What's new
Nirjonmela Desi Forum

Talk about the things that matter to you! Wanting to join the rest of our members? Feel free to sign up today and gain full access!

স্যার আপনার মেয়ে !!! (2 Viewers)

arn43

Co-Admin
Staff member
Co-Admin
Joined
Mar 2, 2018
Threads
1,620
Messages
122,690
Credits
314,291
DVD
Whiskey
SanDisk Sansa
SanDisk Sansa
Computer
Glasses sunglasses

স্যার আপনার মেয়ে !!!


টিফিনের অবসরে দীপুরা সব বন্ধু মিলে টিফিন খাবার ফাঁকে ফাঁকে গতোকাল স্কুল থেকে ফেরার পর ঘটে যাওয়া ঘটনার বিবরণ পেশ করে। বেশীরভাগ ঘটনাই থাকে হাশি-তামাশা আর দুস্টুমীতে ভরা। আজও সেরকম আলোচনা চলছিলো। আলোচনায় অংশ নিয়েছিলো দীপু, মনি, যুবরাজ,ছোটম সহ আরো কিছু কাছের বন্ধু। হঠাৎ করেই ছোটম বলে উঠলো, জানিস দীপু, কাল না আমি তোর জান্টুসকে কিস করেছি ! ছোটম শুধু এই টুকুই বলতে পারলো। কেনো, কিভাবে কোথায় কিস করেছে সে কথাগুলোও হয়তো একে একে বলতো। কিন্তু দীপু ছোটমকে সে সুযোগটা আর দিলো না। পাশ থেকে উঠেই ধাম করে মেরে বসলো ছোটমকে। ঘটনার আকস্মিকতায় সবাই হত-বিহ্বল হয়ে গেলো। মনি আর যুবরাজের মাথা সব সময়ই ঠান্ডা থাকে। পরিস্থিতি যতোই ঘোলাটে হউক না কেনো তারা ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিতে পারে। মনি উঠে দীপুকে ঠেকালো আর যুবরাজ ছোটমকে টেনে তুলে বললো, পালা ! আমরা পরে দেখছি ব্যাপারটা...
যুবরাজের কথায় ছোটম আর পিছনে ফিরে তাকালো না। উঠেই দিলো ভোঁ দৌড় !
দীপুকে শক্ত করে মনি ধরে রাখায় ওখানে দাঁড়িয়েই দীপু কিছুক্ষণ ফোঁস ফোঁস করে থেমে গেলো। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে সব বন্ধুরা মিলে দীপুকে টেনে চেয়ারে বসিয়ে দিলো। দীপুর পাশেই মনি বসেছিলো। সে খুব মোলায়েম গলায় দীপুকে জিজ্ঞেস করলো, তুই হঠাত করে এমনভাবে খেপে গেলি ক্যান ? ছোটম তো আমাদের কাছের বন্ধু। নিজেরা নিজেরা কি কখনো মারামারি করতে আছে ? তাছাড়া ও কেনো তোর জান্টুসকে কিস করেছে সে কথাটাও তো জানতে হবে নাকি !
দীপুর রাগ তখনো পুরোপুরি কাটেনি। মনির কথায় সে আবারো ফোঁস করে উঠলো। তার এক কথা কিস করার জন্য আগে ছোটমকে মারবে পরে শুনবে বাকি কথা !
দীপুর এহেন অবস্থা দেখে বন্ধুরা আর তাকে কিছু বললো না। ইতিমধ্যে টিফিন আওয়ার শেষ হয়ে কয়েক মিনিট পেরিয়ে গেছে। সবাই দ্রুত টিফিনের বক্স গোছাতে গোছাতে ক্লাসের জন্য উঠে পরলো। দীপু ক্লাসে ঢুকেই দেখে ছোটম পেছনের বেঞ্চে বসে আছে। আর যায় কোথায় ! সে ওখানেই আবার ছোটমকে মারতে উদ্যত হলো। আত্নরক্ষার জন্য এবার ছোটমও বাঁধা দিতে শুরু করলো। মনি,যুবরাজ সহ অন্যান্য বন্ধুরাও তখন এগিয়ে এলো তাদের ঝগড়া ছাড়াবার জন্য। মুহুর্তেই ক্লাসে একটা হুলুস্থুল অবস্থার সৃস্টি হয়ে গেলো। এই পরিস্থিতিতে ছোটম ক'খানা ঘুষি বসিয়ে দিয়েছে দীপুকে। ঠিক তখনই ভুগোলের স্যার ক্লাসে প্রবেশ করলেন। ছোটম দীপুকে মারছে এ অবস্থা দেখে স্যার হুঙ্কার ছাড়লেন,
স্যারঃ কি ব্যাপার ? তোরা মারামারি শুরু করছিস ক্যান ?
দীপুঃ স্যার, ছোটম আমার জান্টুসরে কিস করছে।
স্যারঃ তোর জান্টুস আবার কে ?
দীপুঃ স্যার, আমার জান্টুস আপনার মেয়ে, স্যার !
স্যারঃ এঁ, বলিস কি ? ওরে ছোটম, মার। দীপুকে আচ্ছা মতো মার... আরো বেশী করে মার...
 

হাসির কি হলো?


ক'দিন ধরেই মশাদের উৎপাত খুব বেড়ে গেছে। যে দীপু মশারীর ভিতর শুতেই পারে না, দম বন্ধ হয়ে আসে বলে। সে এখন মশার কামড়ের ভয়ে রিতিমতো মশারীর ভিতরেই ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে নিয়েছে। মশাদের এই বাড়াবাড়ি শুধু দীপুদের বাড়িতেই না, বরং পুরো ঢাকা শহরেই বিদ্যমান। আর তার প্রমান মিললো ভুগোল স্যারের কথায়।
সেদিন মদন স্যার ক্লাস নেবার ফাঁকে মশাদের এই উৎপাত নিয়ে বেশ খানিকটা লেকচার দিয়ে দিলেন। লেকচারের শেষের দিকে ছাত্রদেরকে এই মশার ক্ষতিকারক দিক তুলে ধরে এর প্রতিকারের ব্যাপারে ওনি বললেন,
মদন স্যারঃ মশা-মাছি অনেক রোগ-জীবানু ছড়ায়। এদের বংশ বৃদ্ধি রোধ করতে হবে।
এটুকু শুনেই দীপু হা হা-হি হি করে উচ্চস্বরে হেসে উঠলো। মদন স্যার চমকে উঠে কড়া চোখে দীপুর দিকে তাকিয়ে বললেন,
মদন স্যারঃ এই দীপু, এই কথায় হাসির কি হলো ? তোর এতো হাসি পেলো কেনো ?
মদন স্যারের কড়া ধমক খেয়ে দীপু দাঁড়িয়ে গিয়ে হাত কচলে কচলে মীন মীনিয়ে বললো,
দীপুঃ মশাদের বংশ বৃদ্ধি রোধ করতে হবে এটা ঠিক, তাই জন্য এতো ছোট বেলুন বানাবেন ক্যামনে ? !!
 
শালার পাছা লাথি মারা উচিত ছিলো স্যারের কারন সে তার মেয়েকে ভালোবাসে।
 
শালার পাছা লাথি মারা উচিত ছিলো স্যারের কারন সে তার মেয়েকে ভালোবাসে।

খাইছে !
মামায় দেহি খেইপ্যা গেলেনগা...
ব্যাপারটা @dipu মামায় জানে তো নাকি !! হে হে হে...
রিপ্লাইয়ের জন্য অনেক ধন্যবাদ, মামা।
 
পরীক্ষায় ফেইল ও দীপুর জবাব
গতো এক বছর যাবত করোনা মহামারীর কারনে দীপুদের স্কুল সহ দেশের সব স্কুলই বন্ধ ছিলো। সুযোগটা পুরোপুরিই নিয়েছে অতি বুদ্ধিমান দীপু। এই এক বছরে বইয়ের সাথে তার কোনো সম্পর্কই ছিলো না। বন্ধু মনি, যুবরাজ, ছোটম সহ পাখির সাথে খেলা আর আড্ডা দিয়েই পার করে দিয়েছে। এখন হঠাত করেই কর্তৃপক্ষ স্কুল খুলে মাত্র তিন বিষয়ে পরীক্ষা নিবে বলে ঘোষনা দেয়াতে মাথায় বাজ পড়েছে দীপুর। পরীক্ষা কি দেবে তার চাইতেও বড় কথা পরীক্ষা কিভাবে দিতে হয় সেটাই ভুলে গেছে সে এই এক বছরের আড্ডা আর খেলায় পড়ে থেকে। সব ভুলে গেলেও তো নিয়ম রক্ষার প্রয়োজনে পরীক্ষা তাকে দিতেই হবে। না হলে বাপ যে অন্তত তাকে ছাড়বে না। শেষ পর্যন্ত বিনা প্রস্তুতিতেই তাকে পরীক্ষা দিতে হলো। ফলাফল যা হবার তাই হলো, তিন বিষয়েই ফেইল। বলা যায় ফেইলের শতভাগ রেকর্ড গড়লো দীপু। ফলাফল প্রকাশের দিন হেড স্যার ক্লাসে এসে ফলাফল ঘোষনা দিচ্ছেন,পাশে অন্যান্য ক্লাস টিচাররাও ছিলো। দীপুর নাম আসতেই হেড স্যারের চোখ কপালে উঠলো। ইংরেজী পরীক্ষার ফলাফল দিতে গিয়ে থমকে গেলেন হেড স্যার। পাশে থাকা ইংরেজী স্যারের দিকে চোখে প্রশ্ন নিয়ে কড়া চোখে তাকালেন। ব্যাপারটা জানা ছিলো ইংরেজী স্যারের। তাই সরাসরি দীপুকে তিনি বললেন,
স্যারঃ আগের বছর অতো করে তোকে ইংরেজী শেখালাম আর তুই কিনা ইংরেজীতে ফেইল মারলি ?
স্যারের কথায় সটান দাঁড়িয়ে দীপুর সাফ জবাব,
দীপুঃ স্যার, ইংরেজীতে পাশ করার জন্য কি আমরা ৫২-এর ভাষা আন্দোলন করেছিলাম ? সেই ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানানোর জন্যই আমার এই ইংরেজিতে ফেইল করা। এছাড়া আর কিছুই না স্যার !
দীপুর জবাব শুনে হেড স্যার একেবারে থ হয়ে গেলেন। বেশ কিছুটা রেগেই তিনি এবার বললেন।
হেড স্যারঃ তা না হয় বুঝলাম, তুই ভাষা শহীদদের সম্মান জানাতে গিয়ে ইংরেজীতে ফেইল করেছিস। কিন্তু অঙ্কের ব্যাপারে কি বলবি ? অঙ্কে ফেইল করেছিস কেনো ? দশ আর দশে যোগ করলে কি হয় ? ফলাফলের ঘরে তুই শুধু দুই নামিয়েছিস কেনো ?
দীপুঃ অঙ্ক স্যার বলেছে শূন্যের নাকি কোনো দাম নেই, স্যার। তাই আমি আর সে কারনে দুই এর সাথে শূন্য যোগ করিনি। স্যার, যে জিনিষের দাম নেই সে জিনিষ লিখে আর কি হবে, স্যার ? আপনিই বলেন...
দীপু হয়তো এই ব্যাপারে আরো কিছু বলতে চেয়েছিলো। স্যার হাত উঠিয়ে তাকে থামিয়ে দিয়ে বেশ কড়া গলায়ই এবার বললেন,
স্যারঃ বাদ দে তোর ওসব কথা, এবার বল ইতিহাসে ফেইল করলি ক্যান ? ইতিহাসের একটা প্রশ্নের জবাবও তো তুই লিখিসনি ! ঘটনা কি বল।
দীপুঃ ইতিহাস পরীক্ষার প্রশ্নের জবাব কি করে দেবো স্যার ! ইতিহাস পরীক্ষায় তো সব ৫০০ বছর আগেকার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন এসেছে। তখন কি আমি জন্ম নিয়েছিলাম নাকি ? এতো বছর আগেকার ঘটনা তবে আমি কি করে লিখি স্যার ? !!
তিন বিষয়ে দীপুর ফেইল করা আর সে বিষয়ে তার দেয়া জবাব শুনে হেড স্যার দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থা থেকে ধপ করে চেয়ারে বসে গেলেন। যেনো আর কোনো প্রশ্ন নেই, নেই কোনো অভিযোগ...
 

Users who are viewing this thread

Back
Top