What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

যান, বিয়া করেন... (1 Viewer)

arn43

Co-Admin
Staff member
Co-Admin
Joined
Mar 2, 2018
Threads
1,618
Messages
122,368
Credits
312,018
DVD
Whiskey
SanDisk Sansa
SanDisk Sansa
Computer
Glasses sunglasses
যান, বিয়া করেন...


দীপু সবে উচ্চ মাধ্যমিক দিলো। হাতে প্রচুর সময়। এদিক সেদিক দেদারছে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কচি বয়সের কারনে যে মেয়েকেই সে দেখে তাকেই তার ভালো লাগে। মনে হয় যেনো সবাই তার প্রেমে পড়ার জন্য তার চারিপাশে ঘুর ঘুর করছে। এর মাঝে ডজন খানেক মেয়ের সাথে তার আলাপ পরিচয়ও হয়ে গেছে। তার ধারনা সবার সাথেই তার প্রেম হয়ে গ্যাছে। কাকে রেখে কার সাথে সম্পর্ক আরো ঘারো গড়বে সেটা নিয়েই এখন সংশয়ে পড়ে গেছে দীপু। তার কাছে কাউকেই অসুন্দর মনে হয় না। সবার সাথেই তার ঘনিষ্টতা বাড়ুক সে তাই চায়। কিন্তু সময় যে দ্রুতই ফুরিয়ে যাচ্ছে। শুধু পরীক্ষার পরের এই অবসর সময় না, সেই সাথে জীবনের সময়ও যে কমে যাচ্ছে প্রতিদিনই একদিন করে। কি করা যায় ? কি করে আরো দীর্ঘ দিন বেঁচে থাকা যায় ? যাতে জীবনটা আরো বেশী উপভোগ করতে পারে !
প্রিয় বন্ধু জিসান ইতিমধ্যেই মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছে। সে নিজে ডাক্তারী পড়ছে, হয়তো এই ব্যাপারে সাহায্য করতে পারে। নিজে ডাক্তারী পড়া শুরু করলেও থাকে তো সব সময় ডাক্তারদের সাথেই। জিসান নিজে না জানলেও তার স্যারদের সাথে কথা বলে সে এর একটা বিহিত হয়তো করতে পারবে। এই ভেবে দীপু তার বন্ধু জিসানের কাছে গেলো। প্রথমে এই কথা সেই কথা আলাপ করে দীপু আসল কথায় এলো। সে জিসানকে পুরোপুরি ডাক্তার হিসাবে সম্বোধন করে বললো,
দীপুঃ ডাক্তার সাব, বেশী দিন বাঁচনের কি কোনো উপায় আছে ? থাকলে সেই উপায়টা আমারে কইয়া দ্যান।
জিসানঃ যান, তাইলে একখান বিয়া করেন গিয়া !
দীপুঃ ক্যান ? বিয়া করলে কি বেশী দিন বাঁইচ্যা থাকন যাইবো ?
জিসানঃ তা কইবার পারুম না। তয় এইডা কইতে পারি, বিয়া করনের পরে আপনের বেশী দিন বাঁইচ্যা থাকনের ইচ্ছাডা আর থাকবো না !!
 
রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষা





ছোটমের কয়দিন ধরেই ঘন ঘন প্রস্রাব হচ্ছে। কলিগরা পরামর্শ দিলো ডায়াবেটিস আছে কিনা পরীক্ষা করে দেখার জন্য। ডায়াবেটিস পেশেন্টদের এই ধরনের সমস্যা দেখা দ্যায় বলেও তারা জানালো। ডায়াবেটিসের কথা শুনেই ছোটম ভয় পেয়ে ঐদিনই কাছের এক ক্লিনিকে গেলো ডায়াবেটিস চেক করার জন্য। ছোটমের কাছে বিস্তারিত জেনে ক্লিনিকের ডাক্তার জানালো, আপনার শুধু রক্ত পরীক্ষা করলেই হবে না, সেই সাথে প্রস্রাবও পরীক্ষা করতে হবে। আপনি বরং এই টেস্টগুলো ঢাকার কোনো ভালো হাসপাতাল থেকে করিয়ে আনুন। ঢাকার হাসপাতালের কথা বলতেই জিসানের কথা মনে পড়ে গেলো ছোটমের। সে তখনই বাস ধরে ঢাকায় ডাঃ জিসানের চেম্বারে চলে আসলো। চেম্বারে ঢুকার মুখে রোগীদের ওয়েটিং রুমে দেখলো পাখি বসে ফুপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। পাখিকে ক্রন্দনরত অবস্থায় দেখে ছোটম ছুটে পাখির কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
ছোটমঃ আরে পাখি, কাঁন্দতেছো ক্যান ? কি হইছে তোমার ?
এই অবস্থায় ছোটমকে দেখে পাখির কান্না আরো বেড়ে গেলো। সে বেশ জোরে জোরে কাঁদতে কাঁদতে বললো,
পাখিঃ আর কইয়ো না, ভাই। ডাক্তারের কাছে রক্ত পরীক্ষা করাইতে আইছিলাম। হেরা জোড় কইরা আমার আঙ্গুল ফুটা কইরা দিছে...
পাখির কথা শুনে ছোটম হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করে দিলো।
ছোটমের কান্নায় প্রথমে পাখি ভ্যাঁবাচ্যাকা খেয়ে গেলেও একটু পরে বেশ শান্তভাবেই জিজ্ঞেস করলো,
পাখিঃ আঙ্গুল ফুঁটা করছে আমার আর তুমি ক্যান এমতে কইরা হাউমাউ কইরা কানতেছো ?
ছোটমঃ ডরে... ডরে...আমি ডরে কানতেছি, পাখি ভাই। তুমি তো রক্ত পরীক্ষা করাইতে আইছো, আর আমি আইছি পরছাব পরীক্ষা করাইতে। তাইলে কি হেরা আমার... অ্যাঁ... অ্যাঁ....
 
রাগ রোগ !

সেদিন হঠাৎ করেই রাস্তায় দীপুর সাথে সানির দেখা হয়ে গেলো। বেশ অনেকদিন পর বন্ধুর সাথে দেখা হতেই দীপু সানিকে জড়িয়ে ধরে জিজ্ঞেস করলো, "কেমন আছিস, বন্ধু ?"
সানি উত্তরে ছোট করে বললো, "ভালো " তাও খুব মৃদু স্বরে।
উত্তর শুনেই দীপু বুঝে গ্যাছে সানির কিছু একটা হয়েছে। না হলে সানি তো শুধু ভালো বলেই ক্ষান্ত হয়ে যেতো না। প্রতি উত্তরে আরো অনেক কথাই বলতে শুরু করতো। যেখানে অনেকদিন পর দীপুর সাথে সাক্ষাৎ। অন্তত দীপু কেমন আছে সেটুকু তো জানতে চাইতো ! দীপুর মনে খটকা লাগাতে সে আবার সানিকে জিজ্ঞেস করলো, "কেমন আছিস ?"
এবার সানি বেশ ঝামটা দিয়েই বললো, "একবার না কইলাম বাল, ভালা আছি।
দীপু এবার বেশ আশ্চর্য্য হয়ে বললো, "কি ব্যাপার ? তুই এভাবে খেপে যাচ্ছিস ক্যান ? "
সানি এবার রেগেমেগে আগুন হয়ে বললো, " এক কথা কয়বার কমু ? শালা তুই কি কানে বয়রা নাকি ? "
সানির কথায় দীপু বেশ কিছুটা দমে গেলেও এটা বুঝে গেলো, সানির কোথাও কোনো সমস্যা হয়েছে। মানসিক এই সমস্যার কারনে হঠাৎ করেই রাগ হবার রোগে ধরেছে তাকে। একমাত্র ডাঃ জিসানই এর প্রতিকার করতে পারবে। পুরাতন বন্ধুর জন্য মনটা খারাপ হলেও চট করে একটা বুদ্ধি বের করে সে সানিকে জানালো, " জিসান তোকে কালকে সকালে দেখা করতে বলেছে।"
সানি বললো, "ঠিকাছে কাল সকালে ওর ওখানে যাবো।"
সানির সাথে আর কথা না বাড়িয়ে দীপু বাসায় এসেই জিসানকে সব কিছু জানিয়ে ফোন করলো। সেই সাথে এটাও জানালো, সানি কাল সকালে জিসানের সাথে দেখা করতে যাবে।
পরদিন সকালে সানি ডাঃ জিসানের চেম্বারে গিয়ে জিসানকে জানালো,
সানিঃ ডাক্তার সাব, আমার একটা অদ্ভুদ রোগ হয়েছে।
জিসানঃ কি রকম অদ্ভুদ রোগ ?
সানিঃ আমি অল্পতেই রেগে যাই। মুখ দিয়ে গালাগালি বের হয়ে আসে।
জিসানঃ ব্যাপারটা একটু খুলে বলুন তো ?
সানিঃ হারামজাদা, কয়বার খুলে বলবো ? শালা, একবার কইলে কি তোরা কিছু বুঝিস না নাকি !! ...
 

Users who are viewing this thread

Back
Top