যান, বিয়া করেন...
দীপু সবে উচ্চ মাধ্যমিক দিলো। হাতে প্রচুর সময়। এদিক সেদিক দেদারছে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কচি বয়সের কারনে যে মেয়েকেই সে দেখে তাকেই তার ভালো লাগে। মনে হয় যেনো সবাই তার প্রেমে পড়ার জন্য তার চারিপাশে ঘুর ঘুর করছে। এর মাঝে ডজন খানেক মেয়ের সাথে তার আলাপ পরিচয়ও হয়ে গেছে। তার ধারনা সবার সাথেই তার প্রেম হয়ে গ্যাছে। কাকে রেখে কার সাথে সম্পর্ক আরো ঘারো গড়বে সেটা নিয়েই এখন সংশয়ে পড়ে গেছে দীপু। তার কাছে কাউকেই অসুন্দর মনে হয় না। সবার সাথেই তার ঘনিষ্টতা বাড়ুক সে তাই চায়। কিন্তু সময় যে দ্রুতই ফুরিয়ে যাচ্ছে। শুধু পরীক্ষার পরের এই অবসর সময় না, সেই সাথে জীবনের সময়ও যে কমে যাচ্ছে প্রতিদিনই একদিন করে। কি করা যায় ? কি করে আরো দীর্ঘ দিন বেঁচে থাকা যায় ? যাতে জীবনটা আরো বেশী উপভোগ করতে পারে !
প্রিয় বন্ধু জিসান ইতিমধ্যেই মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছে। সে নিজে ডাক্তারী পড়ছে, হয়তো এই ব্যাপারে সাহায্য করতে পারে। নিজে ডাক্তারী পড়া শুরু করলেও থাকে তো সব সময় ডাক্তারদের সাথেই। জিসান নিজে না জানলেও তার স্যারদের সাথে কথা বলে সে এর একটা বিহিত হয়তো করতে পারবে। এই ভেবে দীপু তার বন্ধু জিসানের কাছে গেলো। প্রথমে এই কথা সেই কথা আলাপ করে দীপু আসল কথায় এলো। সে জিসানকে পুরোপুরি ডাক্তার হিসাবে সম্বোধন করে বললো,
দীপুঃ ডাক্তার সাব, বেশী দিন বাঁচনের কি কোনো উপায় আছে ? থাকলে সেই উপায়টা আমারে কইয়া দ্যান।
জিসানঃ যান, তাইলে একখান বিয়া করেন গিয়া !
দীপুঃ ক্যান ? বিয়া করলে কি বেশী দিন বাঁইচ্যা থাকন যাইবো ?
জিসানঃ তা কইবার পারুম না। তয় এইডা কইতে পারি, বিয়া করনের পরে আপনের বেশী দিন বাঁইচ্যা থাকনের ইচ্ছাডা আর থাকবো না !!