বাসন মাজার কাজটিও করতে হয় যত্নসহকারে। তরল ব্যবহার করারও আছে কিছু নিয়মকানুন। সঠিকভাবে পরিষ্কার করলে, ময়লা চলে যাবে সহজে।
মাটির খোরা কিংবা কলাপাতায় পাত পাড়ার সেই দিনগুলোর কথা হয়তো কারোরই অজানা নয়। স্বচক্ষে না দেখলেও এসব দৃশ্য দেখা যায় মনের চোখে, হয়তো বইয়ের পাতায়। সময়ের স্রোতোধারায় বদলেছে তৈজসের ধরন। রান্নাঘরের অনুষঙ্গের প্রতি যত্নশীল ব্যক্তিমাত্রই চেষ্টা করেন এসব ঠিকঠাক রাখতে। আজকাল রান্না শেখা নাকি ভীষণ সহজ। চমৎকার সব দেশি-বিদেশি রান্নার পাঠ নেওয়া যায় নানা মাধ্যম থেকে। তা রান্না যেখান থেকেই শেখা হোক না কেন, কাটাকুটি, ধোয়া, রান্না চরানো এবং পরিবেশন—সব কাজেই প্রয়োজন বাসনের। ছুরি, চামচ এগুলোও তো প্রতিদিনের ব্যবহারের জিনিস। এমনকি তৈরি খাবার অনলাইন মাধ্যমে আনিয়ে নিলেও নিজের ঘরের থালায় করে খাওয়া হয়।
ধোয়ার সময় তাড়াহুড়ো করবেন না
কারও হয়তো থাকে পুরোনো দিনের স্মৃতিজড়ানো কাঁসার থালা, কেউ আবার বিশেষ উপলক্ষে ব্যবহার করেন মাটির পাত্র। রোজকার ব্যবহারের সিরামিক, কাচ কিংবা অ্যালুমিনিয়ামের তৈজস তো রয়েছেই। তৈজস কিংবা নানা ধরনের অনুষঙ্গগুলো পরিষ্কার করতে তরল সাবান বা পরিষ্কারক জনপ্রিয় হয়েছে এখন। এতে বাসনপত্র পরিষ্কারও হয় দারুণ, ব্যবহারবিধিও সহজ। নরম স্ক্রাবারের সাহায্যে তরল পরিষ্কারক দিয়ে বাসনপত্র পরিষ্কার করলে তা ভালো থাকে দীর্ঘদিন। নকশার পাঠকদের জন্য এমন নানা তথ্য জানালেন ঢাকার গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ফারহানা শরীফ।
তরল পরিষ্কারক ব্যবহারবিধি
স্ক্রাবার ভিজিয়ে নিয়ে সামান্য পরিমাণে নিন তরল পরিষ্কারক। এটা দিয়ে বাসন পরিষ্কার করুন যতক্ষণ ফেনা উঠছে। যদি পরিষ্কারকের বোতলের গায়ে লেখা থাকে পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা যাবে, তাহলে সেই নির্দেশনামাফিক পানি ও পরিষ্কারকের অনুপাত ঠিক করে নিয়ে পানি মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
গুঁড়া সাবান হতে পারে তরল পরিষ্কারকের বিকল্প। পানিতে গুঁড়া সাবান গুলিয়ে নিলে তা যেন ঘন, থকথকে হয়। তৈজসের ভারী দাগ তুলতে হলে ২৫০ মিলি পানিতে ১ টেবিল চামচ গুঁড়া সাবান, ১ টেবিল চামচ সোডা এবং ২-৩টি বড় আকারের লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন।
রাবার, প্লাস্টিক, স্পঞ্জের নরম স্ক্রাবার বেছে নিন। জালি ব্যাগও হতে পারে বিকল্প।
তৈজস,ছুরি,চামচ ইত্যাদি ধোয়ার পর পাতলা, নরম, সুতি কাপড় দিয়ে ভালোভাবে মুছে শুকনা করে এরপর রেখে দিন জায়গামতো।
দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে চায়ের পাত্রে দাগ পড়ে গেলে পানিতে (সামান্য ভিনেগার মিশিয়ে) পাত্রটি ভিজিয়ে রাখুন সারা রাত। সকালে তরল পরিষ্কারকের সঙ্গে সামান্য লবণ মিশিয়ে নিয়ে পাত্রটি পরিষ্কার করে ফেলুন।
অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রে দাগ বসে গেলে পানিতে সামান্য সিরকা ও সামান্য লবণ মিশিয়ে তাতে ২০-২৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর তরল পরিষ্কারক দিয়ে পাত্রটি পরিষ্কার করে নিন।
কাঁসা, পিতল, মাটির পাত্রের জন্য তরল পরিষ্কারক ব্যবহার করলে ক্ষতি নেই।
বাড়তি কিছু
কাচ, সিরামিক বা পাইরেক্সের পাত্রে পানির দাগ কিংবা অন্য কোনো দাগ বসে গেলে তরল পরিষ্কারক ব্যবহারের পর লেবুর রস মেশানো কুসুম গরম পানিতে ২০-৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। ৪ টেবিল চামচ লেবুর রস নিতে হবে ১ লিটার পানিতে।
যা করা যাবে না
ধাতব স্ক্রাবার ব্যবহার করবেন না।
বাঁশ, কাঠ, বেতজাতীয় উপকরণে তৈরি জিনিসপত্রে তরল পরিষ্কারক বা সাবান-পানি প্রয়োগ না করাই ভালো।
অ্যালুমিনিয়ামের তৈজস লেবুর রস বা টকজাতীয় জিনিসের সংস্পর্শে দীর্ঘ সময় রাখা বিপজ্জনক।
পিতলের তৈজস পরিষ্কার করতে অম্লীয় (সিরকা বা লেবুর রস জাতীয়) উপকরণ ব্যবহার করলেও তা কখনো এসব উপকরণে ভিজিয়ে রাখবেন না (বিষক্রিয়ার আশঙ্কা থাকে)।
* রাফিয়া আলম, ঢাকা
মাটির খোরা কিংবা কলাপাতায় পাত পাড়ার সেই দিনগুলোর কথা হয়তো কারোরই অজানা নয়। স্বচক্ষে না দেখলেও এসব দৃশ্য দেখা যায় মনের চোখে, হয়তো বইয়ের পাতায়। সময়ের স্রোতোধারায় বদলেছে তৈজসের ধরন। রান্নাঘরের অনুষঙ্গের প্রতি যত্নশীল ব্যক্তিমাত্রই চেষ্টা করেন এসব ঠিকঠাক রাখতে। আজকাল রান্না শেখা নাকি ভীষণ সহজ। চমৎকার সব দেশি-বিদেশি রান্নার পাঠ নেওয়া যায় নানা মাধ্যম থেকে। তা রান্না যেখান থেকেই শেখা হোক না কেন, কাটাকুটি, ধোয়া, রান্না চরানো এবং পরিবেশন—সব কাজেই প্রয়োজন বাসনের। ছুরি, চামচ এগুলোও তো প্রতিদিনের ব্যবহারের জিনিস। এমনকি তৈরি খাবার অনলাইন মাধ্যমে আনিয়ে নিলেও নিজের ঘরের থালায় করে খাওয়া হয়।
ধোয়ার সময় তাড়াহুড়ো করবেন না
কারও হয়তো থাকে পুরোনো দিনের স্মৃতিজড়ানো কাঁসার থালা, কেউ আবার বিশেষ উপলক্ষে ব্যবহার করেন মাটির পাত্র। রোজকার ব্যবহারের সিরামিক, কাচ কিংবা অ্যালুমিনিয়ামের তৈজস তো রয়েছেই। তৈজস কিংবা নানা ধরনের অনুষঙ্গগুলো পরিষ্কার করতে তরল সাবান বা পরিষ্কারক জনপ্রিয় হয়েছে এখন। এতে বাসনপত্র পরিষ্কারও হয় দারুণ, ব্যবহারবিধিও সহজ। নরম স্ক্রাবারের সাহায্যে তরল পরিষ্কারক দিয়ে বাসনপত্র পরিষ্কার করলে তা ভালো থাকে দীর্ঘদিন। নকশার পাঠকদের জন্য এমন নানা তথ্য জানালেন ঢাকার গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ফারহানা শরীফ।
তরল পরিষ্কারক ব্যবহারবিধি
স্ক্রাবার ভিজিয়ে নিয়ে সামান্য পরিমাণে নিন তরল পরিষ্কারক। এটা দিয়ে বাসন পরিষ্কার করুন যতক্ষণ ফেনা উঠছে। যদি পরিষ্কারকের বোতলের গায়ে লেখা থাকে পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা যাবে, তাহলে সেই নির্দেশনামাফিক পানি ও পরিষ্কারকের অনুপাত ঠিক করে নিয়ে পানি মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
গুঁড়া সাবান হতে পারে তরল পরিষ্কারকের বিকল্প। পানিতে গুঁড়া সাবান গুলিয়ে নিলে তা যেন ঘন, থকথকে হয়। তৈজসের ভারী দাগ তুলতে হলে ২৫০ মিলি পানিতে ১ টেবিল চামচ গুঁড়া সাবান, ১ টেবিল চামচ সোডা এবং ২-৩টি বড় আকারের লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন।
রাবার, প্লাস্টিক, স্পঞ্জের নরম স্ক্রাবার বেছে নিন। জালি ব্যাগও হতে পারে বিকল্প।
তৈজস,ছুরি,চামচ ইত্যাদি ধোয়ার পর পাতলা, নরম, সুতি কাপড় দিয়ে ভালোভাবে মুছে শুকনা করে এরপর রেখে দিন জায়গামতো।
দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে চায়ের পাত্রে দাগ পড়ে গেলে পানিতে (সামান্য ভিনেগার মিশিয়ে) পাত্রটি ভিজিয়ে রাখুন সারা রাত। সকালে তরল পরিষ্কারকের সঙ্গে সামান্য লবণ মিশিয়ে নিয়ে পাত্রটি পরিষ্কার করে ফেলুন।
অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রে দাগ বসে গেলে পানিতে সামান্য সিরকা ও সামান্য লবণ মিশিয়ে তাতে ২০-২৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর তরল পরিষ্কারক দিয়ে পাত্রটি পরিষ্কার করে নিন।
কাঁসা, পিতল, মাটির পাত্রের জন্য তরল পরিষ্কারক ব্যবহার করলে ক্ষতি নেই।
বাড়তি কিছু
কাচ, সিরামিক বা পাইরেক্সের পাত্রে পানির দাগ কিংবা অন্য কোনো দাগ বসে গেলে তরল পরিষ্কারক ব্যবহারের পর লেবুর রস মেশানো কুসুম গরম পানিতে ২০-৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। ৪ টেবিল চামচ লেবুর রস নিতে হবে ১ লিটার পানিতে।
যা করা যাবে না
ধাতব স্ক্রাবার ব্যবহার করবেন না।
বাঁশ, কাঠ, বেতজাতীয় উপকরণে তৈরি জিনিসপত্রে তরল পরিষ্কারক বা সাবান-পানি প্রয়োগ না করাই ভালো।
অ্যালুমিনিয়ামের তৈজস লেবুর রস বা টকজাতীয় জিনিসের সংস্পর্শে দীর্ঘ সময় রাখা বিপজ্জনক।
পিতলের তৈজস পরিষ্কার করতে অম্লীয় (সিরকা বা লেবুর রস জাতীয়) উপকরণ ব্যবহার করলেও তা কখনো এসব উপকরণে ভিজিয়ে রাখবেন না (বিষক্রিয়ার আশঙ্কা থাকে)।
* রাফিয়া আলম, ঢাকা