What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

মন জয় করল টাইগাররা - শিরোপা জিতল ভারত (1 Viewer)

Nirjonmela

Administrator
Staff member
Administrator
Joined
Mar 1, 2018
Threads
2,763
Messages
23,297
Credits
826,885
Pistol
Crown
Thread Title Style (One)
Profile Music
Roc4e2Y.gif


মরুর বুকে এশিয়া কাপের শিরোপা জেতার যে স্বপ্ন টাইগাররা দেখেছিল তাতে জল ঢেলে দিয়েছে রোহিত-ধোনিরা। ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপের বিপক্ষে ২২২ রান করে যে ম্যাচ জেতা যায় না। তা ফের টের পেল মাশরাফি বাহিনী। এক বছর আগে ইংল্যান্ডের এজবাস্টনে ২৬৪ রান করেও ভারতের বিপক্ষে ৯ উইকেটে হেরেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। গতকাল দুবাইতে ১৪তম এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশকে ৩ উইকেটে হারিয়ে সপ্তমবারের মতো শিরোপা জিতল ভারত। অবশিষ্ট ৭বারের মধ্যে শ্রীলঙ্কা ৫ এবং পাকিস্তান ২ শিরোপা জয়ে সক্ষম হয়। এবার টাইগাররা শিরোপা জিততে না পারলেও দুর্দান্ত নৈপুণ্য প্রদর্শন করে দেশ-বিদেশের লাখো কোটি সমর্থকের হৃদয় জয় করেছে। ইনজুরির কারণে তামিম-সাকিব দেশে ফিরে এলেও মনোবল হারায়নি স্টিভ রোডসের শিষ্যরা। ইনজুরি সত্ত্বেও দলের প্রয়োজনে মাঠে নামে মুশফিক-মাশরাফি যে লড়াকু মনোভাবের পরিচয় দিয়েছেন তা এককথায় অসাধারণ। নানা প্রতিকুলতার মধ্যে দিয়েও এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠে টাইগাররা রানার্সআপ হলেও রোহিতদের ঘাম ঝরিয়ে ছেড়েছে। শেষের দিকে বাংলাদেশ ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিল। ১২ বলে ৯ রান প্রয়োজন ছিল রোহিতদের। মোস্তাফিজ ৪৯তম ওভারে ৩ রান দিলে শেষ ৬ বলে ভারতের প্রয়োজন পড়ে ৬ রান। মোদ্দা কথা ভারতকে শিরোপা জিততে শেষ বলটি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। এমন শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনাল ম্যাচের কথা দীর্ঘদিন স্মরণে থাকবে দুবাইবাসীর।

গতকাল টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় ভারত। লিটন দাসের সঙ্গে মেহেদি হাসান মিরাজকে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে পাঠিয়ে চমক দেখান অধিনায়ক মাশরাফি। ফাইনালের আগে টাইগার অধিনায়ক আভাস দিয়েছিলেন, ওপেনিং জুটিতে 'চমক' দেখানোর। সেই চমকটা যে এত বড় চমক হয়ে আসবে, এটা তখন কল্পনাও করা যায়নি। উদ্বোধনী জুটিতে ২০.৫ ওভারে ১২০ রান তোলে লিটন-মিরাজ শিরোপা জয়ের পরিধিটা বড় করে তুলেছিলেন। ভারতের বিপক্ষে ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশের এটাই সর্বোচ্চ রান। এশিয়া কাপের ফাইনালে এর আগে ১৯৯৭ সালে ওপেনিংয়ে ১৩৭ রানের জুটি গড়েছিলেন শ্রীলঙ্কার মারভান আত্তাপাত্তু আর সনাথ জয়সুরিয়া।

টাইগারদের বিপক্ষে বুমরাহ-ভুবনেশ্বর-জাদেজারা গতকাল যখন বল হাতে ব্যর্থ, ২১তম ওভারে ষষ্ঠ বোলার হিসেবে আসেন কেদার যাদব। এই স্পিনারই ফেরান মিরাজকে। দলীয় ১২০ রানে কভারে রাইডুর তালুবন্দি হওয়ার আগে মেহেদি করেন ৫৯ বলে ৩ চারে ৩২ রান। মিরাজ সাজঘরের ফেরার পর টাইগার ব্যাটসম্যানদের প্যাভিলিয়নে ফেরার মিছিল শুরু হয়। ১২০ রান থেকে ৪৮.৩ ওভারে ২২২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মধ্যে ১১৭ বলে ১২ চার এবং ২ ছক্কার সাহায্যে ১২১ রানের একটি নান্দনিক ইনিংস উপহার দেন লিটন দাস। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি লিটনের প্রথম সেঞ্চুরি। ওপেনার লিটন দাসের আউট নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকে। স্পিনার কুলদীপ যাদবের বলে লিটন স্টাম্পড হলেও টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে তার পায়ের একটা ক্ষুদ্র অংশ পপিং ক্রিজের ভিতরেই ছিল। লিটন বল ব্যাটে আনতে ব্যর্থ হলে উইকেটরক্ষক ধোনি মুহূর্তে বেলস ভেঙে দেন। কিন্তু টিভি রিপ্লেতে কয়েক অ্যাঙ্গেল থেকে পরিষ্কার হয়েছে লিটনের পা ক্রিজের ভিতরে ছিল। সাধারণত স্পিন বোলিংয়ে স্ট্যাম্পিংয়ের সময় ব্যাটসম্যানের পিছনের পা উঠে যায়। অনেক সময় বুটের একটা অংশ ক্রিজের ভিতর থেকেও যায়। আম্পায়ারা টিভির পর্দায় রিপ্লেতে গিয়ে সেটাই দেখেন।

অস্ট্রেলিয়ান টিভি আম্পায়ার রড টাকার কি দেখে কি বুঝে স্টাম্পিংয়ের সিদ্ধান্ত দিলেন, তা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ঝড় তুলেছেন। লিটনের পা বিহাইন্ড দ্য লাইন ছিল কি না, বেনিফিট অব ডাউট ব্যাটসম্যানের পক্ষে কেন গেল না…এসব নিয়ে তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত প্রশ্নবিদ্ধ করছেন সমর্থকেরা। বাংলাদেশ অবশ্যই ভুল সিদ্ধান্তের শিকার। তবে সেটা আম্পায়ারের, নাকি ব্যাটসম্যানদের? ক্ষোভটা শুধু তৃতীয় আম্পায়ারের ওপর বরাদ্দ করে দিলে ব্যাটসম্যানদের ভুল সিদ্ধান্তগুলো সব আড়ালে চলে যাবে। এক ইনিংসে তিন-তিনটা রান আউট আর দুটি স্টাম্পিং, এটাই বলে দিচ্ছে সিদ্ধান্ত নিতে একের পর এক ভুল করেছেন ব্যাটসম্যানরা। ভুল করেছেন মিডল অর্ডারের দুই প্রধান ভরসা মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। ওই সময়ে এমন শট খেলার সিদ্ধান্ত মস্তবড় ভুল। ৪৫ বল মোকাবেলা করে ৩৩ রান করে সৌম্য কিছুটা আশার আলো সঞ্চার করলেও অন্যরা নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারায় বড় সংগ্রহের আশা নসাৎ হয়ে যায়। ভারতের পক্ষে কুলদীপ যাদব ৩টি, কেদার যাদব ২টি এবং বুমরাহ ও চাহাল ১টি করে উইকেট লাভ করেন।

টাইগারদের ২২২ রানের জবাবে খেলতে নেমে সর্তক শুরু করেন দুই ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। পঞ্চম ওভারে দলীয় ৩৫ রানের মাথায় শিখর ধাওয়ানকে ফেরান নাজমুল ইসলাম অপু। ১৪ বলে ১৫ রান করে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দেন এই ব্যাটসম্যান। এরপর অম্বতি রাইডুকে ফিরিয়ে দেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ২ রান করে উইকেটের পিছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দেন রাইডু। তাতে ৪৬ রানে ২ উইকেট হারায় ভারত। এরপর ব্যক্তিগত ৪৮ রানের মাথায় ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে রুবেল হোসেন প্যাভিলিয়নের পথ চেনালে ৮৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় রবিশাস্ত্রীর শিষ্যরা। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ধোনি মোস্তাফিজের বলে আউট হওয়ার আগে মূল্যবান ৩৬ রানের ইনিংস খেলে জয়ের পথ মৃসন করলেও একপর্যায় ভারতের জয়ের জন্য ১২ বলে ৯ রানের প্রয়োজন পড়লে ম্যাচে কিছুটা প্রাণ ফিরে আসে। আর অন্যদিকে টাইগার সমর্থকদের মধ্যে আক্ষেপ বাড়তে থাকে ইস ব্যাটসম্যানরা যদি আর ২০-২৫ রান বেশি করতে পারত তা হলে ম্যাচে ভাগ্য অন্যদিকে মোড় নিত।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top