের কথা। কিন্তু তিনি কখনোই ‘পারফেক্ট ফিট’ হতে পারতেন না। এটা তাঁকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলেছিল। ক্রিস্টিয়ানা না খেয়ে থাকতেন, প্রচুর কায়িক পরিশ্রম আর ওয়ার্কআউট করে দুর্বল হয়ে পড়তেন। শুকনা থাকার জন্য জীবনটাই উৎসর্গ করেছিলেন তিনি। সে সময় মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন এই মডেল।
মার্কিন মডেল ক্রিস্টিয়ানা, ছবি: ইনস্টাগ্রাম
ক্রিস্টিয়ানা বলেন, ‘আমি কিসে সুখী, আমি তা একবারও ভাবিনি। আমার মানসিক স্বাস্থ্য কিসে ভালো থাকবে, সেটিকেও গুরুত্ব দিইনি। আমি কেবল শুকাতে চেয়েছিলাম। আর তাতে আমি অসুখী আর বিষণ্ন হয়ে পড়ি।’ এরপর ক্রিস্টিয়ানা মনের মতো কিছু খাবার খেতে শুরু করেন। জিমে যাওয়া কমিয়ে দিয়ে তাঁকে মানসিকভাবে প্রফুল্ল রাখে, এমন কাজ শুরু করেন। আর ওজন বাড়িয়ে সুখী মানুষ হয়ে যান। তবে হ্যাঁ, তার মানে এই নয় যে যা খুশি তা–ই খেয়ে স্থূলতায় ভুগতে হবে। ক্রিস্টিয়ানা অস্বাস্থ্যকরভাবে না শুকিয়ে স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন বাড়িয়েছেন।
মার্কিন মডেল ক্রিস্টিয়ানা, ছবি: ইনস্টাগ্রাম
এই মডেল আরও বলেন, ‘৩৪–২৬–৩৬ এই অদ্ভুত মাপটা কে বানাল? কে বলেছে আপনাকে এমন হতে হবে? কাকে খুশি করবেন আপনি এ রকম হয়ে? এর কোনো মানে নেই। আপনি যেমন থাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, তেমনই থাকবেন। নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন। সেটিই অর্থপূর্ণ, বাকি সব অর্থহীন।’
মার্কিন মডেল ক্রিস্টিয়ানা, ছবি: ইনস্টাগ্রাম