What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

তবু বুদাপেস্টে ২ (1 Viewer)

Bergamo

Forum God
Elite Leader
Joined
Mar 2, 2018
Threads
9,653
Messages
117,045
Credits
1,241,450
Glasses sunglasses
Berry Tart
Statue Of Liberty
Profile Music
Sandwich
Lg9uzoE.jpg


দানিয়ুব নদী বুদাপেস্টকে বুদা ও পেস্ট- দুই অংশে বিভক্ত করেছে

ক্যাতিসিয়ার মতে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষে স্বাক্ষরিত ট্রিটি অব ট্রাইয়ানোনের চুক্তি হাঙ্গেরিকে দুর্বল করে দেয়। হাঙ্গেরির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ভূমি সে সময় প্রতিবেশী দেশ রোমানিয়া, ইউক্রেন স্লোভাকিয়া, ক্রোয়েশিয়া ও সার্বিয়ার অধীনে চলে যায়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর প্রায় ১০০ বছর অতিক্রান্ত হলেও হাঙ্গেরিয়ানরা আজও সে বেদনা ভুলতে পারেনি। এত বড় ভবন দেখার পর ভীষণভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। সেই সঙ্গে ভীষণ তৃষ্ণা পায়। তখনই ক্যাতিসিয়া জানতে চায়, রাতে পালিনকা ট্রাই করব কি না।

IeUboMb.jpg


ঘরে তৈরি পালিনকা, হাঙ্গেরির অন্যতম জনপ্রিয় পানীয়

পালিনকা হচ্ছে একধরনের হার্ড ড্রিঙ্ক। পালিনকাতে অ্যালকোহলের পরিমাণ শতকরা ৩৭ থেকে ৮৬ ভাগ পর্যন্ত হতে পারে। ভোদকার মতো পালিনকাতেও কোনো ধরনের সুগার, ফ্লেভার কিংবা কালার যোগ করা হয় না। তবে অ্যালকোহলিক বেভারেজে আগ্রহ নেই বলে ক্যাতিসিয়াকে আশাহত করতেই হলো।

পার্লামেন্ট ভবন দেখা শেষ করে আমরা দানিয়ুব নদীর পাড় বরাবর হাঁটতে থাকি। দানিয়ুব নদী বুদাপেস্টকে বুদা ও পেস্ট দুই অংশে বিভক্ত করেছে। দানিয়ুব নদীর পূর্ব তীরের অংশের নাম বুদা বুদা এবং পশ্চিম তীরের অংশের নাম পেস্ট। বুদা হচ্ছে পাহাড়ি আর পেস্ট হচ্ছে সমতল এলাকা। হাঙ্গেরিয়ান ন্যাশনাল পার্লামেন্টের অবস্থান শহরের পেস্ট অংশে। কিছুক্ষণ একসঙ্গে হাঁটার পর হঠাৎ ক্যাতিসিয়া আমাকে থামতে বলে ডান দিকে তাকাতে বলে। দেখি নদীর ধারে এক জায়গায় লোহার তৈরি অসংখ্য জুতা, স্যান্ডেল ও পেনসিল হিলের ভাস্কর্য। আগত দর্শনার্থীদের অনেকে সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করছেন। ক্যাতিসিয়াও পাশে থাকা এক ফুলবিক্রেতার কাছ থেকে এক জোড়া গোলাপ ফুল কিনে স্মৃতিস্তম্ভের ওপর রাখে। আমি কৌতূহলবশত তার কাছে স্মৃতিস্তম্ভ সম্পর্কে জানতে চাই।

6qWLnjx.jpg


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হাঙ্গেরিতে নাৎসি বাহিনীর হাতে নিহত ইহুদিদের স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্য

ক্যাতিসিয়া জানায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের নাৎসি বাহিনীর হাতে নিহত ইহুদিদের স্মরণে দানিয়ুব নদীর তীরে এই ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে। প্রথমে ইহুদিদেরকে ধরে নিয়ে নির্মম নির্যাতনের পর বন্দুকের নলের মুখে নদীতে ঝাঁপ দেয়ার মুহূর্তে গুলি চালিয়ে হাজার হাজার নিরীহ ইহুদিকে হত্যা করা হয়েছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগপর্যন্ত হাঙ্গেরিতে বসবাসরত মোট জনগোষ্ঠীর এক বৃহত্তর অংশ ছিল ইহুদি। ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের তুলনায় তারা সংখ্যালঘু হলেও সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তারা ছিল প্রভাবশালী। হলোকাস্টের সময় হিটলারের নাৎসি বাহিনীর হাতে তাদের অনেককে নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়। তা ছাড়া অ্যান্টি-সেমেটিজম ইস্যুতে ইউরোপের অন্য দেশের অধিবাসীদের মতো হাঙ্গেরিয়ানরাও ইহুদিদের ভালো চোখে দেখত না।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হাঙ্গেরি থেকে অনেক ইহুদি জীবন বাঁচাতে ইসরায়েল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে চলে যেতে বাধ্য হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের রাজনীতি অনেকাংশে হাঙ্গেরিয়ান, পোলিশ ও জার্মান বংশোদ্ভূত ইহুদিদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। জেরুজালেমের পর ইহুদিদের কাছে বুদাপেস্ট দ্বিতীয় রাজধানী হিসেবে সমাদৃত হয়। আজও তাই দেশটির বিভিন্ন স্থানে ইহুদিদের বসবাস রয়েছে, বলছিল ক্যাতিসিয়া।

তার মতে, ইউরোপের অন্যান্য শহরের তুলনায় বুদাপেস্টে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ইহুদি বসবাস করে। তার এ দাবি সত্যাসত্য যাচাইয়ের প্রয়োজন বোধ না করলেও বুদাপেস্টের রাস্তাঘাটে হরহামেশা ইহুদিদের দেখা মিলে।

স্মৃতিস্তম্ভ থেকে আমরা যাই সেচেনি চেইন ব্রিজের দিকে। দানিয়ুব নদীর ওপর যে আটটি ব্রিজ রয়েছে, তার মধ্যে সেচেনি চেইন ব্রিজ সবচেয়ে পুরোনো। পুরো ব্রিজটি হেঁটে পার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। ১৮৪০ সালে এ ব্রিজের নির্মাণকাজ শুরু হলেও শেষ হতে প্রায় ৯ বছর সময় লাগে। বিখ্যাত ব্রিটিশ স্থপতি উইলিয়াম টিয়ারনি ক্লার্ক ব্রিজটির নকশা প্রণয়ন করেন। নিউইয়র্কের বিখ্যাত ব্রুকলিন ব্রিজের সঙ্গে এ ব্রিজের স্থাপত্যশৈলীর মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

pOpSxrl.jpg


সেচেনি চেইন ব্রিজ; দানিয়ুব নদীর ওপর নির্মিত আটটি ব্রিজের মধ্যে এই ব্রিজটি সবচেয়ে পুরনো

ক্যাতিসিয়া বলল, রুবিক্স কিউব থেকে শুরু করে বলপয়েন্ট কলম কিংবা ইমপালস জেনারেটরের মতো অনেক মূল্যবান আবিষ্কার হাঙ্গেরিয়ানদের থাকলেও স্থাপত্যবিদ্যায় আমরা খানিকটা পিছিয়ে ছিলাম। এ কারণে নগর–পরিকল্পনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা নির্মাণে আমাদের অনেক সময় জার্মান, ডাচ, অস্ট্রিয়ান, এমনকি ব্রিটিশদের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে।

udZ2juf.jpg


হলুদ রঙের ট্রাম পুরোনো দিনের স্মৃতি বহন করে

ব্রিজের ওপর সাধারণ যানবাহনের পাশাপাশি হাল আমলের হলুদ ট্রামকেও চলাচল করতে দেখলাম। ব্রিজ পার হয়ে বুদা অংশে পা রাখতে না রাখতেই ক্যাতিসিয়া জিজ্ঞেস করে, ‘রাকিব, তোমার শরীরে যথেষ্ট শক্তি আছে তো?’ আমি বলি, ‘কেন? আমাকে কী দুর্বল মনে হয়?’

ক্যাতিসিয়া আমার উত্তর শুনে কিছুক্ষণ হাসে এবং বলে, বুদা অংশের স্বাদ নিতে হলে তোমাকে শক্তি সাশ্রয় করতে হবে। আমরা এখন যে স্পটগুলোয় যাচ্ছি, সেগুলোর বেশির ভাগ অপেক্ষাকৃতভাবে উঁচুতে।

এরপর ক্যাতিসিয়াকে অনুসরণ করতে থাকি। রৌদ্রোজ্জ্বল দিন, তাই দানিয়ুব নদীর পরিষ্কার পানিতে পার্লামেন্ট ভবনের স্বচ্ছ প্রতিবিম্ব দেখা যাচ্ছিল। ক্যাতিসিয়া বলল, আমরা প্রথমে ফিশারম্যানস বাস্টিয়নে যাব। সেখানে কিছুক্ষণ ঘুরে আমাদের গন্তব্য হবে বুদা ক্যাসেল। এরপর তুমি যদি চাও আমরা ট্র্যাডিশনাল কোনো হাঙ্গেরিয়ান খাবার দিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সেরে নিতে পারি।

মৌনতা সম্মতির লক্ষণ, তাই ক্যাতিসিয়াকে সরাসরি হ্যাঁ কিংবা না কোনো কিছু না জানিয়ে চুপচাপ আশপাশের দৃশ্য দেখতে থাকি।

ইউরোপের অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষের থেকে হাঙ্গেরিয়ানরা একেবারে আলাদা। তাদের গড়ন ও অবয়ব অন্যদের থেকে যেমন ভিন্ন, তেমনি তাদের ভাষাও। ইউরোপের কোনো ভাষার সঙ্গে হাঙ্গেরিয়ানদের ভাষার সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়া যাবে না। ফিনিশ, এস্তোনিয়ান ও হাঙ্গেরিয়ান—তিনটি ভাষাকে ফিন-ইউরালিক ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফিনিশের সঙ্গে এস্তোনিয়ানের কিঞ্চিৎ মিল খুঁজে পাওয়া যায়; কিন্তু হাঙ্গেরিয়ান ভাষার সঙ্গে ফিনিশ কিংবা এস্তোনিয়ান কোনো ভাষার মিল নেই। অনেক ভাষাতত্ত্ববিদের মতে, পৃথিবীতে ম্যান্ডারিন ভাষার পর সবচেয়ে কঠিন তিনটি ভাষা হচ্ছে হাঙ্গেরিয়ান, এস্তোনিয়ান ও ফিনিশ।

অনেকে বলে থাকেন, হাঙ্গেরিয়ানদের পূর্বপুরুষ এসেছে ‘হুন’ নামক জাতিসত্তার মানুষদের থেকে। মধ্য এশিয়ার দেশ উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান কিংবা চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে ‘হুন’ নামক মঙ্গোলয়েড জাতির বসবাস ছিল। জাতি হিসেবে হুনরা ছিল ভীষণভাবে দুর্ধর্ষ ও অত্যাচারী। হুনদের ভাষা ছিল আদি তুর্কি ভাষার মতো এবং এ কারণে এখনো উজবেক, কাজাখ, তুর্কি কিংবা উইঘুরদের ভাষার সঙ্গে হাঙ্গেরিয়ানদের ভাষার মিল খুঁজে পাওয়া যায়। হাঙ্গেরিয়ান ভাষায় ব্যবহৃত ব্যাকরণের অনেক অংশ পুরোপুরি এসব ভাষার ব্যাকরণের সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে।

IaW6Jjf.jpg


হাঙ্গেরিয়ানদের আদি পিতা আটিলার স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্য

হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতার নাম ‘আটিলা’। হাঙ্গেরিয়ানদের দাবি অনুযায়ী, আটিলা হচ্ছেন প্রথম ব্যক্তি, যিনি কার্পেথিয়ান ভূখণ্ডে পা রেখেছিলেন। হাঙ্গেরির মতো উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান, তুরস্ক, এমনকি চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে আটিলা এখনো একটি জনপ্রিয় নাম। আধুনিক হাঙ্গেরিয়ানদের অনেকে এসব দাবিকে ষড়যন্ত্রতত্ত্ব বলে উড়িয়ে দেন। যদিও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর হাঙ্গেরিতে সোভিয়েত ইউনিয়ন–সমর্থিত কমিউনিস্ট সরকার ছিল। তারপরও দেশটির সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় বিশ্বাসে তেমন একটা পরিবর্তন আসেনি। হাঙ্গেরির বেশির ভাগ মানুষ ক্যাথিলক খ্রিষ্টান। দেশটির রাজনীতিতেও ক্যাথলিক চার্চগুলোর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। হাঙ্গেরিতে আপনি যেখানে যান না কেন, নির্দিষ্ট দূরত্বে ক্যাথলিক চার্চের দেখা পাবেন। এখানে একটা বিষয় উল্লেখ করে রাখা ভালো, হাঙ্গেরিয়ানরা নিজেদের ‘মাজার’ হিসেবে সম্বোধন করে। তাদের ভাষায় নিজেদের দেশের নাম ‘মাজারোরসাগ’।

ফিশারম্যানস বাস্টিয়ন হচ্ছে হাঙ্গেরির অন্যতম প্রসিদ্ধ দুর্গগুলোর মধ্যে একটি। মধ্যযুগে দানিয়ুব নদীর তীরে গড়ে ওঠা স্থাপনাটিকে কেন্দ্র করে জেলেদের জনবসতি গড়ে উঠেছিল। ফিশারম্যানস বাস্টিয়নের ঠিক পাশে ম্যাথিয়াস চার্চ নামের প্রায় এক হাজার বছরের পুরোনো একটি গির্জা রয়েছে। হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যের প্রথম রাজা স্টেফানের সময়ে নির্মিত চার্চটি দৃষ্টিনন্দন কারুকার্যের জন্য দর্শনার্থীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়। ধারণা করা হয়, ম্যাথিয়াস চার্চকে কেন্দ্র করে মধ্যযুগে এক সুবিশাল মাছের বাজার গড়ে উঠেছিল। তাই যেকোনো যুদ্ধে নিজেদের রক্ষা করার জন্য জেলেরা ফিশারম্যানস বাস্টিয়ন নামের এ দুর্গ গড়ে তুলেছিলেন। হাঙ্গেরির পার্লামেন্ট ভবনের মতো ফিশারম্যানস বাস্টিয়োনের ভেতর সব সময় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যায়।

Sr84Gw6.jpg


ফিশারম্যানস বাস্টিয়ন

বুদা ক্যাসেল হচ্ছে হাঙ্গেরির বর্তমান প্রেসিডেন্টের বাসভবন। প্রায় ৮৫০ বছরের পুরোনো বিশাল আকৃতির এ ক্যাসেলের স্থাপত্যশৈলী সহজে দৃষ্টি কেড়ে নেয়। ক্যাসেলেরর ভেতরে প্রবেশ করতে আমাদের তেমন একটা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়নি। নিরাপত্তারক্ষীদের উপস্থিতি থাকলেও খুব একটা কড়াকড়ি কিংবা বিধিনিষেধ চোখে পড়েনি। বরং তারা আমাদের মত সাধারণ দর্শনার্থীদেরও হেসে অভ্যর্থনা জানায়। ভাবখানা এ রকম, ‘দেখো আমাদের একসময়ের রাজপ্রসাদ। যার প্রতিটি পরতে রয়েছে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সৌরভ।’ বিভিন্ন রাজার তৈরি স্থাপনাগুলো মুগ্ধ করে।

ততক্ষণে দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামতে শুরু করেছে। আমি বেশ ক্ষুধার্ত হয়ে পড়েছিলাম; কিন্তু ক্যাতিসিয়াকে দেখে তখনো একদম সতেজ মনে হচ্ছিল। তার চেহারায় ক্লান্তির ছাপ ছিল না বললেই চলে। পাহাড় বেয়ে বুদা ক্যাসেলের ওপরে উঠতে বেশ কষ্ট হলেও সঙ্গী থাকায় ভ্রমণের ক্লান্তি খুব একটা অনুভূত হয়নি।

WOCgzOf.jpg


বুদা ক্যাসেল, বর্তমানে এটি হাঙ্গেরির রাষ্ট্রপতি ভবন

বুদা ক্যাসেল থেকে নেমে আমরা ক্লার্ক অ্যাডাম টারের দিকে পা বাড়াই। সেখান থেকে ট্রাম করে আমরা যাই রুদাস জিওজিফোর্দোতে। মাত্র দুই স্টপেজের দূরত্ব। হাল আমলের হলুদ রঙের ট্রামগুলোতে ভ্রমণের আনন্দ অন্য রকম, কেন জানি এক ঐতিহ্যের গন্ধ পাওয়া যায়। ক্যাতিসিয়া জানায়, মাসের শুরু এবং শেষের দিকে বুদাপেস্টের ট্রাম কিংবা মেট্রোতে চেক হয় তুলনামূলকভাবে বেশি। কেউ টিকিট ছাড়া ভ্রমণ করলে জরিমানা গুনতে হয়।

আগের থেকে পাস কেনা ছিল। ১ হাজার ৫০০ হাঙ্গেরিয়ান ফরেন্টের বিনিময়ে কেনা এই পাস ব্যবহার করে বুদাপেস্টের ভেতরে যেকোনো পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করা যায় ২৪ ঘণ্টার জন্য। বাস, ট্রেন কিংবা মেট্রো স্টেশনের বুথ থেকে প্রয়োজনীয় টিকেট বা পাস সংগ্রহ করতে পারেন যেকোনো দর্শনার্থী।

* লেখক: রাকিব হাসান | দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী, ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন ফিজিক্স অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স, ইউনিভার্সিটি অব নোভা গোরিছা, স্লোভেনিয়া।
 

Users who are viewing this thread

Back
Top