ক্রিকেট বিশ্বে প্রত্যাবর্তনের গল্প সময়-অসময়ে অনেক শোনা যায়। কিন্তু প্রত্যাবর্তন যদি হয় চেন্নাইয়ের মতো তবে অবশ্যই তা মানুষের মনে দাগ কেটে থাকবে অনেকদিন। এ মৌসুমেই আইপিএলের মঞ্চে ফিরেছে নিষিদ্ধ থাকা ফ্র্যাঞ্চাইজি চেন্নাই সুপার কিংস। আর প্রত্যাবর্তনের মৌসুমেই শিরোপা ঘরে তুলে আইপিএলে নিজেদের আগমনীবার্তা আরেকবার খুব জোরেশোরে শোনালো চেন্নাই।
আজ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টসে জিতে হায়দ্রাবাদকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় মহেন্দ্র সিং ধোনি। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ব্যাট করতে নেমে ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে হায়দ্রাবাদ। কিন্তু উইলিয়ামসনের ৪৭, সাকিব আল হাসানের ২৩, ও শেখর ধাওয়ানের ২৬ রানের ইনিংসের ভর করে চাপ কাটিয়ে সুন্দরভাবে এগোতে থাকে হায়দ্রাবাদ। ইনিংসের শেষদিকে ইউসুফ পাঠানের ২৫ বলে ৪৫ রান রানের বিধ্বংসী ইনিংস ও শেষ ওভারে কার্লোস ব্রাথওয়াইটের ৩ ছক্কায় ১১ বলে ২১ রানের ইনিংসে ভর করে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান তুলতে সমর্থ হয় হায়দ্রাবাদ।
অসাধারণ বোলিং আক্রমণের জন্য পুরো টুর্নামেন্টেই আলোচিত হায়দ্রাবাদ। আর তাই দ্বিতীয় ইনিংসে চেন্নাইয়ের জন্য ১৭৯ রানের লক্ষ্য খুব সহজ হবে না তা অনুমান করা গিয়েছিল। কিন্তু তখন পর্যন্ত কোন ক্রিকেটভক্ত ধারণা করতে পারেনি কি হতে যাচ্ছে ফাইনালে!
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে খুব ধীরে-সুস্থ শুরু করেছিল চেন্নাইয়ের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। যদিও মাত্র ১৬ রানে ফাফ ডু প্লেসিসকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে তারা। তবে এরপর থেকে ওয়াটসন মহাকাব্যের শুরু হয় ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। যার ফলে রীতিমত উড়ে যায় হায়দ্রাবাদের বোলিং আক্রমণে। ৫৭ বলে ১১৭ রানের ইনিংস খেলে চেন্নাই সুপার কিংসের প্রত্যাবর্তনের আইপিএল শিরোপা তাদের ঘরে উঠিয়ে দিলেন দিয়ে আসেন ওয়াটসন। ৮ ছক্কা ও ১১ চারের বিধ্বংসী ইনিংসের কল্যাণে আইপিএল ২০১৮ এর চ্যাম্পিয়ান হয়ে যায় চেন্নাই সুপার কিংস।
পুরো ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম ওয়াটসনের ব্যাটিং তাণ্ডবে সামনে দেখেছে হায়দ্রাবাদের বোলারদের অসহায় আত্মসমর্পণ। আর এমন ইনিংসের পরে ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে ওয়াটসন ছাড়া অন্য কারো থাকার কোনো সুযোগই থাকেনা। ব্যাট হাতে বিধ্বংসী ওয়াটসনে ভর করেই শেষ পর্যন্ত নতুন করে শুরু করল চেন্নাই সুপার কিংস!