What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

EV4o1Qs.jpg


ভালোবাসা চিরন্তন,আর এই রূপটিই নানাভাবে পর্দায় এসেছে, আমাদের দেশে নাট্যঙ্গনেও। সাদাকালো বিটিভির যুগ থেকে বর্তমান স্যাটেলাইট চ্যানেলের আমলেও ভালোবাসার নাটক বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। টিভি চ্যানেলে গত তিন দশকে প্রচারিত আমার দেখা অন্যতম সেরা দশ নাটক নিয়ে এই আয়োজন—সা ও তার করুণ পরিনতি নিয়ে বুলবুল আহমেদের পরিচালনায় এই নাটকে অভিনয় করে নব্বই দশকে রীতিমতো আলোচনায় চলে আসেন মাহফুজ আহমেদ, অভিনয়ে দারুণ প্রশংসিত হন। বিপরীতে ছিলেন সেই সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী বিপাশা হায়াত।

শুধুই তোমারে জানি (১৯৯৭): বিপাশা হায়াতের রচনায় মনিকা নামক এক উঠতি তরুণীর এক আকাঙ্ক্ষিত ভালোবাসার গল্প। যদিও সে যাকে ভালোবেসেছে তার সঙ্গে বয়সের ব্যবধান অনেক, বাগদত্তাও আছে। তবুও মনিকার ভালোবাসার আকুতিই যেন হয়ে উঠে প্রধান আকর্ষণ। মনাকার চরিত্রে আফসানা মিমির অসামান্য অভিনয় বারবার চোখ জুড়োয়, পরিচালক ছিলেন মুনির হোসেন চৌধুরী তারা। সঙ্গে ছিলেন আসাদুজ্জামান নূর ও সারা যাকের।

থাকে শুধু ভালোবাসা (২০০০): অচেনা এক ছেলের কাছে প্রায় প্রতিদিন উপহার পেতো মেয়েটি, ধীরে ধীরে ভালোবাসায় জড়িয়ে যায়, হঠাৎ একদিন সেই ছেলেটি হারিয়ে যায়, অচেনা ছেলেটি অচেনাই রয়ে যায়। ফারিয়া হোসেনের রচনা ও পরিচালনায় নাটকটির নাম ‘থাকে শুধু ভালোবাসা’। বিপাশা হায়াত ও ফেরদৌসের অভিনয় সমৃদ্ধ ও দুর্দান্ত আবহসংগীতে নাটকটি বেশ উপভোগ্য।

প্রতি চুনিয়া (২০০২): সত্তর দশকের প্রেক্ষাপটে বিশেষ একটি কারণে এক তরুণীর সঙ্গে পত্রমিতালী হয় এক কিশোরের, যা রূপ নেয় ভালোবাসায়। অসম প্রেম কি শেষ পর্যন্ত পরিণতি পাবে? এই গল্প নিয়েই নাটক ‘প্রতি চুনিয়া’, নির্মাণ করেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। অভিনয় করেছিলেন বিপাশা হায়াত ও কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়।

অফবিট (২০০৪): তারুণ্যের গল্প এটি। এক তরুণ যখন বন্ধুদের নিয়ে ব্যান্ড দল গড়ে তোলায় ব্যস্ত এমন সময় প্রথম দেখায় প্রেমে পড়ে যান সদ্য পাড়ায় আসা এক মেয়ের। প্রতিদিনই তার সঙ্গে দেখা হয়, মেয়েটিও তাকিয়ে থাকে। একদিন সে প্রকাশ করতে যায়, কিন্তু জানা যায় অন্য কাহিনী। আফসানা মিমির পরিচালনায় এই নাটকের নাম ‘অফবিট’, অভিনয় করেছিলেন জয়া আহসান, তাহসান, ইন্তেখাব দিনার ও জন কবির।

শেষ প্রান্তে (২০০৬): গ্রামের দরিদ্র পরিবারের মেধাবী ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পরিচয় গোপন করে প্রেমে পড়েন এক ধনীর পরিবারের মেয়ের। একদিন সব প্রকাশ হয়ে যায়, অনেক বছর পর আবার তাদের দেখা হয়, ততদিনে ভালোবাসার টান কতটুকু ছিল! এমনই গল্প নিয়ে চয়নিকা চৌধুরীর ‘শেষ প্রান্তে’, এটিই অপূর্ব-তিশা অভিনীত প্রথম নাটক, পাশাপাশি অপূর্বর ক্যারিয়ারে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

শেষের কবিতার পরের কবিতা (২০০৮): অসম প্রেম ও জনপ্রিয় ইংরেজি গান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আনিসুল হকের রচনায় এই টেলিফিল্মটি তখন বেশ জনপ্রিয় হয়। নির্মাতা হিসেবে মাহফুজ আহমেদ তখন ধীরে ধীরে আলোচিত হচ্ছেন, এর মাধ্যমে বেড়ে যায় খ্যাতি। বিদ্যা সিনহা মিমের সেরা কাজ, সঙ্গে ছিলেন নোবেল।

JQNCLLq.jpg


ভালোবাসি তাই, ভালোবেসে যাই (২০১১): তিন জোড়া প্রেমিক- প্রেমিকার গল্প এটি, কারো ভালোবাসার সুন্দর সমাপ্তি ঘটে, কেউ হারায় কাছের মানুষকে। শিহাব শাহীনের অত্যন্ত জনপ্রিয় এই নাটকে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, ইরেশ যাকের, তিশা, আরিফিন শুভ, সানজিদা প্রীতি ও অনি।

নীলপরী নীলাঞ্জনা (২০১৩): ফেসবুকে পরিচয়, কিছুটা ভালোলাগা। একদিন ঠিক করে, দেখা করবে তারা। কিন্তু ভুল করে দেখা হয়ে যায় নীলাঞ্জনার সঙ্গে, সেও অপেক্ষমান অদেখা ভালোবাসার মানুষের জন্য। একসাথে বেশ খানিক ক্ষন সুন্দর সম্পর্ক কাটায়, দুজনেই ভালোবেসে ফেলেন। পরে ভুলটা জানেন, এদিকে মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। ছেলেটি শুধু আরেকটা দিন সময় চায় নীলাঞ্জনার কাছে, সেও আসে। এমনই গল্প নিয়ে শিহাব শাহিনের অন্যতম সেরা নির্মাণ ‘নীলপরী নীলাঞ্জনা’, দুর্দান্ত আবহসংগীত ছিল নাটকের অন্যতম প্রাণ, অভিনয় করেছিলেন তাহসান ও মম।

কথা হবে তো? (২০১৭): আহসান হাবিবের কবিতার অনুপ্রেরণায় গাউসুল আলম শাওন লেখা ‘কথা হবে তো?’, অব্যক্ত প্রেমের নাটকটি গত বছরের অন্যতম দর্শকপ্রিয় নাটক, মনোজ কুমার ও নাবিলার অভিনয়সমৃদ্ধ ও সুবীর সেনের গাওয়া গানটি নাটকটিকে পূর্ণতা দিয়েছিল, নির্মাণ করেছিলেন প্রজন্ম টকিজের প্রতিভামান নির্মাতা সৈয়দ আহমেদ শাওকি।

স্পেশাল মেনশন: প্রিয়জন, রূপা, কথা ছিল অন্যরকম, এই বৈশাখে, ইজ ইক্যুয়াল টু, ভালোবাসি তাই, ইন এ রিলেশনশিপ, ল্যান্ডফোনের দিনগুলিতে প্রেম, লায়লা তুমি কি আমাকে মিস করো, তোমার পাশে হাঁটতে দিও এবং মন ফড়িঙের গল্প।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top