তখন আলো ছড়াচ্ছেন এদেশের নারী ফুটবলাররা। গত কয়েক বছর ধরে দুর্দান্ত ফুটবল খেলছেন তারা। এদেশের মেয়েরা সে ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে ভুটানের মাটিতে অনুষ্ঠিত সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপেও। শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়েই অবশ্য ছয় জাতির এই টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার জন্য দেশ ছেড়েছে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ১৭-০ গোলে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আসরে পথচলা শুরু করে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
গ্রুপপর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপসেরা হয়ে সেমিফাইনালের টিকেট পায় গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা সেমিতে প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় স্বাগতিক ভুটানকে। কৃষ্ণাদের সামনে পাত্তা পায়নি স্বাগতিক ভুটানের মেয়েরাও।
শুক্রবার ভুটানের রাজধানী থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনাল ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই সানজিদা খাতুনের গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে (৪৫+৩) বাংলাদেশের হয়ে ব্যবধান (২-০) দ্বিগুণ করেন মিসরাত জাহান মৌসুমি। দ্বিতীয়ার্ধের ১৫ মিনিটে কৃষ্ণা রানী সরকার গোল করলে (৩-০) জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। এরপর ম্যাচের ৮৬ মিনিটে পেনাল্টি কিক থেকে শামসুন্নাহার গোল করলে শেষ পর্যন্ত ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশের মেয়েরা। সেই সঙ্গে নিশ্চিত হয় ফাইনালে অংশগ্রহণ।
বর্তমানে ৮ গোল নিয়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন বাংলাদেশের সিরাত জাহান স্বপ্না। নেপালের বিপক্ষে রবিবারের ফাইনালে অবশ্য বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়েই খেলতে নামবে মৌসুমিরা। কেননা টুর্নামেন্টে নেপালের বিপক্ষে ইতোমধ্যেই একবার মুখোমুখি হয়েছে তারা। মুখোমুখি সে লড়াইয়ে জিতেছে বাংলাদেশ। যা শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যদের বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে।