এ সময় গরম, অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকার কারণে ত্বক ও চুলে কিছুটা প্রভাব পড়ে। তবে টুকটাক যত্নেই সেটা ঠিক হয়ে যাবে।
পবিত্র রমজান মাসে রোজকার রুটিনে চলে আসে কিছুটা পরিবর্তন। ত্বক ও চুলের আর্দ্রতা কমতে থাকে। ইফতার থেকে সাহ্রি পর্যন্ত পানি পান করার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। গরম, অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকার কারণে ত্বক ও চুলে কিছুটা প্রভাব পড়ে। তবে টুকটাক যত্নেই সেটা ঠিক হয়ে যাবে।
ত্বকের যত্নে
লম্বা একটা সময় পানি না খেয়ে থাকায় ত্বক রুক্ষ হয়ে যায় দ্রুত। পানির পাশাপাশি তরল খাবারও খেতে হবে। পানিযুক্ত ফল রাখতে হবে খাবারের তালিকায়। তেল কার্যকর ভূমিকা রাখবে এ সময়। ত্বকের জন্য ভার্জিন নারকেল তেল, জলপাই তেল, বেবি অয়েল দিনে একবার ব্যবহারের পরামর্শ দিলেন রূপ বিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন। ত্বকে আর্দ্রতা দেবে, এমন ফল খাবেন তো অবশ্যই। সময় পেলে হাতে চটকে মুখের অংশে, গলায় মেখে নেওয়া যায়। এতে ত্বক তাৎক্ষণিক আর্দ্রতা ফিরে পাবে।
ত্বকের সুস্থতায় আয়ুর্বেদিক ও রূপ বিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানার পরামর্শ হলো, এ সময় ত্বকের সুস্থতার প্রথম ধাপ প্রচুর পানি খাওয়া। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের ইফতার থেকে সাহ্রি পর্যন্ত দুই লিটার পানি খাওয়া প্রয়োজন। ফলের জুস খেতে হবে এক লিটার। সঙ্গে দুধ খেতে পারলে আরও ভালো।
দিনে একবার দুধ, মধু, টমেটোর রস, শসার রস একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়। ত্বকের শুষ্কতা দূর হবে। অনেকের চোখের নিচে কালি পড়তেও দেখা যায়, তাদের জন্য দুধ, মধু, জলপাই তেল একসঙ্গে মিশিয়ে আলতো করে চোখের নিচের ত্বকে দিনে একবার লাগানো যেতে পারে। এতে সারা দিনের ক্লান্তি দূর হবে। ঠোঁট ফাটার সমস্যায় গ্লিসারিন আর গোলাপ জল লাগিয়ে নিতে পারেন ইফতারের পর।
চুলের সুস্থতায়
চুল পড়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায় এই সময়ে। তাদের জন্য রাহিমা সুলতানা বললেন, চুলে তেল দিতে হবে নিয়মিত। কাজ না হলে ডিম, পাকা কলা, মধু, মেথির গুঁড়া, অ্যালোভেরা জেল, আমলকী, হরীতকী একসঙ্গে মিশিয়ে সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করতে পারেন। কাজ হবে নিশ্চয়ই। বেশি পরিমাণে খুশকি হলে তেল, লেবুর রস উষ্ণ গরম করে ৩০ মিনিট মালিশ করুন। মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে চুল শ্যাম্পু করে নিন। চুলের নিচের অংশে ফাটার সমস্যা দেখা গেলে নিয়মিত তেল মালিশ করুন। একেবারেই না কমলে ফাটা অংশ ছেঁটে ফেলুন।