রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবীর কাছে সাগর এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালত থেকে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে তাঁকে ১২ দিনে দুই দফা রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির এ স্বীকারোক্তি গ্রহণের আবেদন করেন।
গত ২১ মার্চ গভীর রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাগরকে গ্রেপ্তার করে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর তাঁর ২২ মার্চ সাত দিন ও ৩০ মার্চ পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
পুলিশ বলছে, হাদিসুর রহমান সাগর গুলশানের হলি আর্টিজান হামলার ঘটনায় অন্যতম সন্দেহভাজন আসামি। তিনি ওই হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহ করেছিল। ২০১৪-১৫ সালে তামিম চৌধুরীর হাত ধরে তিনি নব্য জেএমবিতে যোগ দেন। নব্য জেএমবিতে তিনি বোমা তৈরির কারিগর হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।
মামলাটিতে হামলার মূল সমন্বয়ক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিম, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। এর আগে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপর গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। গ্রেনেড হামলায় ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হন। যৌথ বাহিনী পরে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। অভিযানে ছয় জঙ্গির সবাই নিহত হন।