What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

সমাধানের বাইরের আশ্চর্য ঘটনা (1 Viewer)

oni78

Banned
Joined
Apr 22, 2024
Threads
52
Messages
54
Credits
2,807
প্রাকৃতিক ঘটনাগুলো বিজ্ঞানী ও মানুষের চোখের সামনে নিয়মিত ঘটছে এবং ঘটে আসছে, কিন্তু বিজ্ঞানীরা অনেক খুঁজেও এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। কেন পারেননি সেটা না খুঁজে বরং চলুন দেখে নিই কোন কোন প্রাকৃতিক ঘটনা বিজ্ঞানীরা এখনো ব্যাখ্যা করতে পারেননি ।



অনেকের কাছেই বিষয়টি বিশ্বাস করতে একটু কষ্ট হলেও সত্যিটা হচ্ছে আমাদের এই অত্যাধুনিক সময়েও বিজ্ঞানীরা অনেক প্রাকৃতিক ঘটনারই বৈজ্ঞানিক কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। এই প্রাকৃতিক ঘটনাগুলো বিজ্ঞানী ও মানুষের চোখের সামনে নিয়মিত ঘটছে এবং ঘটে আসছে, কিন্তু বিজ্ঞানীরা অনেক খুঁজেও এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। কেন পারেননি সেটা না খুঁজে বরং চলুন দেখে নিই কোন কোন প্রাকৃতিক ঘটনা বিজ্ঞানীরা এখনো ব্যাখ্যা করতে পারেননি।

১. আমরা জানি, সূর্য হচ্ছে অত্যন্ত উচ্চ তাপমাত্রার একটি গ্যাসের বল। করনা হচ্ছে এই গ্যাসের বলের চারপাশে থাকা এক ধরনের রিংয়ের মতো ছিটকে যাওয়া পদার্থ। বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন করনা। এটি সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা গেছে, কিন্তু যে জিনিসটি এখনো বিজ্ঞানীরা জানতে পারছেন না তাহলো-কেন এটার তাপমাত্রা সূর্য পৃষ্ঠ থেকে অনেক অনেক বেশি। মূলত সূর্যের পৃষ্ঠতলের তাপমাত্রা হচ্ছে ৫৮০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কিন্তু সেই পৃষ্ঠতল থেকে অনেক অনেক দূরে অবস্থিত ছিটকে পড়া কিছু গ্যাসের তাপমাত্রা কিভাবে ত্রিশ লাখ থেকে কোটি লাখ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে যায়। আমরা সাধারণত যা বুঝি সেই সিস্টেমে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কথা। কারণ বস্তু তার হোস্ট থেকে দূরে সরে গেলে তাপমাত্রা কমে যাবে। অথচ এখানে পুরোপুরি উল্টোটা হচ্ছে। কেন এমন ঘটনা ঘটছে, সেটাই এখনো খুঁজে পাচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা। অনেকেই অনেক ধরনের থিওরি দিয়েছেন, কিন্তু কেউই এখন পর্যন্ত তা প্রমাণ করতে পারেননি।

২) প্রাণী জগতের একটা অসাধারণ আর আশ্চর্যজনক জিনিস হচ্ছে মাইগ্রেশন। দেখা যায়, আমাদের দেশে শীতকালে রাশিয়ার সাইবেরিয়া থেকে কিছু পাখি আসে। আমরা তাদের অতিথি পাখি বলি, কিন্তু কোনো দিন কি একবারও জানতে চেয়েছি- কেন তারা এ রকম মাইগ্রেশন করে থাকে। আসলে বিজ্ঞানীরা এখনো খুঁজছেন-কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটে। সাধারণত পানিতে থাকা তিমি থেকে শুরু করে আফ্রিকার জেব্রা, হাতি, পাখি পর্যন্ত বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে একটি নির্দিষ্ট স্থানের মধ্যে যাতায়াত করে। মজার বিষয় হচ্ছে, এটি তারা দল বেঁধে করে থাকে এবং তাদের সময়ের কোনো হেরফের হয় না এতে। অথচ এর জন্য তাদের কোনো লিডার থাকে না কোনো পথপ্রদর্শক বা গাইডও থাকে না, এমনকি কেউ জানেও না কোথায় যাচ্ছে। আশ্চর্যজনক এই ঘটনার রহস্য মূলোৎপাটনের জন্য এখন বিজ্ঞানীরা প্রচুর গবেষণা করছেন। বিজ্ঞানীরা প্রাণীদের মস্তিষ্কে এক ধরনের ডিভাইস বসাচ্ছেন যাতে তারা বুঝতে পারেন কিভাবে এই অবুঝ প্রাণীগুলো পথ না হারিয়েই সঠিক দিকে দিনের পর দিন চলতে পারে এবং নির্দিষ্ট এলাকায় গিয়ে পৌঁছে যায়।

৩) এটি একটি রহস্যজনক ঘটনা-যা ঘটে থাকে পৃথিবীর অনেক স্থানেই। সাধারণত কোনো একটি এলাকায় এমন অদ্ভুত শব্দ হয়, যা রাতে বা অন্ধকারে ভয় পাইয়ে দেয় যে কাউকেই। মনে হয় কেউ কাঁদছে বা একই সুরে বাঁশি বাজাচ্ছে। এটাকেই গুঞ্জন (যঁস) বলা হয় সাধারণত। এই ঘটনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে রহস্যজনক হচ্ছে মেক্সিকোর টস (ঞধড়ং) নামক এলাকার বাসিন্দাদের কানে শোনা অদ্ভুত এই শব্দটি। অনেক বিজ্ঞানী যারা সেখানে গবেষণার জন্য গিয়েছেন তারাও এই শব্দটি শুনেছেন। তারা শব্দের উৎস বের করার জন্য বিভিন্ন স্থানে ক্যামেরা, সাউন্ডরেকর্ডারসহ অনেক ধরনের গবেষণা চালিয়েছেন। কিন্তু কিছুতেই খুঁজে পাননি কোথা থেকে এই শব্দ উৎপন্ন হয়। অদ্ভুত এই শব্দটি রাতের বেলা যে কারো মনের মধ্যে ভয়ের চাদর বিছিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তবে মজার বিষয় হচ্ছে, সবাই এই শব্দটি শুনতে পান না।

৪) এটি একটি লেক, যেখানে জেলিফিশ বাস করে। অস্ট্রেলিয়ার পাশেই দ্বীপ রাষ্ট্র পালাওয়ের দ্বীপ ইল ম্যাকের (ঊরষ গধষশ) মধ্যে এই লেকটি অবস্থিত। মজার বিষয় হচ্ছে, এই লেকের পানিতে শুধু জেলিফিশই পাওয়া যায়। তাও স্বর্ণালি রংয়ের জেলিফিশ। সারাবছর এখানে গেলেই দেখা যাবে, জেলিফিশরা দল বেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছে স্বচ্ছ পানির ভেতর। মূলত এই লেকটির সঙ্গে সমুদ্রের কানেকশন আছে পানির নিচ দিয়ে কিছু সরু টানেল এবং গুহার দ্বারা। এগুলো মূলত হাজার বছর ধরে সৃষ্টি হয়েছে। মজার বিষয় হচ্ছে, জেলিফিশগুলো মূলত প্রায় প্রতিদিনই লেকের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে অদ্ভুতভাবে ভ্রমণ করতে থাকে। এটাও পর্যটকদের জন্য একটা আকর্ষণীয় বিষয়। কিন্তু হঠাৎ করে ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত এই দু'বছরে কোনো দিনও একটি বারের জন্য একটি সিঙ্গেল জেলিফিশ এই লেকে আসেনি। বিষয়টি সবার নজরে আসার কারণ হচ্ছে প্রচুর পর্যটক এই দ্বীপে নিয়মিত যেতেন জেলিফিশ দেখার জন্য। কিন্তু এই সময়টিতে কোনো জেলিফিশ আর আসেনি। কর্তৃপক্ষ এবং সরকার যখন এদের আশা একেবারে ছেড়েই দিয়েছে তখন হঠাৎ করে এরা আবার আসতে শুরু করে লেকটিতে। কিন্তু এই ঘটনা কেন ঘটেছে এর ব্যাখ্যা কোনো জীববিজ্ঞানী আজ পর্যন্ত দিতে পারেননি। এমনকি তারা জেলিফিশগুলো কেন প্রতিদিন এই লেকে আসে সেটারই কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।

৫) এগুলো একই সঙ্গে আইস ডিস্ক বা আইস প্যান নামেও পরিচিত। সাধারণ খুব স্লো বা মন্থর গতির পানিতে এই ধরনের গোলাকার বরফের চাকতি দেখা যায়। এগুলো এতই গোল হয় যে, অবাক হয়ে যেতে হয়। অনেকেই এগুলো নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মতামত দিয়ে থাকেন। যেমন-কেউ কেউ বলেন, এগুলো সৃষ্টি হয়েছে মন্থরগতির পানি ঘূর্ণনের ফলে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বিষয়টি মানতে নারাজ। কারণ পানি ঘূর্ণনের ফলে এটা তৈরি হওয়ার সময়ই এগুলো ফেটে চৌচির হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এখানে এগুলো একেবারে চমৎকার এক শেইপে গোলাকার ডিস্ক আকারে পানিতে ভাসছে।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top